Connecting You with the Truth

পায়রাও পারে পড়তে!

payra

উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রার মাঝে আপনাকে ছেড়ে দেয়া হল। কিন্তু কিছুক্ষন পর আপনি খেয়াল করলেন যে সূর্যের উজ্জ্বল রৌদ্রে চঞ্চল পাখনায় ওড়ার বদলে মেতেছে পড়াশোনায়! বই খুলে হরফ চেনার ব্যাপারে ব্যাস্ত পারা গুলো! তাদের গলার আওয়াজে কান পাতলে বকম বকম ভেদ করে শোনা যাচ্ছে এ, বি, সি, ডি! যদি এমন একটা দৃশ্য আপনার চোখে পড়ে, তবে আপনি চমকে উঠবেন অথবা ভিমড়ি খাবেন।

স্বাভাবিক ভাবেই চমকে ওঠারই কথা! তাই নিজেকে আর নিজের মনকে প্রস্তুত করে নিন আগে থেকেই! কেন না, সাম্প্রতিক সময়ে পায়ারাদের উপর একটি ব্যাতিক্রমধর্মী গবেষণা চালানো হয়। আর এই গবেষণার ফলস্বরূপ এক বিদেশি সমীক্ষা বলছে, পায়রারা না কি একটু-আধটু পড়তেও পারে। আর, পায়রাদের এই পড়াশোনার সূত্র থেকে খুলে যেতে পারে মানুষের ভাষাতত্ত্বের সূচনার এক যুগান্তকারী অধ্যায়। গবেষকরা দাবি করেছেন, পায়রাদের এই অক্ষর চেনার ক্ষমতা থেকেই জানা যাবে মানুষের পৃথিবীতে কী ভাবে অক্ষরজ্ঞান এল!

কিন্তু তার আগে পায়রাদের এই অক্ষর পড়তে পারার ক্ষমতায় একটু দৃষ্টি দেয়া দরকার! আপনি যদি ভেবে থাকেন পায়রারা গড়গড়িয়ে পাতার পর পাতা পড়ে চলেছে, তাহলে কিন্তু ভুল করবেন! ১৮টি বুদ্ধিমান পাখিদের নিয়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে পায়রাদের হরফ চেনানো সম্ভব। অন্য পাখিরা না পারলেও পায়রারা বেশ তাড়াতাড়িই অক্ষরজ্ঞান রপ্ত করে নেয়।

গবেষকরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পায়রারা না কি ভুল বানানও ধরতে পেরেছে! যেমন, তারা ‘very’ আর ‘vrey’র মধ্যে থেকে চিনে নিতে পেরেছে সঠিক বানানটা! প্রশিক্ষণের শেষে তারা ২৬টা থেকে ৫৮টা পর্যন্ত বানান শিখে নিতে পেরেছে! তাও সঠিক অর্থসহ! তাই চিন্তার বিষয় হল গিয়ে কীভাবে পায়রারা আয়ত্ত করতে পারছে মানুষের ভাষা?

গবেষকরা বলছেন, এর কারণ লুকিয়ে আছে ভাষার ইতিহাসে। অনেক ভাষাতত্ত্ববিদ বলে থাকেন, আদিম মানুষ ভাব আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার করত এক রকমের সঙ্কেত ব্যাবহার করতো যা পরে অক্ষরে রূপান্তরিত হয়। সেই সব সঙ্কেতের অর্থও না কি ছিল সর্বজনীন! তাই মানুষ না হলেও পায়রাদের অক্ষর চিনতে এবং শব্দের মানে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না! বিডিপি/আমিরুল

Comments
Loading...