দুশ্চিন্তায় চুল ছেঁড়ার উপক্রম!
অন্যান্য:
দুশ্চিন্তা খুব বেশি হয়ে গেছে- বোঝাতে আমরা চুল ছেঁড়ার কথা বলি। এটা শুধু কথার কথা নয়, আসলেই অনেকে দুশ্চিন্তায় মাথার চুল টানাটানি করেন, ছিঁড়েও ফেলেন কখনো কখনো। কিন্তু কি কারণে আমরা এই কাজটি করি? কেন চুল ছিঁড়ে ফেলি দুশ্চিন্তায়? খুব প্রাচীন এই মানবিক অভ্যাসটি। এখনো পর্যন্ত মনোবিজ্ঞানীরা একে বোঝার চেষ্টা করেই চলছেন। দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস, বিরক্তি এমনকি কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে হয় আমাদের। খুব সাম্প্রতিক কিছু গবেষণার তথ্য থেকে জানা যায়, আমরা চিন্তিত থাকলে যেমন নখ কামড়াই ঠিক তেমনি একটি কাজ হলো চুল টানা।
চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভ্যাসটি ঠিক কতটা স্বাভাবিক?
খুব সহজেই চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলার কথা ওঠালেও আসলেই কয়জন চুল ছিঁড়ে ফেলেন? দেখা যায়, মোটামুটি ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মাঝে একজনের রয়েছে এই প্রবণতা। এমনকি প্রাচীন গ্রিক এবং মিশরীয়দের মাঝেও চুল টেনে ছেঁড়ার প্রবণতার কথা জানা যায়। মোটামুটি বয়:সন্ধির সময় থেকে এই অভ্যাস দেখা দেয়। পুরুষদের তুলনায় নারীদের মাঝে তা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এর পেছনে মূলত কারণ হলো পুরুষের তুলনায় নারীরা নিজেদের চুলের প্রতি যতœবান হয়ে থাকেন এবং এ সমস্যাটি হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন । পুরুষরা এভাবে চুল টেনে ছিঁড়ে কমিয়ে ফেললেও কারণটা প্রকাশ করতে চান না, বরং দাবি করেন যে টাক পড়ে যাচ্ছে।
কেন চুল টেনে ছিঁড়তে ইচ্ছে হয়?
কারো কারো ক্ষেত্রে এটা হলো স্ট্রেস কমানোর একটা উপায়। সারাদিন খেটেখুটে বাজে একটা দিন কাটিয়ে ঘরে ফিরে অনেকেরই চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে হয়। অনেকের ক্ষেত্রে এটা øায়ু শীতল করতে কাজে লাগে। তবে সবার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এতো সহজ নয়। অনেকে অবচেতনভাবেই চুল টানতে থাকেন। কখনো এটা হয় বংশগতির কারণে, কখনো পরিবেশের প্রভাবে আবার কখনো দুইয়েরই মিশ্রণ।
এর কোনো চিকিৎসা আছে কি?
অনেকে একে অপ্রয়োজনীয় বলে উড়িয়ে দেন, ভাবেন শুধুই তো চুল টানার অভ্যাস, এর চিকিৎসা দিয়ে কি হবে? অভ্যাসটি মোটেই ভালো কিছু নয়। অনেকে না বুঝেই চুল টেনে থাকেন। অভ্যাসগত সমস্যার সমাধান করার জন্য যেসব ট্রেইনিং কাজে আসে সেগুলো এক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। চুল টানার এই অবচেতন ইচ্ছেটা যতক্ষণ না চলে যায় ততক্ষণ তাদেরকে হাত গুটিয়ে রাখার চেষ্টা করতে বলা হয়।
যারা জেনে বুঝেই চুল টানেন তাদেরকে বলা হয় কিছু একটা করার মাধ্যমে হাত ব্যস্ত রাখতে। কারো কারো ক্ষেত্রে প্রোজ্যাক বা ফ্লুওজেটিন ধরণের ওষুধ কাজ করে কিন্তু তা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বেশিরভাগ সময়েই এই অভ্যাসটির পেছনে থাকে দুশ্চিন্তা বা বিষণèতার মত বড় কোনো জটিলতা। এক্ষেত্রে সে সমস্যার সমাধান করতে হবে আগে।