Connecting You with the Truth

নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তৈরি করল ভারত

20120807.192109_20120807-subবিশ্বের ষষ্ঠ দেশ হিসেবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে পারমাণবিক ডুবোজাহাজ (নিউক্লিয়ার সাবমেরিন) তৈরি করেছে বিশ্বের উদীয়মান পরাশক্তি ভারত। আইএনএস আরিহান্ত নামে এ ডুবোজাহাজ দেশটির অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তমে নির্মাণ করা হয়। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক মহড়াও চালিয়েছে এটি।

এর আগে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন ও যুক্তরাজ্যের কাছেই এ ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী সাবমেরিন ছিল। এবার এ তালিকায় যুক্ত হলো ভারতের নামও। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সমুদ্রের গভীর থেকে মিসাইল ছুড়তে পারা এ সাবমেরিনটি ৬ হাজার টনের।

ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম এ সাবমেরিন ৮৫ মেগাওয়াটের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর বহন করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রকে বলা হয় কে-৪, যা ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার গতিবেগে কাজ করে। এছাড়া কে-১৫ ৭০০ কিলোমিটার গতিবেগের ক্ষমতা রাখে এটি। 

আরিহান্তের মূল আকর্ষণ এর পরমাণু রিঅ্যাক্টর ক্ষমতা। ভারতের নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি এ সাবমেরিন ৮৩ এমডব্লিউ রিঅ্যাক্টর চাপে কাজ করতে পারে।  

পরীক্ষামূলকভাবে আরিহান্ত থেকে বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে আরিহান্ত শুধু যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহৃত হবে। 

সাবমেরিনটি যখন যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ঘোষণা করা হবে তখন, বিশ্বের অন্য পাঁচটি দেশের সঙ্গে ভারতও পারমাণবিক ডুবোজাহাজের নকশা, প্রকৌশল ও পরিচালন পদ্ধতির অংশীদার হবে।

পারমাণবিক এ ডুবোজাহাজ বা ‍সাবমেরিনটি নিঃসন্দেহে একটি গুপ্ত অস্ত্র। মাসের পর মাস পানির নিচে থাকার জন্য উচ্চ গতিসম্পন্ন এ সাবমেরিনের পরমাণু শক্তির প্রয়োজন।

ভারতের মতো একটি দেশে পারমাণবিক শক্তি অনুমোদিতও হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। 

ভারতের আইএনএস চাকরা নামে আরও একটি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে, যা রাশিয়ার আকুলা-২ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। 

চাকরা পরমাণু সমৃদ্ধ অস্ত্র নয়, কিন্তু এই পারমাণবিক সম্পদ রক্ষা করার জন্য আরিহান্তের পরীক্ষা চালানো হতে পারে। 

অন্য অস্ত্র-শস্ত্রের কৌশলগত পদ্ধতির মতো আইএনএস আরিহান্তের উন্নতির জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশটির প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। 

Comments
Loading...