দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আবারও সংগঠিত হচ্ছে আন্ডারওয়াল্ড! আতঙ্কে সর্বস্থরের মানুষ
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট : দেশের এক সময়ের মৃত্যুপুরী হিসেবে পরিচিত চিহ্নিত জনপদ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বেপরোয়া চরমপন্থী দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা এখন আর বেচে নেই। বিভিন্ন সময় তারা ক্রস ফায়ারে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত্যু শীর্ষ নেতাদের সহচর, মাঝারি পর্যায়ের এবং নতুন করে মাথা ছাড়া দিয়ে ওঠা সন্ত্রাসীরাও ছিল আত্মগোপনে। কিন্তু এ যাবত কালে মরা যাওয়া চরমপন্থী গ্রুপগুলো অস্ত্রের খুব বেশি সন্ধান গোয়েন্দা সংস্থা গুলো উদ্ধার করতে না পারায় এবং নতুন করে সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে অবাধে অস্ত্র প্রবেশ করায় চরমপন্থী দলগুলো আবারো সংগঠিত হতে চলেছে। ফলে এ অঞ্চলে রক্তের হোলি খেলা আরো বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। র্যাব ও পুলিশের চরম খবরদারীর মধ্যেও চরমপন্থী দলের অস্ত্রের ঝন-ঝানানীতে এ অঞ্চলের সর্বস্তরের পেশাজীবি মানুষ এখন চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। চরমপন্থী গ্রুপ গুলোর পদভারে পূনারায় এ অঞ্চলের শান্তিকামী মানুষ শান্তির আশ্রয় খুঁজছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১২টি জেলা সন্ত্রাস কবলিত ভয়ংকর জনপদ হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চলের চরমপন্থী দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে নেতাদের মধ্যে অনেকেই গত হয়ে গেছে। যার কারণে অনেক দল ভেঙ্গে নতুন নামে বিভিন্ন দলের উদ্ভাব হয়েছে। আবার অনেকে পড়া লেখা শেষে চাকরীর ক্ষেত্রে ব্যার্থ হয়ে অস্ত্রের সহজ লভ্যতা দেখে দল গঠন করে নেমে পড়েছে মাঠে। সব মিলিয়ে এ অঞ্চল এখন সন্ত্রাস ও চরমপন্থী কবলিত এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। মানুষ খুন করা এ অঞ্চলের চরমপন্থীদের নেশায় পরিনত হয়েছে। আন্ডার ওয়ার্ল্ড এর সদস্যরা বিভিন্ন জনার কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করার কন্ট্রাক নিয়ে থাকে। কখনো বা সামান্য একটা সিগারের, এক বোতল মদ, একটা ফেন্সিডিল বা একজন নারীর নেশায় মানুষ খুন করতে এদের হাত পা কাঁপে না। কর্তৃপক্ষকে ঘায়েল করতে পেশাদার কিলার সন্ত্রাসীরা গডফাদারের পক্ষে ভাড়াটে হিসেবে কাজ করে। খুলনা গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য মতে ভয়ংকর এ জনপদে এখনো প্রায় ৫শত ভাড়াটে পেশাদার খুনী রয়েছে পূর্বে যার সংখ্যা ছিল ১০০০। যানা যায় এসব খুনীরা রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে আত্মরক্ষার জন্য। এছাড়া সন্ত্রাসী ক্যাডারদের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার বলে জানিয়েছেন পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা।
বিভাগীয় পুলিশের একাধিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে যানা যায়, তাদের তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে খুলনা বিভাগে ১০ জেলায় ১০টি চরমপন্থী গ্রুপ ও বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম সক্রিয় রয়েছে। সক্রিয় চরমপন্থী দলগুলো হচ্ছে পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি, সর্বহারা এম,এল জনযুদ্ধ, জাসদ গণবাহিনী, গণবাহিনী লাল পতাকা, গণমুক্তি ফৌজ, শ্রমজীবি মুক্তি আন্দোলন, পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি লাল পতাকা, পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি মোফাক্কার গ্রুপ, সর্বহারা কামরুল গ্রুপ, ও সর্বহারা আনোয়ার কবির গ্রুপ । এছাড়া এলাকা ভিত্তিক ছোট বড় অনেক বাহিনী সক্রিয় রয়েছে এবং বর্তমানে নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে আরো কতকগুলো দল। প্রাপ্ত তথ্য মতে চরমপন্থী সংগঠনের রাজনৈতিক প্রতিটি শাখার পাশা পাশি সামরিক শাখা রয়েছে। এসব শাখার ক্যাডাররা বিভিন্ন অপারেশনে জড়িত থাকে। সংগঠনের অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ থাকে সামরিক শাখা প্রধানদের হাতে। গত ৩ বছরে চরমপন্থী সংগঠনের সামরিক শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত শতাধিক প্রধান র্যাব ও পুলিশের হাতে নিহত হয়। শ্রেণী শত্রু ক্ষতমের নামে খুন করা হয়েছে আরো অনেককে। আটক হয়েছে আরো কয়েক ডজন কিন্তু তাদের অস্ত্র ভান্ডারের খোজ আজও পায়নি র্যাব ও পুলিশ। প্রতিটি ক্রস ফায়ারের ঘটনার পর দেশী তৈরী বন্দুক, দেশী তৈরী পিস্তল, রাম দা, শাটার গান, শর্ট রাইফেলের মত কিছু অকেজ অস্ত্র পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখানো হয়। যা নিয়ে অবশ্য বিতর্কের শেষ নেই। এমনকি দেখা গেছে ডাক সাইডের বাহিনী প্রধানরা ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছে। অথচ পরে ক্যাডারদের কাছ থেকে উদ্ধার দেখানো হয়েছে নষ্ট জং ধরা কামানের পিস্তল, ভূতা রাম দা আর চাপাটি।
