তুরস্ককে দলে ভেরাতে জন কেরি তুরস্কে
ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের নিয়ে আলোচানার জন্য তুরস্ক পৌছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
ইরাক ও সিরিয়ায় হুমকি হয়ে ওঠা আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরো বেশি সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য তুরস্কের সমর্থন আদায় করাই তার এ সফরের উদ্দেশ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৩১ হাজারের বেশি আইএস যোদ্ধা মাঠে রয়েছে। চরমপন্থি এই জঙ্গিরা বিভিন্ন অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের হুমকি দিচ্ছে এবং তারা ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে।
সম্প্রতি আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই অভিযান আরো বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
কিন্তু তুরস্ক তাদের দক্ষিণের বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়নি।
কেরি শুক্রবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছান। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান এবং প্রাধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
মাত্র একদিন আগেই কেরি সৌদি আরবের জেদ্দায় ১০ আরব দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
কেরি জানান, ওই ১০ দেশের প্রতিনিধিরা আইএস এ’র বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করতে একমত হয়েছেন।
জেদ্দার ওই আলোচনা সভায় তুরস্কের প্রতিনিধিও ছিলেন। তবে ন্যাটের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তুরস্ক যৌথ অভিযান বিষয়ক বিবৃতিতে সাক্ষর করেনি।
বিবিসি’র আরবিল প্রতিনিধি জিম মুর এর ধারণা, আইএস জঙ্গিদের হাতে তুরস্কের প্রায় ৫০ জন নাগরিক বন্দি রয়েছে। যাদের মধ্যে মসুল দূতাবাসের একজন কর্মীও রয়েছেন। তাদের জীবনের কথা চিন্তা করেই হয়ত তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা দিতে রাজি হচ্ছে না।