নড়াইলে তীব্র গরমে তরমুজই ভরসা
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: নড়াইলের পৌরসভাসহ উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে আগাম জাতের তরমুজ সয়লাব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারে তরমুজ উঠলেও তা সুস্বাদু ও রসালো না হওয়ায় বেচাকেনা কম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার রূপগঞ্জ বাজার, পৌর সুপার মার্কেট, নড়াইল চৌরাস্তা, মুচিপোল এলাকা, তুলারামপুর, গোবরা, বাহিরগ্রাম, বাসগ্রাম, কালিয়া, নড়াগাতি, ল²ীপাশা, লোহাগড়া, কুন্দসী চৌরাস্তা, কালনা ঘাট, এড়েন্দা, দিঘলিয়া, মানিকগঞ্জ, লাহুড়িয়ার কালিগঞ্জ, ইতনা বাজার, মহাজন বাজার, নলদী, মিঠাপুর বাজারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার গুলোতে থরে থরে সাজানো রয়েছে তরমুজ। আগাম জাতের এসব তরমুজ দেখতে সুন্দর হলেও সুস্বাদু নয়। যে সকল ক্রেতা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন তারা তরমুজ কিনতে আসছেন ঠিকই। কিন্তু দাম চড়া হওয়ার কারনে অনেকেই দাম শুনে পরে কিনবেন বলে ফিরে যাচ্ছেন।ল²ীপাশা চৌরাস্তা বাজারের ফল ব্যবসায়ী বিলাল গাজী (৩২) ও বালাম (৩৫) জানান, প্রতি কেজি তরজুম ২৫ থেকে ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক সময় আকার ও সাইজ অনুযায়ী তরমুজ বিক্রি করছেন তারা। ওই বিক্রেতারা জানান, গত বছর তরমুজের দাম ছিল হাতের নাগালে। তাই ক্রেতারাও হরদম তরমুজ কিনতো। এ বছর আগাম জাতের তরমুজের দেখা মিললেও দাম চড়া। তরমুজের দাম উদ্ধমুখী হওয়ার কারনে ক্রেতারা তরমুজের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন না।এড়েন্দা গ্রামের তরমুজ ক্রেতা শেখ মুজিবর রহমান মুজি (৩৮), জয়পুর ঈদগাহ পাড়ার আলম (২৮), মশাঘূনী গ্রামের শরিফুল (৩৩) জানান, বর্তমানে এখানকার হাট-বাজার গুলোতে যে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, তার দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাছাড়া এ সব তরমুজ রসালো নয়, স্বাদও ভাল না। তাছাড়া, অনেক অসাধু ফল ব্যবসায়ী এ সব তরমুজে সিরিঞ্জ দিয়ে বিশেষ কায়দায় চিনি মিশ্রিত লাল রংয়ের পানি পুশ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।