Connect with us

Highlights

ফাইনাল খেলবে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স

Published

on

মরক্কোর স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখলো ফ্রান্স। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় আল বায়াত স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু’দল। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। থিও হার্নান্দেজের করা গোলে ম্যাচের শুরুতেই লিড পায় ফরাসীরা। এরপর একাধিক আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স ও মরক্কো। শেষ পর্যন্ত এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ফ্রান্স। বিরতির পর ম্যাচে ৭৯ মিনিটে গোল করে ফ্রান্সের লিড বাড়িয়ে দেন রান্ডাল কোলো। গোল শোধের লক্ষ্যে বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় মরক্কো। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের জয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় ফ্রান্স।

ম্যাচের শুরুতেই গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৫ মিনিটে আক্রমণ থেকে ডান দিক এমবাপ্পের কাছে বল বাড়ান গ্রিজম্যান। ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে শটও করেন এমবাপ্পে। তবে তা ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল পান ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা থিও হার্নান্দেজ। সেখান থেকে বল জালে জড়ান তিনি। হার্নান্দেজের দেওয়া গোলে ম্যাচের শুরুতেই লিড পায় ফ্রান্স।

ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে যায় মরক্কো। ম্যাচের ১০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন ওনাহি। তবে তা অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন হুগো লোরিস। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দু’দল। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ডান দিক থেকে ফ্রি কিক পায় মরক্কো। তবে তা ক্লিয়ার করে দেয় ফ্রান্সের ডিফেন্ডার।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে সোফিয়ান বাউফলের পাস থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পান জিয়েচ। তবে শট করতে ব্যর্থ হন তিনি। অন্যদিকে ম্যাচের ১৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে জোড়ালো শট করেন অলিভার জিরুড। তবে তা পোস্টে লেগে প্রতিহিত হয়। এরপর ম্যাচের গতি কিছুটা কমিয়ে আনে দু’দল।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে মরক্কো আক্রমণে গেলেও তা থেকে গোল বের করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর ম্যাচের ৩৪ মিনিটে কর্নার পায় ফ্রান্স। কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে শট করেন ইউসুফ ফোফানা। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জিরুড। ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি।

ম্যাচের ৪০ মিনিটে কর্নার পায় ফ্রান্স। কর্নার থেকে আসা বলে শট করেন ভারান। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। গোল শোধের লক্ষ্যে বেশ কিছু আক্রমণ করে মরক্কো। তবে গোল করতে ব্যার্থ হয় তারা। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে কর্নার পায় মরক্কো। কর্নার থেকে বল পেয়ে বাইসাইকেল কিক করেন জাওয়াদ এল ইয়ামিক। তবে তা পোস্টে লেগে প্রতিহিত হয়। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স।

বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে ক্রস করেন এমবাপ্পে। তবে তাতে কেউ মাথা ছোঁয়াতে না পারায় ব্যবধান বাড়ানো হয় না ফ্রান্সের। ম্যাচের ৫১ মিনিটে বল নিয়ে এমবাপ্পে এগিয়ে যায়। তবে দারুণ ট্যাকেলে তা বিপদ মুক্ত করেন সোফিয়ানে আমরাবাত।

ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ডান দিক থেকে পর পর দুটি আক্রমণ করলে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় মরক্কো। এরপর আরও বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে মরক্কো। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে আক্রমণে ওঠে ফ্রান্স।বাম দিক থেকে বল বাড়ান ইব্রাহিম কোনাটে। তবে তা ক্লিয়ার করে দেয় মরক্কোর ডিফেন্ডাররা।

ম্যাচের ৬৭ মিনিটে বাম দিক থেকে বল বাড়ান জিয়েচ। তবে তা নিজের গ্লাভসে নেন হুগো লোরিস। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। ফ্রি কিক থেকে বল বাড়িয়ে দেন গ্রিজম্যান। সেখানে ইব্রাহিম কোনাটে হেড করলেও তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে শট করেন ইউসুফ ফোফানা। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।

ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বলে নিয়ে ডদি বক্সে ঢুকে গেলেও শট করতে ব্যর্থ হয় আবদেররাজাক হামদাল্লাহ। তবে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। গোছানো আক্রমণ থেকে ডি বক্সের ভেতরে এমবাপ্পের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন বদলি নামা রান্ডাল কোলো। তার গোলে ম্যাচে দুই গোলের লিড পায় ফরাসিরা।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ করতে থাকে মরক্কো। তবে গোলের দেখা পায় না তারা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে কর্নার পায় মরক্কো। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয়ে ফাইনালে পা রাখে ফরাসিরা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *