আন্তর্জাতিক
দঃ এশিয়ায় ঘাঁটি গাড়ার ঘোষণা জাওয়াহিরির ভারতে রেড এলার্ট জারি, ভিডিওবার্তা পরীক্ষা করা হবে -স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

Published
8 years agoon
ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশ-ভারতসহ দঃ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘাঁটি গাড়তে চাইছে জঙ্গিবাদী সংগঠন আল-কায়েদা। এরই মধ্যে ভারতে এই সংগঠনের আÍপ্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে। আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি বুধবার একটি ভিডিওবার্তায় এই ঘোষণা দেন। প্রতিক্রিয়ায় ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি) সমগ্র ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমারসহ ভারতের গুজরাট, আহমেদাবাদ, কাশ্মীর ও আসামে সংগঠনটির শাখা স্থাপনের কথা বলা হয়েছে ওই ভিডিও বার্তায়। ভিডিওবার্তাটি পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এদিকে লিবিয়ার একটি বিমানবন্দর থেকে ১১ টি বিমান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে আল কায়দা সংশ্লিষ্ট একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছে, আল কায়েদা প্রধানের এ ঘোষণা অপ্রত্যাশিত নয়। কারণ আল কায়েদা ইসলামিক স্টেটের সাথে পাল্লা দিতে পারছে না। সুতরাং আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গিবাদের নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখা আল কায়েদার জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা নতুন নতুন এলাকা শাখা খুলে তাদের আওতা বৃদ্ধি করতে চাইছে। ভিডিও বার্তায় জাওয়াহিরি জানিয়েছে, ভারতীয় উপমহাদেশের মায়ানমার, বাংলাদেশ, আসাম, গুজরাট, আহমেদাবাদ এবং কাশ্মিরের মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুসলমানদের উপর অবিচার ও নিপীড়ন থেকে উদ্ধার করতে এসব এলাকায় আল কায়েদার শাখা খোলা হবে। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ভিডিও বার্তায় উল্লেখিত বাংলাদেশ, আসাম, গুজরাট, আহমেদাবাদ এবং মায়ানমার এলাকা সাম্প্রদায়িকভাবে খুবই স্পর্শকাতর। আর এ এলাকার প্রগতিবাদী যুবকদের ওপর আক্রমণ করতেই আলকায়েদা এ নকশা করেছে। বিশেষ করে যাদের ইসলামিক স্টেটের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২০১৩ সালে আল কায়েদা ভেঙেই ইসলামিক স্টেটের জন্ম হয়। যাদের অনুসারী প্রধাণত বিভিন্ন দেশের যুবকরা। এছাড়া ইসলামিক স্টেটের প্রধান আবু আবু বকর আল বাগদাদি নিজেকে মুসলমানদের একজন ‘খলিফা’ হিসেবে দাবি করে। ২০১৩ সালে সিরিয়ায় আল কায়েদার বিস্তার নিয়ে জাওয়াহিরির সাথে ভিন্ন মত থাকায় একদল যুবক আল কায়েদা থেকে বের হয়ে ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠা করে। জাওয়াহিরি তার বক্তব্যে বলেছে, ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী আইনের প্রসার এবং মুসলামান অধ্যুষিত এলাকার কৃত্রিম সীমানা ভেঙে মুসলমানদের একই পতাকাতলে আনতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আল কায়েদা। তবে এই ভিডিওবার্তার ব্যাপারে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় নি বাংলাদেশ সরকার। তবে শীঘ্রই ভিডিওবার্তাটি পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল দুপুরে রমনা রেস্টুরেন্টে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনো জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেবোনা। সেজন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।ভিডিও বার্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা আরেকটু দেখি। এটা কোন জায়গা থেকে, কিভাবে এসেছে তা দেখতে হবে। ভিডিওটি পরীক্ষা করে পরবর্তীতে আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো।”
ত্রিপোলি বিমানবন্দর থেকে ১১টি বিমান উধাও হয়ে গেছে। লিবিয়ার আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী এসব বিমান দখলে রেখেছে বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছিনতাইকৃত বিমানের পাশে বা বিমানের ডানার উপরে দাঁড়িয়ে তারা তোলা ছবিও পোস্ট দিয়েছে লিবিয়ান ডন নামক আল কায়দা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীটির সদস্যরা। বিমান দখলের এই ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, লিবিয়া থেকে দখল করা ওই বিমান নিয়ে তেরো বছর আগের ৯/১১-র ধাঁচে হামলার পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওসামা বিন লাদেনের পরিকল্পনায় ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগন এবং নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে মারণ হামলা চালায় আল-কায়েদা। দু’বছর আগে এই দিনেই লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনসের বাসভবনে হামলা করে তাকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। গত কয়েক মাস ধরে সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে আমেরিকা তৎপর হওয়ার পর থেকেই বদলা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। ৯/১১-র তেরো বছর পূর্তিতে জঙ্গিরা যে নতুন করে অস্ত্রে শান দেবে তা আঁচ করেই দু’সপ্তাহ ধরে লিবিয়ার প্রশাসনকে সতর্কবার্তা দিয়েছিল আমেরিকা। গত আগস্টে ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দখল করে নেয় লিবিয়ান ডন। রাজধানী ত্রিপোলি সর্বতোভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে গত রবিবার ঘোষণা করে লিবিয়া প্রশাসন। আরো জানানো হয়, ডন এবং আইএসের শরিক জঙ্গিগোষ্ঠী আনসার আল-শাহরিয়ার হাতেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে দেশের রাজধানী। সেই বিবৃতিতেই বিমান লোপাটের কথাও জানানো হয়।
মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা জানিয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মরক্কোর সেনা বিশেষজ্ঞ আব্দের রহমানে মেক্কাউই বলেন, জঙ্গিরা যে ফন্দি আঁটছে সেটা পরিষ্কার। তবে গোয়েন্দা সূত্রে যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে দখল করা বিমান ইতিমধ্যেই অন্য একটি জঙ্গিগোষ্ঠীকে হস্তান্তর করেছে ডন। তিনি বলেন, তারা কারা, তা বলা যাচ্ছে না। তবে মাস্কড মেন ব্রিগেডের কাছে ওই বিমানগুলি থাকতে আছে। হামলার আশঙ্কা প্রবল আরবের তেলসমৃদ্ধ এলাকাগুলিতে। আর এক জঙ্গি বিশেষজ্ঞ সেবাস্টিয়ান গোরকার মতে, দু’ভাবে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। এক, একেবারে ৯/১১ ধাঁচে যাত্রীবাহী বিমানকে ক্ষেপণাস্ত্রে পরিণত করবে। দুই, ফাঁকা বিমানে জঙ্গিদের নিয়ে এমন কোনো জায়গায় পৌঁছে নাশকতা চালাতে পারে যা তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।” আমেরিকার তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান লোপাট নিয়ে কোনো মন্তব্য না করা হলেও সূত্রের খবর, বিমানের সন্ধান চালাতে শুরু করেছে প্রতিরক্ষা দপ্তর। প্রসঙ্গত, লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফির পতনের করার পর থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে লিবিয়া। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়া বা ইরাকের মতো লিবিয়াও যাতে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত না হতে পারে সে দিকেও নজর দিচ্ছে আমেরিকা।
You may like

সাবেক ইউরেনিয়াম খনিতে পরিমাপের কাজ চলছে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে এরিকা কোটে কিছু স্বেচ্ছাসেবী মানুষের সঙ্গে মিলে সেখানে প্রায় ২০০ অ্যাল্ডার, বার্চ এবং উইলো গাছ পোঁতেন।
মাটিতে হেভি মেটাল থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সেই কাজ করেন। গাছগুলি স্বাভাবিকভাবে বড় হলে কয়েক বছর পর সেগুলির কাঠ কেটে আগুন জ্বালানো যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে এমন মাটিতে সেটা আদৌ সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে সংশয় ছিল। এরিকা কোটে জায়গাটিকে ঠিক মাটি বলতেই প্রস্তুত নন। তার মতে, বেড়ে ওঠা জমি একেবারে অন্যরকম দেখতে।
শাকসবজি বা ফল চাষের প্রশ্নই ওঠে না, যদিও ইউরেনিয়াম খনি বন্ধ হবার পর এই জমির সংস্কার করে সেখানে দূষণহীন মাটি ঢালা হয়েছে। ইয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক টর্স্টেন শেফারব বলেন, ‘‘যেমনটা দেখছেন, এই হ্রদকে ঘিরে উদ্ভিদ জগত শিকড় ছড়িয়েছে। অর্থাৎ গাছপালা এই অংশকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আরও নীচের দিকে দেখলে বালুময় উপাদান পাওয়া যাবে। সর্বশেষ তুষার যুগে এই স্তর গড়ে উঠেছিল। এখানে প্রায় কোনো শিকড়ের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। এখানকার পিএইচ ভ্যালুও অত্যন্ত কম। মোটকথা গাছপালা এই এলাকা পছন্দ করে না।”
