Highlights
পাবনায় হামলা ও খুন: জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন

Published
7 months agoon

নিজস্ব সংবাদদাতা:
পাবনায় অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কার্যালয়ে আন্দোলনের সদস্যদের উপর আকস্মিক হামলা ও একজনকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদ। বুধবার সকালে এই বর্বোরচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এরআগে ২৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের পাবনা কার্যালয়ে আন্দোলনের সদস্যদের উপর আকস্মিক হামলা চালিয়েছে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন হেযবুত তওহীদের একজন কর্মী, আহত হন আরো দশজন। রাত সাড়ে আটটার সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
মানববন্ধনে মূল বক্তব্য দেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির গণমাধ্যম সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা। আরো বক্তব্য দেন গুলশান শাখা সভাপতি গোলাম রব্বানি, যাত্রাবাড়ি শাখা সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ খান, মিরপুর শাখা সভাপতি আব্দুল হক বাবুুল, মতিঝিল শাখা সভাপতি মেসবাহ উল ইসলাম প্রমুখ। তারা নেক্করজনক এ হামলায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানান।
বক্তারা জানান, পাবনা শহরের চরঘোষপুর ৮ নং ওয়ার্ডের ভাটামোড় অবস্থিত কার্যালয়ে জেলা সভাপতি সেলিম শেখ আন্দোলনের ১৫/১৬ জন সদস্যকে নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করছিলেন। হঠাৎ করে ‘হেযবুত তওহীদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, খ্রিষ্টানের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ শ্লোগান দিতে দিতে কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র হামলাকারী। তাদের হাতে ছিল ধারালো চাপাতি, হাঁসুয়া, রাম দা, লাঠিসোটা, জিআই পাইপ, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। কোনো কথা না বলে তারা বৈঠকে উপস্থিত সবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে থাকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দশজন সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হন যাদের একজন পরবর্তীতে মারা যান। রাতেই দুজনকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে মো. সুজন (৩৩) রাত আড়াইটায় মারা যান এবং গুরুতর আহত আমিনুল ইসলাম (২৭) সেখানে আইসিইউ-তে রয়েছেন, যার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আলামিন শেখ (২৭) ও সেলিম শেখ (৪১)সহ অন্য ছয়জন।
হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা কার্যালয়ে প্রবেশকারী হামলাকারীদের সংখ্যা প্রায় ৪০/৫০ জনের মত ছিল। তবে কার্যালয়ের বাইরেও আরো অনেক সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল। হেযবুত তওহীদের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ পাবনা সদর থানায় ফোন করে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পৌঁছাতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা লেগে যায়। পুলিশ পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। জেলা সভাপতি সেলিম শেখ বাদি হয়ে চিহ্নিত ১৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলো- ওই এলাকার মৃত হারেজ শেখের ছেলে মো. আলাল (৪৮), মো. আল আমিন (২২), আলাল শেখের ছেলে মো. এনামুল শেখ (২০), মৃত ইমারত মোল্লার ছেলে মো. ইমরান মোল্লা (১৯), মো. রাসেল ওরফে ভোলা শেখের ছেলে মো. বাপ্পি (১৮), মো. আছব শেখের মো. মারুফ শেখ (২৫), মৃত আফা শেখের ছেলে মো. রাসেল ওরফে ভোলা শেখ (৩৫), মো. বাদশা শেখের ছেলে মো. হোসাইন (৩০), মো. আনছের শেখের ছেলে মো. বকুল শেখ (৩০), মো. জালাল শেখের ছেলে মো. শান্ত (২২), মো. জুলমত শেখের ছেলে মো. আজিম শেখ (৩২), মোঃ উম্মত শেখের ছেলে মো. সুমন শেখ (৩২), মো. ফজুল মণ্ডলের মো. শিমুল মন্ডল (৩৫), মৃত রওশন মণ্ডলেরর মো. রাফিক ডাক্তার (৪৫)।
মানববন্ধনে হেযবুত তওহীদ কেন্দ্রীয় কমিটির গণমাধ্যম সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা বলেন, ‘হেযবুত তওহীদ যেহেতু জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাই বেশকিছুদিন থেকেই আমরা উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের একটি হামলার ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছিলাম। তারা বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন থেকে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল এবং অপপ্রচারমূলক মিথ্যা বক্তব্যসংবলিত হ্যান্ডবিল এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে গত মাসেই আমরা পাবনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। সাধারণ ডায়েরি নং-৩৯৭, তারিখ: ০৬/০৭/২০২২। প্রশাসন সাধারণ ডায়েরিটিকে আমলে নিয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। নিলে আজকের এই ঘটনা ঘটত না।’
তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আরো বলেন, ‘যারা যারা এ হামলা চালিয়েছে এবং যারা পেছন থেকে ইন্ধন যুগিয়েছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ও ধর্মীয় সামাজিক পরিচয় যাই হোক না কেন তারা সন্ত্রাসী। কাজেই তাদেরকে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।’
You may like
-
নারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন
-
নারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন
-
পীর অনুসারীদের সন্ত্রাসী তৎপরতা: বরিশালে হেযবুত তওহীদের কর্মী সম্মেলন রূপ নিল প্রতিবাদ সমাবেশে
-
গাজীপুরে হেযবুত তওহীদ সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১২
-
ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১২
-
হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা কার্যালয়ে হামলা, আহত ১০
Highlights
মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে পুরস্কার পেলেন রাশিয়ান পাইলটরা

Published
7 days agoon
মার্চ ১৮, ২০২৩
কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ফাইটার পাইলটদের পুরস্কৃত করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু দুটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের পাইলটদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় একটি রুটিন মিশনে ছিল। রাশিয়ার দুটি যুদ্ধবিমান তা আটকানোর চেষ্টা করে। রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমানের আঘাতে ড্রোনটি অকেজো হয়ে পড়ে। পাইলটরা যারা দূর থেকে ড্রোনটি পরিচালনা করেছিল তারা তখন এটিকে কৃষ্ণ সাগরে ফেলে দিতে বাধ্য হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর মঙ্গলবারের সংঘর্ষটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ। যদিও মস্কো মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করার দাবি অস্বীকার করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন দেখে তারা ফাইটার জেট পাঠিয়েছিল। তবে ড্রোনের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়নি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, যুদ্ধবিমানের পাইলটদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এমকিউ-রিপার ড্রোনটি প্রবল বেগে চলার সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং পানিতে পড়ে যায়। ড্রোনটি ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রেখে উড়ছিল। যা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ আকাশসীমায় রাশিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ড্রোনের কাছে এসে এটিকে হয়রানি করে এবং এতে জ্বালানি ছিটিয়ে দেয়। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে এটিকে আটকানোর চেষ্টা করার পর একটি যুদ্ধবিমান দ্বারা ড্রোনটির প্রপেলারটি কেটে যায় এবং এটি সমুদ্রে পড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) মার্কিন সেনাবাহিনী এই এনকাউন্টারের ৪০ সেকেন্ডের সম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ড্রোনের কাছে আসছে। এ সময় এটি ড্রোনটির উপর জ্বালানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। এরপর ড্রোনটির প্রপেলার নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনাকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন একজন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল।
Highlights
জোড়া খুনের বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

Published
2 weeks agoon
মার্চ ১৪, ২০২৩
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে মিথ্যা গুজব রটিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নোয়াখালী জেলা হেযবুত তওহীদ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নোয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সামনে হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা সোনাইমুড়ির পোরকরায় অবস্থিত হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক, শিল্পভিত্তিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
বক্তাগণ অভিযোগ করে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের আজও বিচার হয়নি। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকা বহু আসামী স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর আশ্রয়ে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না। আর সেই সুযোগ নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও কুচক্রী মহল পুনরায় হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে হামলার ষড়যন্ত্র করছে।’
অনুষ্ঠানে সোনাইমুড়ীতে উগ্রবাদীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া ইব্রাহীম রুবেলের স্ত্রী হাজেরা আক্তার এর বক্তব্যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধনে হাজেরা আক্তার বলেন, মসজিদ নির্মাণের মত পবিত্র কাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হয় আমার স্বামী। এই উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীরা প্রচার করতে থাকে যে, হেযবুত তওহীদ খ্রিস্টান, তারা গ্রামে একটি গির্জা নির্মাণ করছে। এসব গুজব ছড়িয়ে ঘটনার দিন বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের নিয়ে এসে ‘খ্রিস্টান মারো, গির্জা ভাঙো’ স্লোগান দিয়ে তারা একযোগে হামলা চালায়। তারা আমার স্বামীর হাত পায়ের রগ কাটে, দুই চোখ উপড়ে ফেলে, পরে গলাকেটে আগুনে পুড়িয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। কি দোষ ছিল আমার স্বামীর? আমি কেন বিচার পাব না? কেন বিচারের দাবিতে আমাকে রাস্তায়-রাস্তায়, দ্বারে-দ্বারে ঘুরতে হবে? আর কতকাল ধর্মের মুখোষধারী, ধর্মব্যবসায়ী গুজব-সন্ত্রাসীদের এভাবে প্রশ্রয় দিয়ে যাওয়া হবে? আমি এর জবাব চাই, আমার স্বামীর খুনীদের বিচার চাই।
মানববন্ধন শেষে খোকন ও রুবেলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে এবং উগ্রতা, ধর্মব্যবসা, ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কেন্দ্রীয় সহকারী সাহিত্য সম্পাদক রাকিবুল হাসান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা সভাপতি মো. গোলাম কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন ধর্ম উন্মাদনা সৃষ্টি করে মানবতার কল্যানে নিয়োজিত অরাজনৈতিক অন্দোলন হেযবুত তওহীদের ২ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়ী-ঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় উগ্র সন্ত্রাসীরা।
Highlights
হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় কর্মী সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন

Published
2 weeks agoon
মার্চ ১১, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় কর্মী সম্মেলনে ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। হেযবুত তওহীদের এমাম সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, (১) হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যে সমস্ত আক্রমণ হয়েছে, সে সমস্ত অভিযোগগুলোকে আমলে নিয়ে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। (২) বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিলসহ ধর্মীয় অঙ্গনকে ব্যবহার করে যে সমস্ত উগ্রবাদী বক্তা পরিকল্পিতভাবে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে, মিথ্যাচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিচার করতে হবে। (৩) ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে আসল অথবা ফেইক আইডি ব্যবহার করে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারমূলক কন্টেন্ট প্রচারকারী, হত্যার হুমকি প্রদানকারী, গুজব রটিয়ে, মিথ্যা ফতোয়া প্রদান করে ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কানি প্রদানকারীদের পরিচয় ও অবস্থান চিহ্নিত করে আইসিটি আইনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। (৪) হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে যে সমস্ত মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, সে সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। (৫) হেযবুত তওহীদ যেন নির্বিঘ্নে সারাদেশে সভা-সমাবেশ করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অবিলম্বে প্রদান করতে হবে। (৬) সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-ধর্মব্যবসা-সাম্প্রদায়িকতা-মাদক, অপরাজনীতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইয়ের জন্য ইসলামের প্রকৃত ও অকাট্য ব্যাখ্যা সংবলিত যে শক্তিশালী আদর্শের প্রস্তাব করা হয়েছে তা দেশ জাতির কল্যাণে বিবেচনা করার জন্য সরকার ও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারক মহলের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (আজ ১১ মার্চ ২০২৩) রাজধানীর গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তন প্রাঙ্গণে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ও উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক এ কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব দাবি উত্থাপন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমগ্র ময়দান অতিথিদের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে।
হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রধান খাদিজা খাতুন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্নী, নারী ও শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে পাবনায় উগ্রবাদীদের হামলায় নিহত শহীদ সুজনের ভাই মো. ইয়াকুব মণ্ডল শহীদ সুজনের স্মৃতিচারণ করলে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এরআগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন রব্বানী।
