ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা ১৫০ জনের স্থলে ভর্তিযোগ্য মাত্র দুইজন
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলে এই অনুষদভুক্ত ইংরেজি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা স¤পন্ন মাত্র দুজন শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে। এই বিভাগে এবার প্রথম বর্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে, যাদের ১২৫ জনই কলা অনুষদের অধীন ‘খ’ ইউনিট থেকে আসার কথা। আজ অনুষ্ঠেয় ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বাকিদের নেয়া হবে। এবার ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য নতুন শর্ত আরোপ করায় এই বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা স¤পন্ন মাত্র দুজন শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এ পরিস্থিতিতে ভর্তির যোগ্যতা শিথিল করার আভাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন গতকাল বলেন, “আমরা একটি আসনও খালি রাখব না। তবে সেটা কীভাবে হবে সে বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” ইংরেজি বিভাগে ভর্তির শর্ত হিসেবে এসএসসি ও এইচএসসিতে ইংরেজিতে মোট ২০০ নম্বর এবং ভর্তি পরীক্ষায় বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকটিভ ইংলিশ উত্তর করার বিধান রাখা হয়। একই সঙ্গে ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ ইংরেজিতে ২০ এবং ইলেকটিভ ইংলিশে ১৫ পাওয়ারও শর্ত রাখা হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল প্রকাশ করা হয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। দুই হাজার ২২১ আসনের বিপরীতে পাস করেন মাত্র তিন হাজার ৮৭৪ জন শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন মোট ৪০ হাজার ৫৬৫ জন। কলা অনুষদের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মেধাক্রম ৩-এ থাকা জান্নাতুল ফেরদৌস দোলা এবং মেধাক্রম ১০৬-এ থাকা শাহবাজ আমিন ভূঁইয়া ইংরেজি বিভাগে ভর্তির শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তিন হাজার ৮৭৪ জনের মধ্যে ইলেকটিভ ইংলিশ উত্তর করেছেন এমন প্রার্থী পাওয়া গেছে মোট ১৭ জন। তাদের ১৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় পাস করলেও ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য ইলেকটিভ ইংলিশ এ ১৫ নম্বর পাননি। তবে ৪০ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট কতজন ইলেকটিভ ইংলিশ-এর উত্তর করেছেন তার সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন। “এমন ভর্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭০০ এর মতো” বলে উল্লেখ করেন তিনি। ভর্তির ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীর অভাব কিভাবে মেটানো হবে তা নিয়ে দুপুরে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ‘খ’ ইউনিট ভর্তি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সদরুল আমিন। সভা শেষে ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদ বলেন, “যেহেতু ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পূর্বের শর্ত পূরণ করতে পারেনি, সেহেতু আমরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছি। সভায় উপস্থিত সবাই ভর্তির শর্ত শিথিল করার পক্ষে মত দিয়েছেন। “আমরা শর্ত শিথিলের প্রস্তাব ভর্তি কমিটির কাছে পাঠাব। তারা অনুমোদন করলেই সেটি কার্যকর হবে।”