Connect with us

রংপুর বিভাগ

পাটগ্রামে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

Avatar photo

Published

on

লালমনিরহাট : “বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দুর করি।” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উদযাপন উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (২৮ আগস্ট) পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে শহীদ আফজাল মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উদযাপন করা হবে।

সভায় জানানো হয়, পাটগ্রামে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ৬১৭ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে, যা উপজেলার চাহিদার তুলনায় ১৩ হাজার ৬৩ মেট্রিক টন কম। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে পাটগ্রাম উপজেলায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য সেক্টরে সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, জেলার মৎস্য সম্পদের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় বিষয়ক সেমিনার ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এছাড়া মৎস্য চাষে সফল ব্যক্তি/চাষি/উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান ও মৎস্যচাষ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে।সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন বিষয়ক তথ্য পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

হাসিবুল ইসলাম/বিডিপি

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২

Avatar photo

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নাসির উদ্দীন (২৫) নামের এক যুবক ভাঙচুর চালিয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে এ ভাঙচুর চালায় ওই যুবক। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদ এবং নৈশ্য প্রহরী হরকান্ত বর্মণ আহত হন।

আটককৃত নাসির উদ্দীন হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মারাধার গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

সূত্র জানায়, সকালের দিকে জেলা প্রশাসক ভবনের উপরে উঠে নাসির উদ্দীন। এরপর রাজ মিস্ত্রীর কাজে ব্যবহৃত একটি বেলচা দিয়ে ১০ কক্ষে ৩১ টি থাই গ্লাসের জানালা ও দরজা, মুজিব কর্নারের সব গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় অনেক শব্দ পেয়ে জেলা প্রশাসকের নৈশ্য প্রহরী হরকান্ত বর্মণ এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করার চেষ্টা করে ওই, যুবক। পরে তিনি পুলিশে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় নাসিরকে বাঁধা দিতে গেলে পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদকে বেলচা দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে নাসির উদ্দীনের প্রতিবেশী ইয়াশিন আলী বলেন, মাদরাসায় পড়ালেখা করতেন তিনি। কিছুদিন আগে থেকেই ছেলেটির মাথার সমস্যা দেখা দিয়েছে।

Continue Reading

Highlights

পাটগ্রামে আবারো বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী তরুণ নিহত

Avatar photo

Published

on

লালমনিরহাট জেলাদীন পাটগ্রামের কালিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তর্ক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিত এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছে।

সোমবার (৫ জুন) রাত ২টার দিকে পাটগ্রামের কালিরহাট বিওপি সীমান্তের মেইন পিলার নাম্বার ৮৫৭ ভারতের ২০০ গজ অভ্যন্তরে সরকারপাড়া নামক স্থানে ভারতীয় অংশের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়ান মীররাপা ক্যাম্পের টহল দলের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছে।

পরবর্তীতে বিএসএফের সহযোগিতায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। নিহত বাংলাদেশি পাটগ্রামের জগতবের ইউনিয়নের মেসেরডাঙ্গা এলাকার শাহ জামাল ছেলে ইউসুফ আলী (২৫) ।

বিজিবি ও পুলিশের সূত্রগুলোর দাবি, একটি দলে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি চোরাকারবারি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার রানীনগর এলাকা থেকে সোমবার রাতে গরু পাচার করছিলেন। ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়ানরা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউসুফ আলী (২৫) মারা যান।

জগতবের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ সীমান্তে পড়ে ছিল কিছুক্ষণ পর লাশ ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনা সত্য নিশ্চিত করেন বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শোনা যাচ্ছে।

৬১-বিজিবির তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ এর পরিচালক লে. কর্নেল এএম মাহবুবুল আলম খান এর মোটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Continue Reading

ঠাকুরগাঁও

অন্ধ পরিবারটির পাশে দাড়ালেন ভাষা সৈনিক দবিরুলের পুত্র

Avatar photo

Published

on

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
অন্ধ বাবা, আর প্রতিবন্ধী ভাইসহ পাঁচ পরিবারের সংসারে জন্ম নিয়ে সংসারের হাল টানছেন মেয়ে রিনা রানী। অভাবের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে প্রতিদিন শ্রম দিচ্ছেন অন্ধ বাবার সাথে। বাড়িতে মায়ের সাথে মাটির জিনিস তৈরির পর হাট-বাজার কিংবা গ্রাম-গঞ্জে ভাঙা সাইকেল যুগে অন্ধ বাবাকে নিয়ে ছুটেন রিনা।

বিক্রি সামান্য আয়ে নিত্যপূর্ণ ক্রয়ে বাড়ি ফেরা এখন তাদের নিত্যদিনের গল্প। বলছিলাম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর বালুবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সুবেশ চন্দ্র পালের পরিবারের কথা। রিনা রানী ছাড়াও দুই ছেলে রয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুবেশের সংসারে। লক্ষ্মী চন্দ্র (১৪) ও প্রহ্লাদ চন্দ্র (১৭)। পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় তারা অন্যের দোকানে কাজ করে।