এদিন সকাল ৯টায় পবিত্র কোর’আন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর একে একে শুভেচ্ছা বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের বিভাগীয় আমিরগণ উপস্থিত সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। তাদের বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের সুদীর্ঘ পথচলার বিপ্লবী ঘটনাপ্রবাহ, ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি কর্তৃক হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা ও জবাব, অনলাইন-অফলাইনে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে হুমকির প্রতিবাদ এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের স্বর উঠে আসে।
মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের এমাম বলেন, “একাত্তরে লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়া প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে নিয়ে আজকে গভীর চক্রান্ত চলছে। পশ্চিমাদের অনুকরণে তৈরি হওয়া পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক, সেক্যুলার আদর্শনির্ভর রাজনৈতিক দলগুলোর হানাহানি, সংঘাত, অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেশকে শেষ করে দিচ্ছে। এদিকে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে আশ্রয় করে তৈরি হওয়া বিভিন্ন দল-উপদল নিজেদের মধ্যে হানাহানি-রক্তারক্তিতে লিপ্ত। কয়েকদিন পরপর একেকটা ইস্যু সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। সেইসব ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য হামলা, জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদি ঘটনা নিত্য ঘটে চলেছে। এমনি একটি পরিস্থিতিতে সত্যের মশাল নিয়ে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে হেযবুত তওহীদ।”
হেযবুত তওহীদের বক্তব্য স্পষ্ট, দ্ব্যার্থহীন, অসঙ্গতিমুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হেযবুত তওহীদের বক্তব্যকে এক শ্রেণির উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক ধর্মব্যবসায়ী জনগণের কাছে পরিকল্পিতভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। ফলে আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠাকামী এই আন্দোলনের নিরপরাধ, নির্দোষ, আইন মান্যকারী সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, বাড়িঘর আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।”
হেযবুত তওহীদের মূল বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “হেযবুত তওহীদ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সমগ্র মানবজাতিকে প্রকৃত ইসলামের পথে আহ্বান করছে। সকল অন্যায়-অশান্তি, অবিচার, মারামারি, হানাহানি, অনৈক্য থেকে বের হয়ে ঐক্য, শান্তি ও ন্যায়ের পথে সকলকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। আজ যে মহাসঙ্কটের মুখে মানবজাতি পতিত তা থেকে বের হয়ে আসতে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এ কাজ শুধু আমাদের একার কাজ নয়। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষেরই আজ একই কাজ, একই দায়িত্ব। তাই সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা আসুন; আমাদের হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানবতার কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করি। যদি আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ না হন তাহলে অন্তত অপপ্রচার, প্রপাগান্ডা করবেন না।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি এনামুল হক বাপ্পা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন, বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি আল-আমিন সবুজ, খুলনা (অঞ্চল-১) সভাপতি মোতালিব খান, খুলনা (অঞ্চল-২) বিভাগীয় সভাপতি শামসুজ্জামান মিলন, সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আলী হোসেন, ঢাকা মহানগর প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেসবাউল ইসলাম প্রমুখ।
মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, ঢাকা বিভাগীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম, ঢাকা জেলা সভাপতি ইউনুস মিয়া, বৃহত্তর মিরপুরের সভাপতি আব্দুল হক বাবুল, বৃহত্তর যাত্রাবাড়ীর সভাপতি ওলিউল্লাহ, সাভার থানা সভাপতি সোহেল তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন হেযবুত তওহীদের তথ্য সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা ও শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান রিপন।
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ9 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস