কুড়িগ্রাম

ফেলানী হত্যার ৪র্থ বছর আজ

Published

on

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী হত্যার চার বছর পূর্ণ হল আজ। দ্রুত বিচার এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবীতে কুড়িগ্রামের রামখানা বানারভিটা গ্রামে নানা আয়োজনে দিনটি পালন করছে পরিবার ও এলাকাবাসী। ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট। ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ১৯ আগষ্ট স্বাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও মামা আবু হানিফ। ৬ সেপ্টেম্বর আসামী অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় কোর্ট। সে রায় প্রত্যাক্ষান করে ফেলানীর বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪সালের ২২ সেপ্টেম্বর পূর্ন:বিচার শুরু হলেও তা স্থগিত করে কোর্ট। পরবর্তীতে ১৬ নভেম্বর শুরু হয় মামলার কার্যক্রম। ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে স্বাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। বিজিবির কুড়িগ্রাম ৪৫ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার মেজর এটিএম হেমায়েতুল ইসলাম ও কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকনও ছিলেন ভারতের বিশেষ কোর্টে। ১৮ নভেম্বর বাড়ি ফেরার সপ্তাহ না যেতেই ফেলানীর বাবা জানতে পারেন আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে বিচারের কার্যক্রম। এতে বিচার নিয়ে শংকিত ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম হত্যার চার বছর পূর্ণ হলেও বিচার না হওয়ায় শঙ্কিত ফেলানীর মা জাহানারা বেগম। তবে আশা প্রকাশ করেন দ্রুত বিচার সম্পন্ন করবে দু’দেশের সরকার। ভারতের কোচবিহারের বঙ্গাইগাও থেকে পিতার সাথে বাংলাদেশে আসার পথে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী ভোরে অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতার পাড় হওয়ার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। এ নির্মম হত্যাকান্ডের উপযুক্ত বিচার হবে এটাই প্রত্যাশা সবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version