Connecting You with the Truth

নভেম্বরে নতুন কর্মপরিকল্পনা করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-চীন-ভারত ও মিয়ানমারের (বিসিআইএম) বাণিজ্য জোটের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণী বৈঠক। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক থেকেই আসতে পারে আঞ্চলিক এই বাণিজ্য জোটের নতুন পরিকল্পনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউড অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্যাটিজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস), ভারতের সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ (সিপিআর), চীনের ইউনান একাডেমী অফ সোশ্যাল সাইন্সেস এবং মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে বিসিআইএম’র সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে গবেষণা করছে। তিনটি অংশে ১২টি অধ্যায়ে যৌথ সমীক্ষার রূপরেখাগুলো নির্ধারণ হচ্ছে। এতে চার দেশীয় যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক বিষয়, সামাজিক ও মানব উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন, টেকসই উন্নয়ন, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, বিনিয়োগ ও অর্থায়ন, পণ্য ও সেবা, শক্তি প্রভৃতি বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে।
নভেম্বরের বৈঠকে এসব প্রতিষ্ঠানের গবেষণা থেকে গুরুত্ব বিবেচনা করে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিসিআইএম জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। তবে তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পারস্পরিক সুবিধামত সময়েই তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে বিসিআইএম জোটের বৈঠকটি জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। লোকসভা নির্বাচনের কারণে বৈঠকে যোগ দিতে অপারগতা জানায় ভারত। এরপর থেকেই পরবর্তী তারিখ নির্ধারণে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ। চীন ও ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে বিসিআইএম জোটের প্রস্তাব তোলা হয়। এর বাইরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকেও সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র হিসেবে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটেও ভারত ও চীনের পর বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকে গুরুত্ব দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। আর এসব বিষয়ে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা আসবে নভেম্বরে চট্টগ্রামে জোটের পরবর্তী বৈঠক থেকেই। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের কুনমিংয়ে বিসিআইএম জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জোটের সদস্য দেশগুলো ভবিষ্যতে বিসিআইএমকে কীভাবে পরিচালনা করবে তার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ এরই মধ্যে এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের সহযোগিতা সম্পর্ক স্থাপনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থার পাশাপাশি এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলোরও উৎসাহ রয়েছে। বিসিআইএম ফোরাম সংক্রান্ত এক ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। নব্বই দশকে বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারকে নিয়ে এ জোট গঠনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১৯৯৯ সালে চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত এক বেসরকারি সম্মেলনে এই ধরনের আঞ্চলিক জোট গঠনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হওয়ায় এটিকে ‘কুনমিং উদ্যোগ’ বলেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

Comments
Loading...