Connecting You with the Truth

নয় বছর ধরে দোকান চালায় এই বিড়াল!

cat

অনলাইন ডেস্ক: বিড়াল বলে কি এতই তুচ্ছ? বিড়াল হয়ে জন্মেছে বলে কি কোনও দায়িত্বই থাকতে নেই তার? উহু! বিড়াল বলে দুদুভাতু বলা যাবে না মোটেই। কারণ গোটা একটা দোকান কিন্তু তারই জিম্মায়। কীভাবে? জানতে চোখ রাখুন গ্যালারিতে।
নয় বছর বয়স হল বোবোর। জন্মের কয়েকদিন পর থেকে এই দোকানেই মানুষ থুড়ি বিড়াল হয়েছে সে। নিউ ইয়র্কের চায়না টাউনের একটি মাল্টি গুড‌্স স্টোরের দোকানদার সে।
বোবো যখন মাত্র কয়েকদিনের তখন তাকে এই দোকানে এনেছিল এখানকারই একজন কর্মচারী। তিনি মারা গেলেও বোবো কিন্তু এখানেই রয়ে গিয়েছে। নয় বছর ধরে কোনও ছুটি নেয়নি বোবো। আর স্যালারি? না, সেটারও কোনও দরকার পরে না তার। তবে মাস গেলে মাইনে না মিললেও কাজে কোনও ফাঁকি নেই তার। রোজ সকালে দোকান খোলার পর থেকেই শুরু হয় চরম ব্যস্ততা।
দোকানের মূল দরজার সামনে ‘গুড বয়’ হয়ে বসে থাকে খরিদদারকে নিজস্ব ভঙ্গিমায় অভিবাদন জানানোর জন্য।মানুষের কথাও বুঝতে পারে। কার কী লাগবে তা শোনার পর ক্রেতাকে তাঁর প্রয়োজনীয় সামগ্রীটির সামনে নিয়ে যায়। দেখভাল করে গোটা দোকানের।
দোকান দেখভাল করাই শুধু নয়, কেউ স্টোর থেকে কিছু চুরি করছে কি না, বা সেলফি তুলছে কি না সবটাই খেয়াল রাখে বোবো। কোনও কিছু অপছন্দ হলেই লোম ফুলিয়ে নিজের কেতায় জানান দেয় ‘নট অ্যালাউড’। অ্যানি নামে এই দোকানেরই আর এক কর্মী তাকে ছোট থেকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এখন তাঁর তত্ত্বাবধানেই বোবো এই দোকান চালায়।
শুধু দোকানই চালায় না, ‘লভ মিয়াঁও’ নামে একটি ব্লগও রয়েছে বোবোর। রয়েছে ‘ট্যাবি_বোবো’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও। তবে বোবোর হয়ে অবশ্য তার সোশ্যাল মিডিয়া দেখভাল করেন অ্যানি।

Comments
Loading...