Connecting You with the Truth

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাগরিকা ও বিবির হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানি পশু

B (2)চট্টগ্রাম ব্যুরো: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রামের নগরীর সবচেয়ে বৃহৎ সাগরিকা গরু বাজারে আসতে শুরু করেছে পশু। পাশাপাশি নগরীর বিবিরহাট বাজারেও গরু আসছে। প্রতিদিন উত্তবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা রকম উন্নত জাতের কোরবানি পশু ট্রাকে ট্রাকে নিয়ে আসছে বেপারিরা সাগরিকা ও বিবির হাট বাজারে।
জানা গেছে, বুধবার ভোর সকাল থেকে সাগরিকা ও বিবির হাট আকবর মামার গরুর বাজারে শতশত ট্রাকে করে আসছে ছোট মাঝারি, বড়, দেশীয় পশু। চট্টগ্রামের সকল ক্রেতার সুবিধার্তে বিভিন্ন সাইজের উন্নত গরু প্রবেশ করছে এসব বাজারে। ক্রেতার তেমন সমাগম না হলেও অনেকে বাজার ঘুরে বিভিন্ন পশুর দাম যাচাই বাচাই করে যাচ্ছে ।
আকবর মামার সাগরিকা ও বিবির হাট গরু বাজার ঘুরে দেখা গেছে একশ একর জমির উপর কোরবানি পশু রাখার সারি সারি বাশেঁর ডোগা সাজিয়ে রেখেছে। হাটের ভেতরে উচুঁ করে শামিয়ানী টাঙ্গিয়ে গরু রাখছেন দুরদূরান্ত থেকে আসা গরুর মালিকেরা। চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে পুরোনো ব্যবসায়ী আকবর মামা বলেন গরু রাখার স্থানে উপরে রয়েছে তেরপাল ছাউনি যুক্ত সকল পশু রাখার স্থান, কোরবানি পশুর জন্য খাবার, খড় ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। কোরবানির পশুর উপর প্রচন্ড রোদ বৃষ্টি যাতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রেখে সম্পূর্ন বাজারে রয়েছে ছাউনি বেষ্টুনিতে ঘেরা। সাগরিকা বাজারে পশু চিকিৎসক রয়েছে ৩০ জনের ও বেশী। কুষ্টিয়া,নাটোর, ফরিদপুর, রাজশাহী, কুমিল্লা, ফেনী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, যশোর, টাঙ্গাইল,নওগা, ঝিনাইদহ থেকে সরাসরি আকবর মামার বাজারে নিয়ে আসে কোরবানি পশু। রয়েছে বেপারিদের বিভিন্ন রকম সুবিধা সাগরিকা ও বিবির হাট যেসব বেপারিরা পশু নিয়ে আসে তাদের জন্য রয়েছে নানা রকম সুবিধা যেমন, বেপারির কেন পশু মারা গেলে তাদের কে বিশ হাজার টাকা নগদ প্রদান করে বলে জানা গেছে। পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে রাতে থাকা খাওয়ার সু ব্যবস্থা রয়েছে। সাগরিকা ও বিবির হাট বাজারে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির ২৫০টি ডিপটিউবওয়েল ১৫০টির অধিক রয়েছে সেনিটারি বাথরুম। কোন বেপারি অসুস্থ হলে সাথে সাথে ডাক্তারের রয়েছে সুব্যবস্থা। রয়েছে সবসময় বিদ্যুৎ ও জেনারেটরের ব্যবস্থা। প্রতিবারের মত এবারও কোরবানি পশুর বাজারে রয়েছে চব্বিশ ঘন্টা সার্বক্ষনিক পুলিশের নিরাপত্তা এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে এক হাজার লোকেরও বেশী বাজারের নিরাপত্তাকর্মী। জাল টাকা সনাক্ত মেশিন রয়েছে বিশটির ও বেশী।
সিসি ক্যামেরার আওতাধীন রয়েছে সাগরিকা ও বিবির হাট কোরবানি পশুর বাজার। এব্যাপারে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, পুলিশ সবসময় কোরবানি পশুর বাজারে টহলরত রয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্য নিয়মিত বাজারে ডিউটিতে রয়েছেন। কোরবানি পশু কিনতে এসে যাতে কেউ হয়রানি শিকার না হয় সেদিকে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে পুলিশ।
আকবর বলেন, দাম একটু বেশী হলেও গতবারের চাইতে এবার বাজারে থাকবে দ্বিগুন বেশী গরু। সবধরনের সাইজের পশু পাওয়া যাবে অতি অল্প দামে। সাগরিকা বাজারে ৩০ হাজারেরও বেশী পশু রাখার স্থান রয়েছে। আশাকরি এবার চট্টগ্রাম নগরীতে কোরবানি পশুর কোন ঘাটতি থাকবেনা। তিনি আরও বলেন, এবার চট্টগ্রামবাসী ক্রেতাদের সুবিধা অনুযায়ী
বিভিন্ন ধরনের পশু বাজারে সবসময় থাকবে। বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানি পশু আসতে শুরু করেছে সাগরিকা পশু বাজারে।

Comments
Loading...