Connect with us

দেশজুড়ে

বগুড়ায় বাঁধ ভেঙ্গে ৫০ গ্রাম প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

Published

on

বগুড়া প্রতিনিধি:

যমুনার প্রবল স্রোতের তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বগুড়ার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। সারিয়াকান্দী উপজেলার চন্দনবাইশা এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে দুই উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দীদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। আটকে পড়া লোকজনকে নৌকায় করে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতে বহু পরিবার তাদের বাড়ি-ঘরের চাল ও উঁচু মাচায় অবস্থান নিয়েছে। শত শত লোক রাস্তার ওপর ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

যমুনার পানি অস্বাভাবিক বাড়তে থাকায় গত কয়েকদিন ধরেই বন্যাকবলিত সারিয়াকান্দী-চন্দনবাইশা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে ছিল। এর সঙ্গে আরও এক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ালো বাঁধটিতে বিদ্যমান অব্যাহত ভাঙ্গন। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে স্রোতের তোড়ে বাঁধের প্রায় ২শ মিটার অংশ  ভেঙ্গে গিয়ে বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। মধ্যরাতে হঠাৎ বাঁধ ভাঙ্গা পানি বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করায় পানির গর্জন ও স্রোতে হতচকিত হয়ে পড়ে এলাকার লোকজন। বাঁধ সংলগ্ন এলাকাগুলোর লোকজন বাড়ি থেকে কিছু সরানোরও সুযোগ পায়নি। বাঁধ ভেঙ্গে সারিয়াকান্দীর চন্দনবাইশা, কামালপুর ও কুতুবপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঁধ ভাঙ্গা পানি প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী ধুনট উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নে। বাঁধ ভাঙ্গার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের তত্ত্বাবধানে আটকে পড়া লোকজনদের নৌকায় করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো। তাৎক্ষণিকভাবে দুর্গত এলাকার লোকদের জন্য চিড়া, মুড়ি ও গুড়সহ চাল বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও সেনাবাহিনীর একটি টিম দুর্গত এলাকায় সহায়তার জন্য প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ইতোমধ্যেই দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন বলেও জানা গেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *