ফরিদপুরে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার একটি গ্রামে ফুটবল খেলা চলাকালে দুটি উপজেলাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে প্রীতি ম্যাচ চলাকালে সালথা ও নগরকান্দার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সালথা থানার ওসি ডিএম বেলায়েত হোসেন বলেন, বিকালে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হরিনা আমজাদ আলী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মাঠে মাঝারদিয়া গ্রামের বিবাহিত এবং অবিবাহিত দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা চলছিল। খেলার শেষ দিকে পাশের নগরকান্দা উপজেলার ছাগলদী গ্রামের লোকজন মাঠে প্রবেশ করে দ্রুত খেলা শেষ করতে বলে। এতে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হলে অন্তত ৫০ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের মধ্যে সালথা উপজেলার নাসির (২৮), মোকলেস (৪০), বিটুল (৩৮) ও ফাইজুরকে (৩১) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং নগরকান্দা উপজেলার সৈয়দ আলী (১৭) ও সবুজ শেখকে (১৬) নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওসি বেলায়েত জানান, ঘটনার সময় হরিনা গ্রামের জেলে পরিবারের পাঁচটি বসতবাড়ি ও ছাগলদী বাজারে দুটি দোকানে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। পরে দুই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি। সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক বলেন, “খেলার মাঠটি ছাগলদী গ্রামের কাছাকাছি হওয়ায় তারা আমাদের লোকজনের ওপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে এবং জেলে পরিবারের বসতবাড়িতে হামলা চালায় এবং দুটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়।” নগরকান্দার কোদালিয়া-শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুজ্জামান অনু বলেন, বুধবার একই সময়ে ওই মাঠে ছাগলদী গ্রামবাসীর তত্ত্বাবধানে অন্য একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ থাকায় তাদের খেলা সংক্ষিপ্ত করতে অনুরোধ করেছিল ছাগলদী গ্রামবাসী। তিনি বলেন, “এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের লোকজনের ওপর আক্রমণ করে। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।” ওসি বেলায়েত বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।