Connect with us

বিবিধ

প্রিয় লোকদেরপশুর নামে ডাকে জার্মানরা!

Published

on

xcxcxc
রকমারী ডেস্ক:
কালিদাস নাম রেখেছি মেঘদূত লিখবো বলে। এই যে এতো এতো ই-মেইল আসে প্রতিদিন ইনবক্সে, শিরোনাম খুঁজতে খুঁজতে যক্ষ হয়ে যাই। প্রিয়া ও ভাসমান মেঘ প্রতিদিন তার অভিমানে জমা হয় নিঃসঙ্গ মানপত্র। যে পুতুল হারিয়ে গেছে ছেলেবেলার স্কুলে, তার কপালে চুমু খেয়ে রৌদ্দুর হই। ছায়ারা ঝরে পড়লে দেহের সঙ্গে প্রেম করে করে নতুন দিনের আষাঢ় বানাই, হাটুঁভাঙ্গা মেঘ নিয়ে। নাম খুঁজতে খুঁজতে কবি তার প্রিয়তমাকে অনেকগুলো উপমা দিয়ে মনের কথাটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রিয়তমার জন্য বাঙালি প্রেমিকদের কবি হওয়াটাও যেন স্বভাবসূলভ। কিন্তু জার্মানরা এটা কী করে? প্রিয় মানুষগুলোর জন্য তারা কেন কবি হয় না? আর কবি হলে তো প্রিয় মানুষগুলোকে পশুর নামে না ডেকে নিশ্চয়ই কোনো ভালো নামে ডাকতো! প্রিয় মানুষদের জার্মানরা যেসব নামে ডাকে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
মাউস (ইঁদুর):
জার্মান পুরুষরা প্রায়ই তাদের বান্ধবী বা স্ত্রীকে আদর করে ‘মাউস’ অর্থাৎ ইঁদুর বলে ডাকেন। কখনো কখনো আবার ছোটদেরও এ নামে ডাকা হয়।
হাজে (খরগোশ):
প্রিয় মানুষদের জার্মানরা হাজে (খরগোশ) নামেও ডাকে। তবে পুরুষদের চেয়ে নারীদেরই এই নামে বেশি ডাকা হয়। অবশ্য ইঁদুরের থেকে কিছুটা হলেও খরগোশ ডাকটা তুলনামূলক ভালো!
বেয়ার-শেন (ছোট ভাল্লুক):
যে পুরুষদের পেট মোটা, জার্মানিতে তাদের আদর করে ‘বেয়ার-শেন’ বা ছোট ভাল্লুক নামে ডাকা হয়। অবশ্য কাউকে যদি শুধু ‘বেয়ার’ বা ভাল্লুক বলে ডাকা হয়, তবে তিনি অনেকেই চটে যান।
ময়সেবেয়ার (ইঁদুর ভাল্লুক):
হাতি আর মানুষ কিংবা হুনুমান ও মানুষকে এক সঙ্গে কল্পনা করতে আপনাকে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ এ দুইয়ের সংমিশ্রণেই সৃষ্টি হিন্দুদের দেবতা গণেশ ও হুনুমান। তবে আপনি ইঁদুর আর ভাল্লুককে একসঙ্গে কল্পনা করুন তো। নিশ্চয়ই কল্পনায় আসছে না। তবে জার্মানরা কিন্তু সেটা করে ফেলেছেন। অনেক সময় তারা প্রিয়জনদের ‘ময়সেবেয়ার’ বা ইঁদুর ভাল্লুক নামে ডাকে।
শ্নেকে (শামুক):
কেউ যদি আপনাকে শামুক বলে ডাকে তখন কেমন লাগবে? নিশ্চয়ই চটে যাবেন। কিন্তু জার্মানরা তাদের প্রিয় মানুষকে এ নামেই ডাকে। অবশ্য এ নামের একটি বিশেষ মানেও আছে। কাউকে এ নামে ডাকা হলে জার্মানরা বুঝে যায় সে হয়তো কাছে আসতে চায়, মানে সং¯পর্শ চায়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *