নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের সাথে সেনাবাহিনির তুমুল সংঘর্ষ
নাইজেরিয়ার বোকো হারাম সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বর্নো রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বামা শহর দখল করেছে। লড়াইয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে এবং প্রাণ বাঁচতে বামা থেকে পালিয়ে গেছে হাজার হাজার মানুষ। সেনারাও পালিয়েছে বলে জানিয়েছে অধিবাসীরা। তবে কয়েকটি সেনাসূত্র বলেছে, বামার নিয়ন্ত্রণ এখনো সেনাবাহিনীর হাতে। বর্নো রাজ্যে এ শহরটি দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বোর্নো রাজ্যের রাজধানী মাইদোগুরি থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে বামা শহর দখলের লড়াই হয় বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন। রাতে সেনাবাহিনী বোকো হামার জঙ্গিদের একাধিক আক্রমণ প্রতিহত করলেও মঙ্গলবার সকালের দিকে তারা আবারও শহরের বড় অংশের দখল নেয়। নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এনিয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি। উভয় পক্ষে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। বোকো হারাম গত মাসে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর এবং গ্রামগুলোতে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। এ খবর নিশ্চিত হয়ে থাকলে বোকো হারামের বামা শহর দখল করে নেয়াটা আরো অনেক বড় ধরনের অগ্রগতি। এরপর বোকো হারাম মাইদুগুরি দখলের চেষ্টা নিতে পারে বলে উদ্বেগ বাড়ছে। রবি ও সোম দুইদিনের প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর বোকো হারাম বামা দখল করে বলে জানিয়েছে অধিবাসীরা। ট্যাংক এবং সশস্ত্র যান নিয়ে জঙ্গিরা প্রথমে শহরটির সামরিক ব্যারাকগুলো দখল করে। জঙ্গি হামলা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যায় সেনাসহ সাধারণ মানুষেরা। তবে নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, জঙ্গি হামলা প্রতিহত করা হয়েছে এবং লড়াইয়ে ৭০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। গত মাসে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের পর ক্যামেরুন সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত শহর গাওজার দখল নেয় বোকো হারাম। এক ভিডিও বার্তায় জঙ্গি সংগঠনটির প্রধান আবু বকর আল শেওকি ওই এলাকাটিকে ‘ইসলামি রাজ্য’ ঘোষণা করেন। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে বোর্নো রাজ্যের একটি বালিকা স্কুল থেকে কয়েকশ’ স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে বোকো হারাম। মেয়েদেরকে পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। ওই ঘটনার পর বোকো হারামের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন বিশ্ব নেতারা। এক পর্যায়ে জঙ্গিদের জিম্মি দশা থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন কিছু ছাত্রী।