Connect with us

ঢালিউড

দীঘির বিরুদ্ধে ঝন্টুর কোটি টাকার মানহানি মামলা

Published

on

চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও তার বাবার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন চলচ্চিত্রনির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই নির্মাতা।

মামলার বিষয়ে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘দীঘি ও তার বাবার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আজ আদালতে মামলা করেছি।আমি আইনের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাই। আমার হাত অনেক ছোট। আইনের হাত অনেক বড়। আইনের মাধ্যমে আমি এর বিচার চাই।’

শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে দর্শকের সামনে আসতে চলেছেন দীঘি। তার প্রথম সিনেমা হিসেবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘তুমি আছো তুমি নেই’। আগামী ১২ মার্চ মুক্তি পাবে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত এই ছবিটি।

সম্প্রতি সিনেমাটির ট্রেলার প্রকাশ হলে সেটি ব্যাপকভাবে সমালোচনার শিকার হয়। এতে বিব্রত হন দীঘিও। তিনিও সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমে দাবি করেন, ‘ছবিটি বেশ মানহীন। সিনেমাটি চলবে না।’

এই মন্তব্যের জন্য দীঘির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। ইউটিউবে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে ছবির নায়িকা হয়েও সমালোচনা করার জন্যই তিনি এই হুমকি দেন।

গত ৮ মার্চ একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয় ঝন্টুর সাক্ষাৎকারটি। এ সময় তার সঙ্গে সিনেমার প্রযোজক সিমিকেও দেখা যায়। সেখানে ঝন্টু অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, “নায়িকা হয়েও দীঘি ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার সমালোচনা করেছে। এটা ঠিক হয়নি। সে নায়িকা। তার কথায় দর্শক বিমুখ হবে। এতে সিনেমাটি চলবে না। দীঘির জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতি হবে আমার। আমি ওকে ছাড়ব না। যেভাবেই হোক আমি ওকে ছাড়ব না। দীঘি যখন বলেছে, ‘সিনেমাটি চলবে না’ তখন পরিচালক হিসেবে আমারও মানহানি হয়েছে। আমি মানহানি মামলা করব দীঘি ও তার মামার নামে। কারণ শুটিং, ডাবিংয়ের সময় দীঘি এ সিনেমার প্রশংসা করেছে, এখন কেন সে সমালোচনা করছে। ডেফিনেটলি দেয়ার ইজ সামথিং রং।”

এ নির্মাতা আরও বলেন, ‘আমি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। বাংলাদেশে আরেকটি নেই। উপমহাদেশে আমার মতো একজন চলচ্চিত্রকার নেই। উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি আমি। আমি দুই কোটি টাকা নিয়ে সিনেমা বানিয়েছি, ২০ লাখ দিয়েও বানিয়েছি। চলচ্চিত্র মেধা দিয়ে তৈরি হয়, টাকা দিয়ে নয়।’

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *