Connect with us

দেশজুড়ে

দৌলতপুরে পদ্মার ভাঙনে শতাধিক পরিবার গৃহহারা

Avatar photo

Published

on

দৌলতপুর, কুষ্টিয়া:
টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের কারণে পদ্মা নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নে ভাঙনের তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়াও আকস্মিক পানি বৃদ্ধির কারণে দেড়’শ বিঘা জমির আউশ ধান ও পাট তলিয়ে গেছে। এতে নদীপাড়ের মানুষ সীমাহীন আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এলাকার ফিলিপনগর, মরিচা, রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার ইতোমধ্যেই গৃহহারা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এখানকার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ বন্যার পানির তোড়ে নতুন করে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রতিদিন ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চর বাজার ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের হাইস্কুল থেকে আবেদের ঘাট এবং হাজির হাট পর্যন্ত প্রায় চার কি.মি. এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। এ পর্যন্ত ফিলিপ নগর গ্রামের শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছে। এছাড়াও দুই শতাধিক পরিবার, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, চাঁইপাড়া জামে মসজিদসহ এলাকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি কোন সহযোগিতা এলাকায় পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড এ এলাকায় পদ্মার ভাঙন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এবার তা ভেস্তে গেছে। বাড়িঘর, গাছপালাসহ প্রায় দেড়’শ বিঘা জমির আবাদী ও উঠতি ফসলের (আউশ ধান ও পাট) ক্ষেত তলিয়ে গেছে বলে কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে। গৃহহারা পরিবারগুলি অন্যের জমিতে আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে। ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নঈম উদ্দীন সেন্টু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পদ্মার ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ যাহায্য প্রেরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমুল হক পাভেল বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। অতিশীঘ্র ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।দৌলতপুরে পদ্মার ভাঙনে শতাধিক
পরিবার গৃহহারা, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দেশজুড়ে

অন্য নারীকে মা বানিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি: অন্য নারীকে ধর্মের মা বানিয়ে পাচ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নকলার আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। আছাদুজ্জামান শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার আমজাদ হোসেনের ছেলে।

২৮ তারিখ রবিবার দুপুরে নকলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা না দিয়ে উলটো পুলিশ এবং সাংবাদিকদের দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আয়শা বেগম তারাফুলি। আয়শা নকলা উপজেলার কৈয়াকুড়ি গ্রামের বাসিন্ধা।

তিনি বলেছেন, আছাদুজ্জামান সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে ধর্মের মা বানায়। মায়ের দাবিতে নিয়মিত আমার বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। এক সময় আছাদ বিদেশে যাবে বলে আমাকে জানায় এবং আমার মেয়ের জামাইকে বিদেশে নিয়ে যাবে এই বলে সে আমার কাছ থেকে পাচ লক্ষ টাকা চায়। বানানো হলেও ছেলে বলে কথা, তাই আমি আমার স্বামীকে বুঝিয়ে সাক্ষী রেখে স্টেম্প করে টাকাগুলো দেই। পরে জানতে পারি সে যাবে না। আমার কাছে মিথ্যে বলে টাকা নিয়েছে। ঐ টাকা দিয়ে আছাদ দুটো ব্যাটারী চালিতো অটো কিনেছে।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন পর টাকা চাইতে গেলে আজ না কাল এসব বলে তালবাহানা শুরু করে এবং বলে আমি টাকা দিয়ে দিয়েছি। শুধু তাই নয় টাকা না দিয়ে অপরাধ চিএ নামের এক ম্যাগাজিনে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশ করায় এবং আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার (দলিল) স্টেম্প তাকে দিয়ে দিতে থানা থেকে এস আই সুমনকে পাঠিয়ে হুমকি দেয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্টেম্প না দিলে মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়। হুমকির বিষয়ে এসআই সুমন জানায়, আছাদুজ্জামানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি তদন্ত করতে তারাফুলির বাড়িতে যাই এবং দুই পক্ষকেই থানায় আসতে বলি। কিন্তু তারা কেউই থানায় আসে নি। আর স্টেম্প চাওয়ার ব্যাপারে তাদের সাথে কোন কথা হয়নি।
আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তারাফুলি বলেন, বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন প্রান নাশ এবং মামলার ভয়ে দিন পার করছি। আমি প্রশাসনের কাছে আছাদুজ্জামানের সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। আয়শা বেগম তারাফুলির পক্ষে তার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মেয়ের জামাই শরিফুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহ প্রীন্ট এবং ইলেক্ট্রনি· মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

Continue Reading

দেশজুড়ে

বাজুস এর কমিটি বাতিলের দাবীতে শেরপুরে স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীদের মানববন্ধন

Avatar photo

Published

on

শেরপুরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) এর জেলা শাখার কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে সাধারণ জুয়েলারী ব্যাবসায়ীরা।

বৃহস্প্রতিবার দুপুরে শহরের খরমপুর মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান, সহ-সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন সমেশ, সদস্য আফজাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বলা হয়, গত বছর ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্র ঘোষিত ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক চন্দন কুমার ঘোষ নিজ স্বার্থ চারিতার্থ করে কমিটির দুই জন সদস্যকে না জানিয়ে গোপনে বাকী ৩ সদস্য মিলে নির্বাচন কমিশন ও গঠনতন্ত্র বিরোধী ভোটার তালিকা করেন। এরপর ওই অবৈধ ভোটার তালিকা করে গত ২১ জানুয়ারী গোপনে তফসীল এবং ভোট বিহীন পকেট কমিটি ঘোষনা করেন। পরবর্তিতে আগামী ২৭ মে ওই কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের ঘোষনা করা হয়। এরই প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করা হয়। তারা আগামী ২৭ মে শনিবার অভিষেক অনুষ্ঠানের সামনে অবস্থান কর্রসূচী এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এবিষয়ে বর্তমান কমিটির সভাপতি ইলিয়াস আলী শুধু শহরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভোটার তালিকা করার কথা স্বীকার করে সকল সিদ্ধান্ত আহ্বায়ক কমিটির রেজুলেশন নিয়েই করা হয়েছে বলে জানান।

Continue Reading

ঢাকা

১৬নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা

Avatar photo

Published

on

আশিকুর রহমান:
এলাকার জনসাধারণের সেবা সুনিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পরপর দুইবারের নির্বাচিত ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী তিনি। বিগত দিনেও সফলতার সাথে ওয়ার্ডবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সফল কাউন্সিলর মোঃ মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা। জনসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগে কুড়িয়েছেন জনসাধারণের অকৃত্রিম ভালোবাসা।

এলাকার সার্বিক উন্নয়ন অর্থাৎ জনসাধারণের চলাচলের অনুপযুক্ত রাস্তাঘাটা মেরামত, নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ, ইউএনডিপি কর্তৃক কাজ বাস্তববায়ন, ড্রেন নির্মাণ, কবরস্থান নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, দূর্যোগকালীন ব্যবস্থাপনা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিদের ভাতা প্রদান, ঈদগাহ মাঠের উন্নয়ন, নগর মাতৃ সদন হাসপাতাল স্থাপন, নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন নিচু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাটি ভরাট, মসজিদ-মাদ্রাসা ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান, বৃক্ষ রোপন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানে শিক্ষা উপকরণ প্রদান, সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন কার্যক্রমসহ জনকল্যাণমুখী নানাবিধ উন্নয়ন কার্মকান্ড বাস্তবায়ন করেন কাউন্সিলর মোঃ মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা।

এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের মুখের পড়তে হয়েছে তাকে। ষড়যন্ত্রকারীদের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে ওয়ার্ডকে সুন্দর, বাসযোগ্য ও ডিজিটাল করণের মাধ্যমে মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা জনসাধারণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রাখতে স্থানীয় জনগণ ভোটের মাধ্যমে মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসাকে জয়ী করার কথা জানান।

১৬নং ওয়ার্ডের স্থানীয় জনগণ জানায়, পরিচ্ছন্ন ও পরিশ্রমী ব্যক্তির দ্বারাই সমাজ পরিবর্তন হয়ে থাকে। সমাজ বা এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তির কোন বিকল্প নেই। ব্যক্তি হিসেবে কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসাকে পরিচ্ছন্ন মনের অধিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন স্থানীয়রা। কর্মঠ, পরিশ্রমী, দক্ষ, সৎ, মেধাবী জনপ্রতিনিধি হিসেবে পুনরায় তাকে নির্বাচিত করতে চান তারা। তারা বলেন, বিগত দিনগুলোতে তার পরিশ্রমের কথা ভুলার নয়। আগে ৩নং ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট খানাখন্দে ছিল ভরা, চলাচলের জন্য একেবারেই ছিল অনুপযোগী। যার কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসার দিন-রাত পরিশ্রমের ফলে এখন আর সেই ভোগান্তি নেই। তিনি অতি অল্প সময়ে রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত করে চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছেন। তারা বলেন, রাস্তাঘাট ছাড়াও তার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডগুলো চোখে পড়ার মত। একজন জনপ্রতিনিধির সকল গুণাবলি তার মধ্যে রয়েছে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডকে আধুনিকায়ন, সুন্দর ও বাসযোগ্য একটি ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল তার ধ্যান, জ্ঞান ও স্বপ্ন। সেই লক্ষ্যে তিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেব বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হন। পরবর্তী দ্বিতীয় নির্বাচনেও জনসাধারণ ভোটের মাধ্যমে তাকে কাউন্সিলর হিসেবে সাদরে গ্রহণ করে নেন।

তিনি বলেন, দুইবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে ১৬নং ওয়ার্ডের লক্ষাধিক জনগণের নিরাপত্তা, চলাচলের জন্য রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, অসহায়কে সহায়তাদান, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, কবরস্থান নির্মাণ, নিরাপদে ঘরে ফেরার ব্যবস্থাসহ আরও নানারকম উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এলাকার জনসাধারণ উৎসাহ, সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়েছি। তাদেরকে আমি পাশে পেয়েছি। দেশের একজন সুনাগরিক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার লক্ষ ও উদ্দেশ্যই ছিল, আমার নিজ এলাকার উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের সেবক হয়ে তাদের পাশে থাকার।

Continue Reading