ঢাকা বারের নির্বাচন বুধ ও বৃহস্পতিবার
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বার খ্যাত ঢাকা আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন বুধ ও বৃহস্পতিবার কাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২০১৫-২০১৬ বর্ষের কার্যকরী পরিষদের এই নির্বাচনে ২৫টি পদে ৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দশটি সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ২৬ জন এবং ১৫টি সদস্য পদের বিপরীতে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানা গেছে। এবারের নির্বাচনে ১৫ হাজার ৩৭২ জন বৈধ ভোটারের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকার বারের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এসএম আলতাফ হোসেন বলেন, “আশা করছি এ বছর নির্বাচনে প্রায় দশ হাজার আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।” আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল ও নিরপেক্ষ হিসেবে সবুজ প্যানেলের ব্যানারে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ নির্বাচনে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলে অ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান ও নীল প্যানেলে অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সাদা প্যানেলে মোশাররফ হোসেন ও নীল প্যানেলে আফরোজা বেগম শেলী, সহসভাপতি পদে সাদা প্যানেলে তারিক হোসেন ও নীল প্যানেলে হারুন রশিদ খান, ট্রেজারার পদে সাদা প্যানেলে মকবুল হোসেন, নীল প্যানেলে আবু বক্কর সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলে আব্দুস সালাম খান ও নীল প্যানেলে হাফিজুর রহমান হাফিজ, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলে শাহাদাত হোসেন ভুইয়া ও নীল প্যানেলে তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলে আলী আহমেদ ও নীল প্যানেলে মাজেদুর রহমান মামুন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলে আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ ও নীল প্যানেলে আকলিমা আক্তার আলো এবং দফতর সম্পাদক পদে আব্দুল হাই মামুন ও নীল প্যানেলে শেখ আলাউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৫টি পদের বিপরীতে সবুজ প্যানেল দশটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সদস্য পদে সাদা প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবু সাঈদ সিদ্দিকী, ফাতেমাতুজ জহুরা মনি, হাজেরা বেগম আজরা, লিলিয়া আক্তার লিলি, নাসিম জাহান রুবি, নুরজাহান আক্তার পারভীন, মরিয়ম বেগম তুলি, সাবিনা আক্তার দীপা, সাহিদা পারভীন নদী, তাহমিনা আহমেদ মিলি, বিল্লাল হোসেন লিজন পাটোয়ারি, নুর হোসেন, নুরুল ইসলাম তালুকদার, তাইবুর রহমান তুহিন ও তপো গোপাল ঘোষ।
অন্যদিকে সদস্য পদে নীল প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফাতিমা ইয়াসমিন, রেহানা পারভীন, শাহনাজ পারভীন জোসনা, মিজানুর রহমান মিজান, মজিবর রহমান, মোস্তফা কামাল, শাহ আলম, মোহাম্মাদ ইমদাদুল ইসলাম, মোহাম্মাদ কামাল হোসেন, মোহাম্মাদ রোকনুজ্জামান, মোহাম্মাদ বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মাদ আব্দুল হান্নান খন্দকার, মোহাম্মাদ আবুল কাশেম, মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান ও শফিকুল ইসলাম।
নির্বাচনের মাসখানেক আগে থেকেই উভয় প্যানেলের প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন। ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ ছাড়াও লিফলেট, কার্ড, এসএমএস, ভয়েস এসএমএম, ফেসবুক, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারসহ মোবাইলে ফোন করেও জোর প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা।
গত ২০১৪-১৫ বর্ষের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ব্যাপক ভরাডুবি হয়। ওই নির্বাচনে ২৫টি পদের বিপরীতে তারা মাত্র ছয়টি সদস্য পদ পেয়েছিল। অপরদিকে সম্পাদকীয় পদের দশটিসহ বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল ১৯টি পদে জয়লাভ করে। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম আলতাফ হোসেন। কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম হিরন, অ্যাডভোকেট হাজী মো. মোহসীন, অ্যাডভোকেট আহমদ উল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর, মো. শামসুজ্জামান ও মো. মতিউর রহমান ভুইয়া।