যে সকল অত্যাধুনিক আগ্নেআস্ত্র আর গ্রেনেট ও বোমা মেরে মানুষ খুন করার পর সন্ত্রাসী ক্যাডাররা উল্লাস করতো সে সব অস্ত্র গেল কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে মাঠ পর্যায়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন “অস্ত্র রাজনৈতিক গডফাদারদের জিম্মায়ম, নির্দিষ্ট অপারেশনের আগে ক্যাডারদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হত অপারেশনের শেষে অস্ত্র ফের জমা হত গডফাদারদের কাছে। ফলে একটি অস্ত্র একাধিক গ্রুপ ব্যবহার করত ক্রস ফায়ারের নামে ক্যাডারা নিহত হলেও গডফাদাররা রয়ে গেছে ধরা ছোয়ার বাইরে। যার ফলে আজও পর্যন্ত অত্যাধুনিক কোন অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছে না র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।” যানা যায়, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের উত্থান হয় ১৯৬৬ সালে। ৬৬ সালে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি জখন চরমপন্থী অবলম্বন করতে পা বাড়ায় তখন শুরুতেই তারা হোচোড় খায়, ফলে দলটি ভেঙ্গে যায়। তখন এর একাংশ কমরেড আব্দুল হক ও অপর অংম তোয়াহার নেতৃত্বে গোপন চরমপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় একই সময় ‘পূর্ববাংলার এক সর্বহারা পার্টি ও রাজনীতি’ দুটোই সক্রিয় স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের শুরুতেই নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা পার্টির নেতা সিরাজ শিকদার নিতহ হলে এই দলটি এবং তখনো সক্রিয় পূর্বপাকিস্তানের কমিউনিষ্ট পার্টি নাম ধারী আব্দুল হক ও তোয়াহার গোপন দল ভেঙ্গে একে একে ১২টি চরমপন্থী দল-উপদলে আত্মপ্রকাশ করে। আর এই ১২টি দলের সংস্ত্রাসীরাই গত কয়েক দশক ধরে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অপরাধ জগতের নেতৃত্ব হাতে তুলে নেয়।
সূত্র যানায়, সে সময় পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্ব মোফাক্কর হোসেন চৌধুরী ওরপে মাহমুদ হাসান, ডাঃ শহীদ ওরফে মধু, ডাঃ টুটুল ওরফে মিজানুর। মধু ও টুটুল পরবর্তীতে আলাদা হয়ে পূর্ববাংলা (এম,এল) লাল পতাকা নামে দল গঠন করে। এ সময়ে মোফাক্কর তার অন্যতম সহযোগী রূপসা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ ওরফে তপু, মাহবুদুল হাসান শিমুল, সৈকত ওরফে বাদল ও ঝিনাইদাহ-কুষ্টিয়া এলাকার আব্দুল রশিদ মাহিলা ওরফে দাদা তপনসহ শ’ খানেকের বিভিন্ন মাপের ক্যাডার নিয়ে প্রায় এক দশক দাপোটের সঙ্গে এ দল চালাতে থাকেন অন্যদিকে বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির আঞ্চলিক প্রধানদের মধ্যে ছিল মনরঞ্জন গোসাই ও মৃনাল, গাজী কামরুল, সৈলেন। এদের কয়েকশ সদস্য নিয়ে কমিউনিষ্ট পার্টি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের তাদের কার্যক্রম দাপোটের সাথে চালাতে থাকেন এর পর দলীয় নিয়ম কানন ভঙ্গের জন্য মৃনালকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। মৃনালের অধিপত্য ব্যাপক থাকায় তখন নিউ বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি নামে একটি চরমপন্থী দলের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। ৮০’র দশকের পূর্বে খুলনা অঞ্চলে পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির তেমন বিস্তার ঘটেনি। তখন ছিল এলাকা ভিত্তিক দাদা প্রথা। তার কথায় এলাকায় অনেক কিছু হত। এসব গডফাদার দাদাদের ক্ষমতার উৎস ছিল পেশিশক্তি, লোকবল, অবৈধ অস্ত্র-সস্ত্র। তাদের নির্দেষে তখন খুন, চাঁদাবাজী, ঘেরদখল, ভূমি দখলসহ নানা অপরাধ মূলক কাজ সংগঠিত হত। আর এই দাদা গিরিতে খুলনা তথা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বড় দাদা ছিলেন আবুল কাশেম, এরশাদ শিকদার, মোসলেম সরদার, নাজেম সরদার, আছাদুজ্জামান লিটু এছাড়া বিভিন্ন এলাকার নামধারী অনেক ছোট দাদা ও ছিল এদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন