দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে দাওয়াতে ডেকে কিশোরীকে ধর্ষণ, সহায়তাকারী নারী আটক

Published

on

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দাওয়াতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় নারী শিশু নির্যাতন ও অপহরণ এবং ধর্ষণে সহায়তা করার অপরাধ আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণে সহায়তার দায়ে ববিতার (৪০) নামে এক নারীকে পুলিশ আটক করলেও ধর্ষক সাইফুল ইসলাম (২২) পালিয়ে যায়।

ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ববিতা পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া এলাকার মৃত রহমানের স্ত্রী। অপরদিকে ধর্ষক সাইফুল পঞ্চগড়ের নুনিয়াপাড়া চাকলা এলাকার আঃ গণির ছেলে।

সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে অভিযুক্ত ববিতাকে আসামী করে দুইজনের নামে থানায় মামলা দায়েরের পর ববিতাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

মামলার এজাহার জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে নিয়ে রাস্তার টিআর কাবিখার কাজ করে দিন যাপন করছিলো মা নাছিমা বেগম। কাজের একফাঁকে পরিচয় হয় আসামী ববিতার সাথে। সম্পর্ক কিছুটা ঘনিষ্ট হলে গত ২/৩ মাস আগে মেয়ে ও মাকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয় ববিতা। গত মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে মেয়েকে নিয়ে ববিতার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায় নাছিমা। সেখানে রাত থাকার পর বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে রাস্তার কাজ থাকায় মেয়েকে ববিতার বাড়িতে রেখে কাজে যান।

বিকেলে ফিরে ববিতা ও মেয়েকে না দেখতে পেয়ে ববিতার দুই মেয়েকে জিজ্ঞাস করে জানতে পারে তারা টুনিরহাটে বেড়াতে গেছে। রাতে ববিতা বাড়িতে একায় ফিরে জানায় তার মেয়ে তার এক বান্ধবির বাড়িতে অবস্থান করছে, সকালে ফিরবে। পরদিন মেয়ে না ফেরায় তাকে বললে সে কালক্ষেপন করে দুই দিন অতিবাহীত করে। এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের অবহিত করলে তাদের চাপে গত রোববার (৮ আগস্ট) রাত ৮টার সময়ময়দানদীঘি এলাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে আসা হয়। পরে মেয়ের কাছে স্থানীয় লোকজনসহ ঘটনাটি শুনে থানা পুলিশকে জানালে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ববিতাকে আটক করে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক আসামী সাইফুল পলাতক রয়েছে।

ওই কিশোরীর মা নাছিমা বলেন, মেয়ের কাছে জানতে পারি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সাইফুল নামে ওই ব্যাক্তির সাথে মোটরসাইকেলে করে ঠাকুরগাঁও নিয়ে যায় ববিতা। পরে ঠাকুরগাঁওএ একটি অজ্ঞাতনামা বাড়িতে তাকে রেখে ববিতা বাড়িতে চলে আসে। রাতে সাইফুল আমার মেয়েকে একা পেয়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে সে সেখান থেকে একায় বের হলে একজন মহিলার সহযোগীতায় ময়দানদীঘি এলাকায় আসে। আমার মেয়ের সাথে এমন ঘটনা ঘটায় আসামীদের আইনগত ব্যবস্থা ও বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া পিপিএম বলেন, মামলায় আটক ববিতাকে বিকেলের মধ্যে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে ধর্ষক সাইফুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version