Connect with us

দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ৪ মাসের অন্তঃসত্বা কিশোরী

Published

on

আসাদুজ্জামান আপেল:
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের কায়েতপাড়া এলাকায় বিয়ের আশ্বাসে কিশোরীকে ৫/৬ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫/৬ মাস যাবৎ কামরুল হাসান (২৭) ট্রাক চালক তাকে ধর্ষণ করে। এতে ৪ মাসের অন্ত:সত্বা হয়েছে সেই কিশোরী। অভিযুক্ত সদর উপজেলার কায়েতপাড়া এলাকার মৃত: বছির উদ্দীনের ছেলে ট্রাক চালক কামরুল হাসান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একই এলাকার দুলাল হোসেনের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে পরে বিয়ের প্রলোভনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে প্রায় ৫/৬ মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। এতে করে ওই স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে ৪ মাসের অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ে। এদিকে ওই মেয়ের শরীরের গঠনের পরিবর্তন ও অন্ত:সত্বার লক্ষ্মণ দেখা দেয়ায় পরিবার থেকে চাপ দিলে সে পাশের বাড়ির ট্রাক চালক কামরুল হাসানের নাম উল্ল্যেখ করে। কিশোরী মেয়ে বলে মা বাবা যখন কাজে বের হয় সে সময় আমাকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখাতো আর সেই সুযোগে প্রায় সময় জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে। এমন কি আমি এসব কথা কোথাও জানালে আমাকে ও আমার বাবা মাকে মেরে ফেলবে এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করার কথা বলে। তাই আমি ভয়ে কোথাও জানাতে সাহস পাইনি।

এদিকে ওই স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে সাক্ষাতে কথা বললে তিনি জানান, ৫ মাস আগে সে আমাকে তার বাড়িতে ডেকে বলে আমি যা বলবো এবং যা চাইব তাই তোমাকে দিতে হবে শুনতে হবে আর না শুনলে তোমার ক্ষতি করবো। আমি বলেছি কি কথা সে বলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো তুমি আমার কথায় রাজি হও। আমি ঘর থেকে বের হতে চাইলে সে আমার হাত ধরে বলে যদি তুমি চিৎকার কর তাহলে তোমাকে মেরে ফেলবো এবং ভয় দেখিয়ে বলে তোমার বাবা মাকে মেরে ফেলবো কেউ জানতে পারবে না। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার কথায় রাজি হয়ে সে আমার সর্বনাস করেছে আমি ৪ মাসের অন্ত:সত্বা এখন যদি সে আমাকে বিয়ে না করে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই আমার।

এদিকে মেয়ের পরিবার এবং তার মা বাবা জানায়, আমরা গরীব মানুষ আর এই গরীব হওয়ার সুযোগে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সর্বনাশ করেছে। মেয়ে এখন ৪ মাসের অন্ত:সত্বা। সে আমার মেয়েকে বিয়ে না করলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করলে এর দায়ভার কে নেবে। তাই আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

এদিকে ট্রাক চালক কামরুল হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে মেয়ে ও তার পরিবার বলেছে আমি ওই মেয়েকে ধর্ষন করেছি এখন মেয়েটির গর্ভে ৪ মাসের অস্তঃসত্বা রয়েছে। এটা তারা মিথ্যা বলেছে। যদি ডিএনএ টেষ্টে আমার রক্তের সাথে মিলে যায় আমি ওই মেয়েকে বিয়ে করবো। তবে মেয়েসহ তার পরিবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করছে।

এবিষয় সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, এবিষয়টি নিয়ে মেয়ের বাবা মা ইউনিয়ন পরিষদে আমার কাছে আসে ঘটনাটি বলেছে। আমি চেষ্ঠা করবো সমাধান করার। এতে সমাধান না হলে তাদের আইনি আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেব।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *