Connecting You with the Truth

বৃহস্পিতবার খুলে দেয়া হচ্ছে ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার

%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8c%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95-%e0%a6%ab%e0%a7%8dবিডিপি ডেস্ক: নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক অংশ আগামীকাল বৃহস্পতিবার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বেলা ১১টায় ফিতা কেটে ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক অংশে যানবাহন চলাচল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এর আগে ৩০ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার ফ্লাইওভারের সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি অংশটি প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুইচ টিপে উদ্বোধন করেন। ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয় ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ শেষ করার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ৮ দশমিক ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এসে প্রকল্পের ব্যয় করা হয় ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। শুরুতে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ফ্লাইওভার প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে পরে দুই দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রথম দফায় ২০১৪ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। পরে তা বাড়িয়ে করা হয় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) প্রকল্পটিতে ঋণ দেয়। সংস্থা দুটির ৫৭২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও পরে তারা তা বাড়িয়ে ৭৭৬ কোটি টাকা করে। অন্যদিকে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের পরিমাণ ২০০ কোটি ৪৭ লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির কাজ করছে ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

Comments
Loading...