ফরিদপুরে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
ফরিদপুর থেকে নাজিম বকাউল ঃ ফরিদপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেলা রাণী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ শিক্ষা বছরে প্রতিটি ছাত্রীর নিকট থেকে ৪/৫ শত টাকা অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করেছে। অপর (সরকারী বালক স্কুল) ফরিদপুর জিলা স্কুলে ছাত্রদের নিকট থেকে ভর্তি সেশন ফি নিয়েছে ৯০০ টাকা করে। আর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জিলা স্কুলের তুলনায় ৪/৫ শত টাক বেশি আদায় করেছে। সরকারী দুটি স্কুলের সেশন ভর্তি ফি সমমান হওয়ার কথা। সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তা মানতে রাজী হননি। তিনি অতিরিক্ত টাকা ছাত্রীদের নিকট হতে আদায় করেছেন। এ নিয়ে সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিবাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিববকরা প্রধান শিক্ষিকা বেলা রাণী সরকারের অন্যত্র বদলী দাবী করেন। তারা এও বলেন, প্রধান শিক্ষিকা বেলা রাণী সরকার সহকারী শিক্ষিকা থেকে প্রধান শিক্ষিকা পর্যন্ত এ দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে এই স্কুলে কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার কারণে ছাত্রী অভিবাবকদের সাথে সব সময়ই র্দুব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে স্কুলের লেখাপড়ার মান নি¤œমানের। বিশেষকরে মর্নিং সিফটে লেখাপড়ার অবস্থা খুবই লাজুক। প্রধান শিক্ষিকার ইচ্ছামত কিছু কিছু শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষিকার দূর্বলতার কারণে স্কুলের শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকেন। যে সকল ছাত্রীরা ক্লাস টিচারের নিকট প্রাইভেট না পড়লে তাদেরকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ছাত্রীরা ঐসকল ক্লাস টিচারের নিকট প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও উন্নয়নের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ বিষয় গুলি আমার জানা ছিল না। আমি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখব।
জেলা শিক্ষা অফিসার পরিতোষ মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোনটি খোলা থাকলেও তিনি ফোনটি রিসিপ করেন নি।
ফরিদপুরের ছাত্রী অভিবাবকরা প্রধান শিক্ষিকার অন্যত্র বদলীর দাবী করেন। নাম প্রকাশের না করা শর্তে একাধিক শিক্ষকরা জানান, কোন শিক্ষক তার অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের স্থানীয় প্রশাসনের ভয়-ভীতি দেখান। এরকম প্রতিবাদ করায় ২ শিক্ষক তানভীর ও রাসেলকে অন্যত্র বদলী করিয়েছেন।