এখনো দাদা গিরি চালাচ্ছে বহলতবিয়তে। তখন মূলত খুলনা শহর হাজী বাড়ী, কাজি বাড়ী, খালাসী বাড়ী এবং দৌলতপুরের গাজী কামরুল ও টাইগার খোকন ছিল প্রভাবশালী। টাইগার খোকনসহ এ সময়ের ছোট-বড় দাদারা নিজেদেরকে প্রাণপন বাঁচাতে চরমপন্থীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও লালন পালন করে থাকেন। তাদের নিজেদের প্রয়োজনে তারা চরমপন্থীদের ব্যবহার করত। এভাবে চলতে থাকলে ১৯৯৯ মালে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার চরমপন্থীদেরকে আত্মসমার্পন এর সুযোগ প্রদান করে সাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেন। এ আহবানে সাড়া দিয়ে ঐ বছর ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ২ হাজার ৬১৩ জন চরমপন্থী সন্ত্রাসী, ২হাজার ৭৭টি অস্ত্রসহ আত্মসমার্পন করে। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির গাজী কামররুল, অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা হায়দার, চুয়াডাঙ্গার শীর্ষ সন্ত্রাসী লাল্টু, কুষ্টিয়ার কসাই সিরাজ, জাসদ গণবাহিনীর আজিবর। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শর্তে আত্মসমার্পন করলেও এসব চরমপন্থীদের অনেকেই পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। শুরুহয় খুনের রাজনীতি।
বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আগের ২ বছরের খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় শ্রেণী শত্রু ক্ষতমের নামে ৩৫০শত মানুষ হত্যা করা হয়। ঘটে পুলিশ হত্যা ও থানা লুটের মত ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হলে গঠন করা হয় এলিট ফোর্স র্যাব, বিভিন্ন বাহিনীর চৌকস কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত হয় এই সন্ত্রাসী দমনের অভিযান। শুরু হয় ক্রস ফায়ার। জীবন বাঁচাতে চরমপন্থী ক্যাডাররা ভিড়ে যায় দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের সাথে রাতারাতি তারা এদুটি রাজনৈতিক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়। আর এসব ক্যাডারদের অস্ত্র চলে যায় নেতাদের দখলে।
মাঠ পর্যায়ের একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গেছে, বর্তমানে খুলনা বিভাগের দশ জেলাসহ ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার সরকারী দল আওয়ামীলীগ এবং প্রধান বিরোধীদল বিএনপি’র ছত্রছায়ায় প্রায় ৫ হাজারের মত ক্যাডার রয়েছে। এসব ক্যাডারদের হাতে আছে কমপক্ষে ৩ হাজার আর্মস্ যার মধ্যে অত্যাধুনিক একে ৪৭, রাইফেল- এস এল আর, এসএমজি, ৯ এমএম পিস্তল, রিভালবার, কাটা রাইফেল, দোনলা বন্দুক, শর্ট গান, থ্রি নট থ্রি রাইফেল, চাইনিজ রাইফেলসহ সব আধুনিক মরণাস্ত্র। সম্প্রতি যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা এবং খুলনা জেলার র্যাব পুলিশের ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছে বাহিনী প্রধান ও তার ভাই মিজান। আবখাস, একদিল, দাদা তপন, তোতা, আব্দুর রশীদ মাথিলা, টিক্কা, মোফাক্কর হোসেন, মফিজসহ কমপক্ষে দের শ’ আর্মস্ ক্যাডার। কিন্তু ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে গেছে এদের গড ফাদাররা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক বছর যাবৎ আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চরমপন্থীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে পা বাড়িয়েছে। যার দরুন এ অঞ্চলে আবারো শুরু হয়েছে রক্তের হোলি খেলা। পুরানো চরমপন্থী দল এবং ভেঙ্গে যাওয়া দল গুলোর সদস্যরা নতুন নতুন দল গঠনের মাধ্যমে নতুন করে মাঠে নামাতে চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এ অঞ্চলের রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সকল পেশাজীবি মানুষেরা। এ অঞ্চলে বিভিন্ন সময় সংগঠিত হত্যা, দখলবাজী, চাঁদাবাজী, এলাকাভিত্তিক আদিপত্ম বিস্তার ও সুন্দরবণের ডাকাতিসহ অসংখ্য কর্মকান্ড এখন এ এলাকার চরমপন্থী দলগুলো দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগেরহাটর পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্মকতা জানান “চরমপন্থী দমনে বিভাগের ১০ জেলায় নিয়মিত অভিযান অব্যহত রয়েছে যে কারণে পূর্বের তুলনায় তাদের তৎপরতা অনেক কমে আসছে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এ অঞ্চলে চরমপন্থীদের তৎপরতা থাকায় তাদের নির্মূল করা সময়ের ব্যাপার ।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর