Connect with us

পঞ্চগড়

তেতুঁলিয়ায় পর্যটকদের বিনোদনে মহানন্দা নদীর তীরে তৈরি হচ্ছে ওয়াক ওয়ে

Avatar photo

Published

on

আসাদুজ্জামান আপেল, পঞ্চগড়:
বাংলাদেশ- ভারতকে ভাগ করা মহানন্দা নদী। দুই দেশের সীমান্তের কাটাতারের সৌন্দর্যসহ খালি চোখে দেখা আর হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত ঘেষা মহানন্দা নদীর তীরে তৈরি হচ্ছে ওয়াক ওয়ে। এই ওয়াক ওয়ের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য গ্যালারীও তৈরি করা হবে।

এজন্য বুধবার ১৮ আগস্ট তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণারের পশ্চিম সীমানা গেট সংলগ্ন মহানন্দা নদীর তীরে থাকা দোকানপাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অন্যত্র (পিকনিক কর্ণারের অভ্যন্তরে) স্থানান্তর করে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, পর্যটকেরা এখানে এসে যেন প্রর্কৃত বিনোদন পায় এবং তারা যেন মহানন্দা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে একই সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতকে তারা যেন ডাকবাংলো পিকনিক কর্ণার থেকে সু-স্পষ্ট দেখতে পারে এই সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই ওয়াক ওয়ে এবং গ্যালারী তৈরি করতে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিদ্রুত এর কাজ শুরু করা হবে।

পিকনিক কর্ণারের পশ্চিম সীমানায় নদীর তীরে দাড়িয়ে শীতকালের শুরুতে (অক্টোবর-নভেম্বর) ও শীতের শেষে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) এবং অন্যান্য সময়ে মেঘমুক্ত নীল আকাশে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিমালয় ও তিব্বত পর্বতমালার অংশ বিশেষ করে তুষার ও বরফ আচ্ছাদিত সাদা শুভ্র তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় রূপবৈচিত্র খুব চমৎকার ভাবে উপভোগ করা যায় বলে তিনি আরো জানান।

এদিকে তেতুঁলিয়া উপজেলা প্রশাসন জানায়, পর্যটন নগরী খ্যাত তেঁতুলিয়া উপজেলাকে আরো নতুন সাঝে সাজাতে এবং করোনার এই সময়ে সাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি পর্যটকদের প্রর্কৃত বিনোদন দিতে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো সংলগ্ন পিকনিক কর্ণারে নদীর তীরবর্তী স্থানে তৈরি করা হচ্ছে ওয়াক ওয়ে ও গ্যালারী।

মূলত বাংলাদেশের সর্বোত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রত্যন্ত একটি উপজেলা এই তেঁতুলিয়া। ভৌগলিক অবস্থাগত কারণে পর্যটন খাতে তেঁতুলিয়া উপজেলা সারাদেশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত দেশী-বিদেশী ভ্রমণ পিপাসু হাজারো পর্যটক তেঁতুলিয়া উপজেলা দর্শনের জন্য ভ্রমণ করে থাকেন।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে দুই দেশকে বিভক্তকারী নদী মহানন্দা। মহানন্দা নদী বাংলাদেশে গঙ্গার একমাত্র উপনদী। এটি বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্ত:সীমান্ত নদী। উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র মহানন্দা নদীর গা ঘেঁষে সুউচ্চ টিলার উপর অবস্থিত উপজেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার ও ডাকবাংলো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

জলসা বন্ধে বিক্ষোভ-অবরোধ, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

Avatar photo

Published

on

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) ৩ দিনব্যাপী জলসা বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মুসল্লিরা। এর মাঝে অবরোধে রাস্তার দুই ধারে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। এদিকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ঘর বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার সময় তৌহিদী জনতা ও মুসল্লিরা পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করে কয়েকটি ইসলামি সংগঠন। কাদিয়ানিদের জলসা বন্ধের দাবি তুলে টানা ৪ ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচি পালনের পর দুপুর ৩টার পরে সেচ্ছায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।

মুসল্লিরা জানান, কাদিয়ানিদের জলসা বন্ধের দাবিতে আমরা রাজ পথে নেমেছি। আমাদের দাবি- তাদের তিনদিন ব্যাপী জলসা বন্ধ করতে হবে। এদিকে আহমদ নগড় এলাকার সুমন বলেন, কিছু মোল্লারা আমাদের বাড়িতে এসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় পুলিশকে ফোনে অবগত করা হলে তারা অনেক দেরীতে আসে। এর মাঝে তারা আমাদের আরো অনেকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অতিরিক্ত টিম মোতায়েম করা হয়েছে। কিছু বহিরাগত লোকজন উত্তেজনা পরিবেশ সৃষ্টির জন্য হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছি।

Continue Reading

দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে রাস্তায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর সন্তান প্রসব

Avatar photo

Published

on

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে মহাসড়কের পাশে ফুটফুটে এক মেয়ে সন্তান প্রসব করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। গত রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের সামনে তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর নাম রনজিনা বেগম (৪০)। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমতলা এলাকার খতিবর রহমানের স্ত্রী। বাবার বাড়ি ধাক্কামারা ইউনিয়নের লাঠুয়াপাড়া এলাকায়।

এদিকে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পর তার পরিচয় শনাক্ত হয়। শিশুটি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শেখ রাসেল স্ক্যানুতে চিকিৎসাধীন থাকলেও ওই ভারসাম্যহীন নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নেয়া হয়েছে। তবে খবরের পর শিশুটিকে দেখতে হাশপাতালে ভিড় জমাতে শুরু করে স্থানীয় লোকজন।
জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বার পরেও মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় স্বামীর বাড়িতে না থেকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো। রোববার দুপুরে হঠাৎ প্রসব ব্যথা উঠলে সড়কের পাশে সন্তান প্রসব করে বসে থাকে সে। ভূমিষ্ঠ শিশুর কান্নায় পাশ দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের পঞ্চগড় জেলা ও বোদা শাখার নারী সদস্যরা তাকে দেখতে পেয়ে কাছে যায়। এর মাঝে তারা ৯৯৯-এ বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুসহ ভারসাম্যহীন নারীকে দ্রুত উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়।

এদিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে শিশুসহ ওই নারীর খোঁজ খবরসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েল সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফজলে রাব্বি বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সিভিল সার্জনকে অবগত করে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এখন তারা সুস্থ্য রয়েছে। তবে ওই নারী ভবঘুরে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দল পঞ্চগড় জেলার সাধারণ সম্পাদক লাইলি বেগম বলেন, আমাদের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মজিদা বেগম, বোদা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সাজিনা বেগম ও সদস্য নুপুর বেগমসহ প্রয়োজনীয় কাজে ইজিবাইক করে যাচ্ছিলাম। ওই ভারসাম্যহীন নারীকে রাস্তায় সন্তান প্রসব করতে দেখে ইজিবাইক থেকে নেমে তাকে সহায়তা করি। নারী হিসেবে এটা আমাতের কর্তব্য ছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে শিশুসহ তার জন্য কাপড়ের ব্যবস্থা করেছি।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভবেশ চন্দ্র পাল বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর তার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর ওই নারীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান জানান, নবজাতকসহ ওই নারী সুস্থ্য রয়েছে। শিশুটিকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

Continue Reading

দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে গতিরোধ করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আটক ৩

Avatar photo

Published

on

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় গত পহেলা জানুয়ারি রাতের আঁধারে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক মোবাইল টেলিকম ব্যবসায়ীর চলন্ত মোটরসাইকেলে হামলা চালিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার চার দিনের মাথায় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর, বুড়াবুড়ি ও বোয়ালমারি এলাকা থেকে তাদের আটক করে থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায় আটকৃতরা হলো, তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ইউসুফ (২৯), একই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে জুয়েল রালা (২৮) ও আজিজনগর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে নুর হোসেন (৩৩)। এদিকে ব্যবসায়ী আনোয়ার সোহেন আজিজনগর এলাকার কোম্পানিজোত গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, এদের সাথে আর কেও যুক্ত আছে কিনা সে বিষয়টি নিয়ে আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ছিনতাইয়ের বিষয়টি তারা শিকারোক্তি দেন। একই সাথে টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এজাহারে জানা যায়, গত রোববার (১ জানুয়ারি) রাতে তেঁতুলিয়ার মোবাইল টেলিকম ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। এদিকে তেঁতুলিয়ার আজিজনগর এলাকায় সড়কে ছিনতাইকারীরা রাতের আঁধারে তারকাটা দিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুত্বর আহত হলে এসময় ছিনতাইকারীরা তার কাছে থাকা দোকানের নগদ ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা ও মোবাইলফোন নিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। কিছু সময় পর অজ্ঞান অবস্থায় এক মাইক্রোবাস চালক তাকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনায় সুস্থ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী।

এদিকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি করেছে থানা পুলিশ।

Continue Reading