কয়েক দিন আগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা সুবেশ চন্দ্র পালকে সঙ্গে নিয়ে বাইসাইকেলে করে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে লাহিড়ী বাজারের পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন বারো বছর বয়সী রিনা রানী। আর সাইকেলের একটি অংশ ধরে পেছন পেছন হাঁটছেন তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা।

তাদের এমন কস্টের হৃদয় বিদারক দৃশ্য চোখে পড়ে পার্শ্ববর্তী পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ আ.লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সসদ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ভাষা সৈনিক এ্যাডভোকেট মরহুম মুহম্মদ দরিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপের।

পরে তিনি পরিবারটির বাড়িতে খোঁজখবর নেন। বাস্তবতা বিবেচনায় একটি গবাদিপশু (গরু) প্রদানের আশ্বস্ত করেন। বাস্তবায়নে শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে গরুটি তুলে দেন ওই পরিবাটির হাতে। তবে হঠাৎ এমন উপহার পেয়ে অনেকটা খুশি অসহায় সুবাসের পরিবার ওই স্থানীয়রা।

মুনছুর আলী নামে এক শিক্ষক বলেন, জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর ও ভাষা সৈনিক দবিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপকে আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু জানি ওনার মতো হ্নদয়বান মানুষ যদি এ এলাকায় আরো দশটা থাকতো। তাহলে এই এলাকায় এতো অসহায় মানুষ থাকতো না। আরো উন্নত হতো। তিনি এ পর্যন্ত বহু পরিবারকে সাহায্য করেছে। আজ অন্ধ পরিবারটির পাশে এসে দাড়ালেন।

প্রতিবেশীরা জানান, রিনার বয়স যখন সাত বছর তখন থেকে তার বাবা তাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে ভিক্ষা করতেন। একটি লাঠি নিয়ে রিনা সামনে হাঁটত, তার বাবা সেই লাঠি ধরে পেছনে হাঁটতেন। মেয়েটার বয়স ১১-১২ বছর হওয়ার পর বিভিন্ন লোকজন নানা কথা বলা শুরু করে। এরপর মেয়েটা আত্মসম্মানের কথা বিবেচনা করে মায়ের তৈরি করা মাটির জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি শুরু করে। এভাবেই কোনোমতে তাদের সংসার চলছে। ফিলিপ দাদার অসংখ্য ধন্যবাদ যে অন্ধ পরিবারটি পাশে এসে দাড়ালো।

সুবেশ চন্দ্র পাল জানান, আমি অন্ধ মানুষ। মেয়ের সাহায্যে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করি। যে দুইটা বেটা (ছেলে) আছে একটা প্রতিবন্ধী আরেকটা সবল। মানুষের দোকানত কাজ করে। এলাও মাঝে-মধ্যে মাটির হাড়ি-পাতিল বিক্রি না হলে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করিবা যাছু। কাজ তো করিবা পারুনা। হামার কথা শুনেহেনে ফিলিপ দাদা আইচ্চে দেখিবা। একটা গরু দিলে আর কোন সমস্যা হলে ফিলিপ দাদা কহিবা কহিচে।

রিনা রানী জানায়, সমাজের আর দশটা মেয়ের মতো তারও আমারো ইচ্ছে হয় স্কুলে যাওয়ার, পড়াশোনা করে মানুষ হওয়ার। কিন্তু বাবা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বাড়ির পাশে একটি স্কুলে ভর্তি হলেও তৃতীয় শ্রেণি থেকে পড়ালেখা বাদ দেয়। এখন বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি এবং বাড়ির যাবতীয় খরচ করতে দিন কেটে যায়। আমার বয়সী ছেলে-মেয়েরা যখন স্কুলে যায়, মাঠে ঘাটে খেলা করে তখন তাদের দেখে আমার খুবই কস্ট হয়। কান্না পায়। আমারো সহপাঠীদের সাথে স্কুলে যেতে মন চায়। কিন্তু কপাল খারাপ গোটা সংসারটা আমার উপর পড়েছে।

রিনা আরো বলেন, বাবার সাথে হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে মাটির জিনিস বিক্রি করি। বেচাকেনা যা হয় তা দিয়েই চলে সংসার। সেদিন ফিলিপ কাকা আসছিলেন আমাদের খোঁজখবর নিতে। বললেন কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিবে। সত্যি সত্যি একটা আমাদের গরু দিলেন। এই কস্টের দিনে ফিলিপ কাকার উপকারের কথা কোন ভুলবো না।

এ বিষয়ে মো: আহসান উল্লাহ ফিলিপ বলেন, সুবেশ পাল তার কিশোরী মেয়ে নিয়ে ফেরি করে বেড়াচ্ছিলো এমন দৃশ্য দেখে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। পরে আমি পরিবারটি খোঁজ নিয়ে জানি তারা খুবই অসহায়। বাস্তাবতা বিবেচনায় আমি তাদের একটি গরু কিনে দেয়। বিত্তবানদের উচিৎ এমন অসহায় পরিবার গুলোর পাশে এসে দাঁড়ানো। আমি দেশবাসীর কাছে আহব্বান করব তারা যেন অসহায়দের পাশে এসে দাড়ায়।

Continue Reading