পিএইচ ভ্যালু কম হবার অর্থ জমিতে অম্ল রয়েছে। যে সব ধাতু সাধারণ অবস্থায় শক্ত থাকে, সেগুলি এখানে গলে গিয়ে জমির মধ্য দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানির সঙ্গে মিশে যায়। এভাবে সেগুলি গাছপালার মধ্যেও প্রবেশ করে। টর্স্টেন শেফার বলেন, ‘‘সে কারণে আমরা আমাদের পরীক্ষার আওতায় এমন মাটির মিশ্রণ সৃষ্টি করি, যার মধ্যে সামান্য চুনও থাকে। চুন পিএইচ বাফার হিসেবে কাজ করে, যাতে গাছপালা বেড়ে ওঠার পরিবেশ শুধু আদর্শ নয়, বরং আরও উন্নত হতে পারে।”
অর্থাৎ জমি অম্লমুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু ইয়েনার গবেষকরা শুধু তাতেই সন্তুষ্ট নন। মাটি থেকে ধাতু আলাদা করতে তাঁরা সেই ধাতুকে আবার শক্ত করতে চান। ছত্রাক নাকি সেই কাজ করতে পারে। ইয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট এরিকা কোটে বলেন, ‘‘ছত্রাক প্রকৃতির মধ্যে এমনিতেই সিম্বায়োসিসের মাধ্যমে পানি ও ধাতব উপাদান গাছের মধ্যে টানে বলে সেটি কিছুটা ফিল্টার হিসেবেও কাজ করে। ছত্রাক যে উপাদান গাছে চালান করে না, গাছ তা গ্রহণও করে না। অর্থাৎ ছত্রাক না থাকলে গাছে আরও বেশি হেভি মেটাল প্রবেশ করতো।”
সেখানকার মাটিতে জীবাণুর কার্যকলাপ তরান্বিত করতে বিজ্ঞানীরা প্রতি বছর বিশেষ ধরনের মাইক্রোঅরগ্যানিজম যোগ করেন। এরিকা কোটে বলেন, ‘‘জঙ্গলে বিশেষ গাছের নীচে বিশেষ ছত্রাক থাকে। লার্চ বোলেটাস বা বার্চ মাশরুমের নাম শুনলেই তা স্পষ্ট বোঝা যায়। লার্চ বা বার্চ গাছের কোলে সেগুলি পাওয়া যায়। অর্থাৎ আমাদের এমন ছত্রাকের সন্ধান করতে হবে, যেগুলি নির্দিষ্ট গাছের সঙ্গে সংলাপ চালাতে পারে।”
এখনো পর্যন্ত সাবেক ইউরেনিয়াম খনির জমিতে আল্ডার গাছ পুঁতে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া গেছে। বার্চ গাছ কিছুটা এবং তৃণভূমি সামান্য সাফল্য এনেছে। আগামী বছরগুলিতে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। সে কারণে গবেষকরা পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যেতে চান। তবে জমিতে ব্যাকটিরিয়া ও ছত্রাক যোগ করে যে লাভ হয়, সে বিষয়ে তাঁদের মনে কোনো সংশয় নেই। এরিকা কোটে বলেন, ‘‘জমি ফেলে রাখলে সেখানে আবার ঘাস গজায়। প্রাকৃতিক ঘাসজমির মতো জীবাণু জগত সৃষ্টি হতে প্রায় ৪০ বছর সময় লাগে। অর্থাৎ আমরা এখানে জীবাণু যোগ করে কার্যত ৪০ বছর সময় বাঁচিয়ে দিচ্ছি। তাই নতুন ইকোসিস্টেমের সঙ্গে সেই জীবাণুর মানিয়ে নিতে সময় লাগছে না।”
তবে সেই এলাকার বিষমুক্ত ছত্রাকও খাবার যোগ্য নয়। কারণ মাটির হেভি মেটাল সেগুলিতে জমা হচ্ছে। একমাত্র পচে যাবার পরই সেই ধাতু আবার বেরিয়ে আসে। তবে সেই ধাতুর পরিমাণ এতই কম, যে গাছের কোনো ক্ষতি হয় না।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে দুটি হামলার ঘটনায় সেনা ও বেসামরিকসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। সশস্ত্র হামলাকারীরা রোববার ও সোমবার এসব হামলা চালিয়েছে বলে সোমবার পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী ও একজন আঞ্চলিক গভর্নর।
নিজেদের বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চলে নাইজার সীমান্তের কাছে ফালানগৌতৌতে সামরিক বাহিনীর একটি কমব্যাট ইউনিট ইউনিট হামলার মুখে পড়ে, এতে ১০ সেনা, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর দুই যোদ্ধা ও এক বেসামরিক নিহত হয়।
হামলার ঘটনা শেষ হওয়ার পর ঘটনাস্থলে ১৫ হামলাকারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে তারা। সোমবার পৃথক আরেক বিবৃতিতে বুরকিনা ফাসোর দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যাসকেডস অঞ্চলের গভর্নর কর্নেল জ্য চার্লস দিত ইয়েনাপোনো সোম জানিয়েছেন, রোববার এক হামলার পর ১৫ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, নিহতরা সবাই বেসামরিক।
গভর্নর জানান, সশস্ত্র ব্যক্তিরা দুটি যাত্রীবাহী গাড়ি থামায়, সেগুলোতে আটজন নারী ১৬ জন পুরুষ ছিলেন। নারীদের এবং শুধু একজন পুরুষকে মুক্তি দেওয়া হয়, বাকি সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। বিবৃতিতে গভর্নর সোম বলেছেন, “এই ৩০ জানুয়ারি নিহতদের মৃতদেহ লিঙ্গুয়েকোরো গ্রামের কাছে পাওয়া গেছে, তাদের শরীরে গুলির ক্ষত ছিল।”
পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশ বুরকিনা ফাসো এবং এর প্রতিবেশী মালি ও নাইজার আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করছে। জঙ্গিরা দেশটির অনুর্বর ও প্রধানত গ্রামীণ উত্তরাঞ্চলের বহু অঞ্চল দখল করে নিয়ে শত শত গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে। তাদের তাণ্ডবের কারণে ওই অঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জঙ্গিরা বহু গ্রাম ও শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে, এতে খাদ্য সংকট ক্রমেই তীব্র আকার ধারণ করছে।
