বর্তমান পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মাদক ও জঙ্গিবাদ : রংপুরে আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ( আইজিপি) ও কমিউনিটি পুলিশিং এর রূপকার একেএম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশ এবং জনগনের সর্ম্পকের দুরত্ব কমাতে হবে। এটি হলে মানুষের সঙ্গে পুলিশের সেতু বন্ধন সৃষ্টি হবে। আর এটি সম্ভব কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে। আমরা সেই পুলিশ বাহিনী তৈরী করতে চাই যাতে জনগনের নিকট জবাবদিহিতা থাকবে। বর্তমান পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মাদক এবং জঙ্গিবাদ দমন করা। জঙ্গীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। মানুষকে মেরে ইসলাম কায়েম এটি ধর্ম নয়। গতকাল মঙ্গলবার রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে বিভাগীয় কমিউনিটি পুলিশিং এর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন , মাদক সমাজে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদক সরবরাহ বন্ধ করার জন্য পুলিশ কাজ করছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকার জনগণ এবং কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যরা সবাই মিলে মাদকের কুফল সর্ম্পকে জনগণকে ধারণা প্রদান করতে হবে।
আইজিপি আরো বলেন, পেট্রোল বোমা ছুড়ে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারা কোন ধর্মে বলা নেই। গত ৫ জানুয়ারী ভোট বন্ধের নামে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠা, স্কুল কলেজ পুড়িয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনা জনগণ দেখেছে কারা এই সব অপকর্ম করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন জনগণের সেবক। জনগনকে সেবা দেয়া তাদের কাজ।
তিনি আরো বলেন, ১৮৬১ সালে পুলিশ বাহিনীকে তৈরী করা হয়। তখন এদেশ ব্রিটিশ ও পাকিস্তান শাসনামল ছিল । তখন পুলিশের ধ্যান ধারণা ছিল অন্যরকম। মানুষ পুলিশ বাহিনীকে ভয় করতো। মানুষের এই ভয় ভীতি দুর করতে হবে। জনগণ এগিয়ে এলে সমাজের যে কোন অপকর্ম দুর করা সম্ভব। কমিউিনিটি পুলিশিংকে মূল্যায়ণ করতে হবে। কারণ এখানে যারা কাজ করেন তারা নি:স্বার্থভাবে কাজ করেন। আমরা বলতে চাই যে সমস্ত থানায় ওসি পুলিশিং সদস্যদের মূল্যায়ন করবেনা তাদের থানায় থাকার কোন অধিকার নেই। এছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যা ও দিনাজপুরে খ্রিস্টান যাজককে হত্যার চেষ্টাকারিদের জনগণের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জনগণ পুলিশের সাথে থাকলে সমাজের সকল ধরনের অপকর্ম দুর করা সম্ভব।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ( ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার ,বেরোবি’র ভিসি প্রফেসর ড. একেএম নুর উন নবী, রসিক মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, কমিউনিটি পুলিশিং এর বিভাগীয় আহবায়ক আব্দুস ছালাম, সদস্য সচিব সুশান্ত ভৌমিক, রংপুর জেলা কমিটির আহবায়ক সদরুল আলম দুলু , জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এর আগে একটি বণাঢ্য র‌্যালী নগরীরর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এদিকে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির শুভ উদ্ধোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ( আইজিপি) একেএম শহীদুল হক । এ সময় রংপুর রেঞ্জ এর ডিআইজি (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবির, রংপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কার্দে জেলানী,৩০ নং ওয়ার্ড মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঙ্গুর হোসেন সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এছাড়াও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এরপর আইজিপি শহীদুল হক রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে, সেলুটিং ভয়েজ এর ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, প্যারেড গ্রাউন্ড ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা এবং আরটিসি ভবন ৭ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা প্রকল্প ব্যয়ে ভবনের উদ্বোধন করেন।

Comments (0)
Add Comment