বিবিসি জানায়, ভূমিকম্পে পূর্ব উপকূলের ক্রাইস্টচার্চ শহর কেঁপে ওঠে। তবে শহরটির বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। হতাহতের ঘটনাও জানা যায়নি।
ক্রাইস্টচার্চের নগর কর্মকর্তা বলেন, উপকূল ঘিরে থাকা গিরিখাতের বেশ কয়েকটি স্থানে ধস নামে। যার ফলে সমুদ্র ও পাহাড়ি অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকায় ধূলার মেঘ সৃষ্টি হয়। ভালবাসা দিবসে হওয়া এ ভূমিকম্পের সময় ক্রাইস্টচার্চবাসীদের অনেকেই সৈকতে উপস্থিত ছিলেন।
বিবিসি’কে ওই কর্মকর্তা বলেন, “হঠাৎ করেই আমাদের পায়ের নীচের মাটি নরম হয়ে দেবে যেতে শুরু করে এবং বালির নীচ থেকে পানি উঠে আসতে থাকে। লোকেদের পা ডেবে গোড়ালি পর্যন্ত মাটির ভেতর ঢুকে যায়। প্রায় ২০ সেকেন্ড ধরে মাটি কাঁপতে থাকে।” আইল্যান্ডটি ক্রাইস্টচার্চ শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্বে। ভূমিকম্পের পর ৪০টির বেশি পরাঘাত হয় বলেও জানায় জিওনেট। ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় দুইশ’ মানুষ মারা যায়।
পুলিশ জানায়, ভূমিকম্প শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন হুড়াহুড়ি করে নীচে নেমে আসে। ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়ান ডিয়েল বলেছেন, “নিশ্চিতভাবেই ক্রাইস্টচার্চ উপকূলের খুব কাছে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প শহরের জন্য একটি বড় ধাক্কা। তবে পাঁচ বছর আগের তুলনায় আমাদের শহর এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।”