Connect with us

জাতীয়

দুদকের মামলায় আÍসমর্পণের পর জামিন পেলেন আব্দুল মান্নান

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
অবৈধ স¤পদ অর্জন এবং স¤পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মহাজোট সরকারের সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান। তাকে আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। গতকাল সকালে তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে আÍসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান আব্দুল মান্নান খান। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হকের আদালত।
এর আগে গত বৃহ¯পতিবার আব্দুল মান্নান খানসহ মহাজোট সরকারের সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান এক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। তাদের বিরুদ্ধে এজাহারে অবৈধ স¤পদ অর্জন এবং স¤পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য দু’জন হলেন- সাবেক পানিস¤পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান ও কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর রাজধানীর রমনা থানায় বৃহ¯পতিবার দুপুরে এ মামলাগুলো করা হয়েছে। মামলা নম্বর- ৩৫, ৩৬, ৩৭। দুদকের উপ-পরিচালক আব্দুস সোবাহান, মো. নাসির উদ্দিন ও খায়রুল হুদা বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল মান্নান খান দুদকে দাখিলকৃত স¤পদ বিবরণীতে চার লাখ ৫৯ হাজার ৫৯৭ টাকা মূল্যের স¤পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এ ছাড়া তার আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৫ লাখ চার হাজার ২৬২ টাকা মূল্যের স¤পদ অর্জনের অভিযোগে ৩৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত দশ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের স¤পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত স¤পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের স¤পদ ক্রয় দেখিয়ে এক কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে ৩৭ নম্বর মামলাটি করা হয়েছে। মাহবুবুর রহমান মোট পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স¤পদ অর্জন করে তা দখলে রেখেছেন। মালিকানা অর্জনের উদ্দেশ্যে তিনি রেজিস্ট্রি বায়নানামা স¤পাদন করেছেন। এ ছাড়া এক কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার স¤পদের তথ্য গোপন করে কমিশনে দাখিলকৃত স¤পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছন। এ অভিযোগে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩৬ নম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারায় প্রতিটি মামলা দায়ের করা হয়। দুদক সূত্র জানায়, সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপি’র বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলেছে মূলত ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তাদের হলফনামার সূত্র ধরে। অভিযুক্তদের স¤পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে নিযুক্ত অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কো¤পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে স¤পদের হিসাব নির্ণয় করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। একই অভিযোগ রয়েছে রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক, ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জব্বার। এ সব অভিযোগের অনুসন্ধান কাজও শেষ হয়েছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে চলতি মাসের মধ্যে রুহুল, এ্যানি ও জব্বারের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল হতে পারে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *