Connecting You with the Truth

ফের চালু হলো আশুগঞ্জ ইউরিয়া সার কারখানা

ashugonj fertilizer millব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
আশুগঞ্জ সার কারখানায় দীর্ঘ দুই মাস পর ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। যান্ত্রিক ত্র“টির কারণে গত দুই মাস ধরে এর উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছিল। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ১২শ’ মেট্রিক টন করে প্রায় একশ কোটি টাকার ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। নিজস্ব উৎপাদন মজুদও প্রায় শূন্যের কোটায়। তবে আমদানি মজুদ থাকায় সার সংকটের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) ওমর খৈয়াম জানান, গত কাল সকাল ১০টা থেকে কারখানায় কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গ্যাস সরবরাহের স্বল্পতায় গত অর্থবছরের ১৭ মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ ছিল।” খৈয়াম জানান, সেপ্টেম্বরের শুরুতে গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হলেও বয়লার ইউনিটের সুপার হিটার এবং পাম্প নষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে কমপক্ষে ১০ দিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে। সবশেষ ৩ নভেম্বর থেকে সিংগ্যাস কম্প্রেসারের রোটরে ত্র“টির কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা মহাপরিচালক খৈয়াম বলেন, “স্পেসার পার্টস হিসেবে রক্ষিত আরেকটি রোটর ইতালি থেকে মেরামত শেষে নিয়ে এসে সংযোজন করা হলে দুই মাস পর গত ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে কারখানার স্টার্ট আপ হয়। গত কাল সকাল থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়।” চলতি অর্থবছরে এক লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)। কিন্তু দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় গত ছয় মাসে ৪২ হাজার ৭শ’ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন হয়েছে। এতে এই অর্থবছরে কারখানার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে। কারখানার নিজস্ব ইউরিয়া মজুদ রয়েছে ৬৩৯ মেট্রিক টন। আমদানি মজুদ রয়েছে ৪৭ হাজার ৬৬৩ মেট্রিক টন। পাশাপাশি প্রতিদিনই কারখানায় আমদানিকৃত আরও সার আসছে। তাই কৃষক পর্যায়ে সারের ঘাটতি বা সার সংকট দেখা দেবে না বলেও জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “কারখানার নিজস্ব মজুদ ৬৩৯ মেট্রিক টন। তাছাড়া আমদানিকৃত সারের মজুদ রয়েছে ৪৭ হাজার ৬৬৩ মেট্রিক টন, আরও সার আসছে। ফলে সার সংকটের আশঙ্কা নেই।”

Comments
Loading...