ইউক্রেইনে সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিকে আরো ‘অস্থিতিশীল’ করে তোলার জন্য রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন পশ্চিমা নেতারা। ওয়েলস-এ নেটো সম্মেলনের শুরুতে তারা এ সমালোচনা করেন।
নেটো এবং যুক্তরাজ্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেইনে তাদের অবস্থান না বদলালে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে।
সম্মেলনের আগে এক আলোচনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ নেতাদেরকে ব্রিফিং দেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেইনের সেনা এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ২৬শ’ মানুষ নিহত হয়েছে। পশ্চিমারা বলছে, পুতিন ইউক্রেইনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সীমান্তজুড়ে সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘের হিসাবমতে, পূর্ব ইউক্রেইনের সংঘাতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। সম্প্রতি দোনেস্ক , লুহান্সক এবং মারিউপোল শহরের আশেপাশে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা হামলা শুরুর পর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী। বিদ্রোহীরা মারিউপোলের বাইরের প্রতিরক্ষাব্যুহে গোলা হামলা শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ওই এলাকায় অন্তত দুটি সামরিক যানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বন্দুকের গুলির শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। দুই দিনের নেটো সম্মেলনে ইউক্রেইন সঙ্কটই প্রাধান্য পাবে। তবে নেতারা ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী (আইএস) এবং আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের বিষয়টি নিয়েও কথা বলবেন। টাইমস পত্রিকায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইতোমধেই বলেছেন, তারা আইএস এর সঙ্গে লড়বেন। বর্বর ঘাতকদেরকে তাদের দেশ ভয় পাবে না বলে জানিয়েছেন তারা।