Highlights
পেশোয়ায় মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত বেড়ে ৮৩

Published
3 days agoon
জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের পুলিশ লাইনস এলাকার ভেতর একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে এক হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন।
সোমবারের ওই হামলায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, এদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
পাকিস্তান তালেবান নামে পরিচিত জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে ইসলামাবাদ সরকারের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নভেম্বরে শেষ হওয়ার পর থেকে দেশটিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো গোষ্ঠী পেশোয়ারের হামলার দায় স্বীকার না করলেও এর জন্য টিটিপিকেই সন্দেহ করা হচ্ছে।
টিটিপির এক কমান্ডার প্রাথমিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করলেও গোষ্ঠীটি পরে দাবি করেছে, এর সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
সোমবার পেশোয়ারের অত্যন্ত সুরক্ষিত পুলিশ লাইনস এলাকার ভেতরে মসজিদটিতে জোহরের নামাজ চলার সময় এক আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। মসজিদটিতে তখন প্রায় তিন থেকে চারশ লোক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের অনেকেই পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তা।
হামলাকারী কীভাবে এই এলাকায় প্রবেশ করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয়েছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মদ ইজাজ খান বলেন, বোমা নিয়ে হামলাকারী কম্পাউন্ডের সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে গেছেন।
“সেখানে নিরাপত্তায় গাফিলতি হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। আমরা বিস্ফোরকের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছি,”বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবারও মসজিদটির ধ্বংসাবশেষের নিজে চাপা পড়া লোকজনের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত ছিল। উদ্ধারকর্মীদের এক মুখপাত্র মোহাম্মদ বিলাল ফাইজি বিবিসি উর্দুকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ আরও তিন ঘণ্টা ধরে চলবে।
ফাইজি বলেন, “১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উদ্ধারকাজ চলছে। আরও ২০ জনের মৃতদেহ ধ্বংসাবশেষ থেকে বের করা হয়েছে, এখনও কিছু মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
মসজিদটি পেশোয়ারের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকাগুলোর (রেড জোন) একটিতে অবস্থিত। এই এলাকায় প্রাদেশিক পুলিশের সদরদপ্তর, গোয়েন্দা সংস্থা ও সন্ত্রাস দমন বিভাগের কার্যালয় আছে।
এ হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘‘যারা পাকিস্তানের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সন্ত্রাসীরা দেশ জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে।”
‘হামলাকারীদের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী পাকিস্তানের সংবাদ চ্যানেল জিও টিভিকে বলেছেন, “জোহরের নামাজ চলাকালে বিস্ফোরণটি ঘটে, এতে দোতলা মসজিদটি ভেঙে পড়েছে।”
বিস্ফোরণের সময় তিনি মসজিদের ঠিক সামনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম পিটিভির দেখানো ফুটেজে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ছোটাছুটি করে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে আহতদের কাঁধে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে ডনের সংবাদাতা জানিয়েছেন, মসজিদ ভবনের এটি অংশ ধসে পড়েছে এবং সামনের সারিতে যারা নামাজ পড়ছিলেন তারা ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছর পেশোয়ারের কোচা রিসালদার এলাকার একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় ৬৩ জন নিহত হয়েছিল।
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ8 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস