Connecting You with the Truth

তাইজুলের স্বপ্ন পূরণে বাবা-মা

IMG_8838স্পোর্টস ডেস্ক:
রাতে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছেন বিছানার চার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বহু টাকা। ঘুম ভেঙে দেখেন স্বপ্নটা মিথ্যে নয়, একেবারেই সত্যি। বিছানার ওপরে সত্যি সত্যি পড়ে আছে এক বস্তা টাকা। ঠিক সেই মুহুর্তে কেমন লাগবে আপনার! খুশিতে কান্নায় ভেঙে পড়বেন নিশ্চয়! ঘটনাটা ঠিক এ রকম নয়। তবে তাইজুল ইসলামের বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়াকে এর চেয়েও কমই বা বলি কিভাবে? হ্যা, তাইজুল ইসলাম তেমনই এক ভাগ্যবান। তার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপে খেলার। সেটাই যখন ক্যারিয়ারের শুরুতে সত্যি হয়ে গেলো, তখন তা স্বপ্ন থেকে জেগে উঠে টাকার বস্তা পাওয়ার চেয়েও বেশি কিছু। ৪ জানুয়ারীতে দল ঘোষণার পরই প্রথম নির্বাচকদের মুখ থেকে তাইজুল শুনেছেন, বিশ্বকাপের জায়গা পাওয়ার কথা। শুনেই খুশিতে কেঁদে দিয়েছিলেন। আবার ছেলের এই খুশির সংবাদ শুনে সেদিন কেঁদেছিল পরিবারের অন্যরাও। বাসায় যাওয়ার পর মা-বাবা তাকে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘক্ষণ কেঁদেছেন। বিশ্বাস করুন, একটা কথাও বানিয়ে বলছি না! তাইজুল নিজেই বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার অনুভূতির কথাগুলো এভাবে প্রকাশ করেছেন। ২২ বছর বয়সী এই বাম হাতি স্পিনার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি মাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ক্যারিয়ারে অভিষেকেই গড়েছিলেন বিরল এক রেকর্ড। অভিষিক্ত কোন বোলার হিসেব হ্যাটট্রিক অর্জনকারী একমাত্র ক্রিকেটার তো এখন শুধু তাইজুলই। ওই বল করলেও ব্যাট হাতে মাঠে নামা লাগেনি তার। শুধুমাত্র একটি ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপের মতো এতো বড় আসরে যায়গা পাওয়া সত্যি কঠিন। অথচ সেই বিরল ভাগ্যবানদের একজন এখন তাইজুল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজের পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন, ‘মাত্র একটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাব, এটা কোনদিনই ভাবতে পারিনি! তবে একজন ক্রিকেটারের জীবনে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন সব সময়ই থাকে। আমারও ছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পর মনে মনে একটু স্বপ্ন দেখেছিলাম, বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করে দেখাতে পারবো।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কম হলেও আÍবিশ্বাস আছে, আমি ভালো কিছু করতে পারবো। আসলে একজন ক্রিকেটারের ভালো কিছু করার আগে তার আÍবিশ্বাস থাকাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি খেলার সুযোগ পেলে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটেও ভালো কিছু করে দেখাতে চাই।’ অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে না খেলেই কিভাবে ভালো করবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দলের সিনিয়র বড় ভাইদের থেকে সহযোগিতা নিচ্ছি। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের খেলা দেখছি। সবমিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্বকাপের দুই সপ্তাহ আগেই আমরা অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছি। সেখানে যে প্রস্তুতি নিতে পারবো, তা দিয়েই আমরা বিশ্বকাপে ভালো কিছু করে দেখাতে চাই।’

Comments
Loading...