খেলাধুলা
পা কেটে ফেলতে চেয়েছিলেন বাতিস্তুতা
স্পোর্টস ডেস্ক:
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের আক্রমণ ভাগের প্রাণ ছিলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। গোল করার বিস্ময়কর কারিশমার জন্য তাকে ডাকা হতো ‘বাতিগোল’ বলে। কিন্তু যে পা দিয়ে গোলের আনন্দে ভক্তদের নাচিয়ে তুলতেন, এক সময় নিজের সেই পা কেটে ফেলার জন্য চিকিৎসককে অনুরোধ করেতে বাধ্য হয়েছিলেন বাতিস্তুতা। দীর্ঘ ১৭ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের অভিশাপ হিসেবে অবসরের পর পায়ের অসহ্য ব্যথায় ভুগতে হয়েছে তাকে। এই ব্যথা সহ্য করতে না পেরে এক সময় চিকিৎসককে পা কেটে ফেলার অনুরোধ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন স্বয়ং বাতিস্তুতাই। ২০০৫ সালে ১৭ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে ইতি টানেন বাতিস্তুতা। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৭৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ৫৬ গোল। ইতালির ক্লাব ফিওরেন্টিনার হয়ে করেছেন ১৬৮ গোল। সবমিলিয়ে তার ক্যারিয়ারে রয়েছে ৩ শ’র বেশি গোল করার অভিজ্ঞতা। কিন্তু এর জন্য অবসরের পর কঠিন বেদনা সহ্য করতে হয়েছে বাতিগোলকে। বাতিস্তুতার ভাষায়, ‘অবসরের পরের সময়টায় পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেছি। এক সময় ব্যথা এতটাই প্রচণ্ডরূপ ধারণ করেছে যে, বিছানা থেকে নেমে বাথরুমে যাওয়ার কাজটাও করতে পারেনি। অথচ বিছানা থেকে বাথরুম ছিল মাত্র ৩ মিটার দূরে। আমি সত্যিই পায়ের এই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিলাম না। শেষে একজন অর্থোপেডিক চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি, পা কেটে ফেলে আমাকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার। এই কথা শুনে চিকিৎসক অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়েছেন। তার ধারণা হয়েছিল আমি নিশ্চয় পাগল হয়ে গেছি। কিন্তু পা কেটে ফেলার জন্য আমি তখন সত্যিই পাগলপ্রায়। অস্কার পিস্টুরিয়াসকে (একজন দৌড়বিদ) পা ছাড়াও কৃত্রিম পায়ে দৌড়াতে দেখার পর আমার মনে হয়েছে আমিও এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি। যদিও শেষ পর্যন্ত চিকিৎসক আমার পা কাটতে রাজি হননি।’ বর্তমানে পা অক্ষতই রয়েছে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। আর পায়ের অসহ্য ব্যথাও আর তেমন করে ভুগাচ্ছে না তাকে। চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতাই অনুভব করতে হচ্ছে বাতিস্তুতাকে।