Connect with us

দেশজুড়ে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত

Avatar photo

Published

on

 বেরোবি প্রতিনিধি, রংপুর:

নানাবিধ সমস্যায় নিমজ্জিত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। হাটি হাটি  পা-পা করে প্রায় ৭ম বছরে এই নবীন উচ্চ বিদ্যাপিঠটি আজ নানাবিধ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। বিশেষ এক সূত্র থেকে জানা যায়, বিবিধ সমস্যার ফলে একে অপরের দায়ভার আর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এমনকি বর্তমান উপাচার্যকেও।

নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুঃখের কথা শোনার যেন কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস চালু হওয়ার ৪র্থ বছরেও শিক্ষার্থীদের জন্য নেই নিয়মিত পানি ও পয়ঃনিষ্কাষণের সুব্যবস্থা। বিশেষ করে একাডেমিক ভবন ৩-এর সমস্যা আরও প্রকট। মৌখিক ও লিখিতভাবে বারবার অভিযোগ করেও শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এ প্রচেষ্টা আজ ব্যর্থ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেন নজরেই আসছে না শিক্ষার্থীদের এই  সমস্যাটি। পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাষণের সুব্যবস্থার জন্য ২০১৩ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে লিখিত ও মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ, এমনকি শিক্ষকদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে দেখা করেও কোন স্থায়ী ফলাফল আসেনি। অভিযোগ করার পর সাময়িকভাবে পানি ও বাথরুম পরিষ্কার থাকলেও কয়েকদিন পর আবার সেই নোংরা অস্বাস্থ্যকর পানিবিহীন টয়লেট দেখতে পায় শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন বলেন, “শিক্ষকদের কথায় কাজ না হওয়ায় তারা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দেখা করে তাদের সমস্যার কথাগুলো বলেন। তিনি আমাদের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিন টয়লেটে পানি থাকলেও এখন আবার সেই্ সমস্যা। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টয়লেটে পানি সরবরাহের সমস্যাটি সমাধান করা হয়েছে। পানির সাপ্লাই লাইন থেকে সবকিছু ঠিক আছে। শুধু পাম্পের সুইচটি অন করলেই পানি পাওয়া যায়। আমাদের লোকবল কম হওয়ায় প্রত্যেকটি ভবনের নিরাপত্তা কর্র্মীদের এ ব্যাপারে পাম্প অন করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের ইমেজ নষ্ট করার জন্য এই ছোট্ট কাজটিও করছে না।

নবীন এই বিশ্বদ্যিালয়টি যেন চোরদের আড্ডাখানাতে পরিণত হয়েছে। ফলে লেগেই আছে একের পর এক চুরি। অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীরাই এর সাথে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, গত রমজানের ঈদের ছুটিতে প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলা থেকে তিন কর্মচারী বিদ্যুতের তার চুরি করার সময় হাতে নাতে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে ধরা পড়ে। এছাড়াও এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম থেকে ১৬টি ফ্যান, মার্কেটিং বিভাগের ক্লাসরুম থেকে ২টি ফ্যান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব থেকে কম্পিউটার এবং ব্যবসা অনুষদের ডিন মো. ফেরদৌস রহমানের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ চুরিসহ বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। এরকম অহরহ চুরির কারণে সম্মান এবং ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে। সংঘটিত চুরিসমূহের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কোনটিই সুষ্ঠুভাবে আশার আলো দেখতে পারেনি। সাম্প্রতিক কালে চুরির ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম চুরির তদন্ত চলছে বলে জানান।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নাজমুল হক বলেন, “চুরিগুলো মূলত বিশ্বদ্যিালয়ের ছুটির সময় সংঘটিত হচ্ছে। সে সময় ক্যাম্পাস ফাঁকা থাকে। তাছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের ইন্টারভালের সমস্যার কারণেও এ ধরনের চুরি সংঘটিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে যেন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারটি গুরত্বসহকারে দেখছি।

এদিকে বিশ্বদ্যিালয়ে চুরি ও দায়দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা মো. মোক্তারুল ইসলাম বলেন, “যদিও দায় দায়িত্ব পুরাপুরি নিরাপত্তা শাখার কিন্তু আমাদের মধ্যে কর্মঠ ব্যক্তির অভাবের কারণেই এসব ঘটছে। এজন্য আমরা এই সেক্টরটিকে ডেভেলপ করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তিনি আরও জানান, আমাদের কিছু নিরাপত্তার অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আমরা নিরাপত্তা শাখাকে জোরালো করতে পারছি না। যেমন, আমাদের গার্ডদের আলাদা পোশাক কিংবা নিরাপত্তার যাবতীয় সামগ্রীর অভাব রয়েছে। এছাড়াও মেইন গেটগুলো এখনো পুরোপুরি নির্মাণ  করা হয়নি। তাই আশা করছি অতি জরুরি এসব সমস্যার সমাধান হবে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭ম বছরে এবং হলের ফলক উন্মোচনের চার বছরেও ছাত্রদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল চালু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১১ সালের ১৭ই মার্চ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুল জলিল মিয়ার সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনীতি বিষয়ক তৎকালীন উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আলাউদ্দীন আহমেদ । যার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল ৬ই এপ্রিল ২০১০ সালে। ১৮ মাসের মধ্যে হলটি বসবাসের উপযোগী করার কথা ছিল। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ও ২য় ব্যাচের øাতক শেষ হওয়ার পরেও ছাত্রদের আকাক্সিক্ষত হল চালু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা আর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ব্যক্তিগত মালিকানার মেসগুলোতে অসহনীয় জীবন কাটাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। একদিকে যেমন মেসগুলোতে থাকতে হচ্ছে চড়া দামে অন্যদিকে লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম  ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাসেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা প্রায় শেষ, অথচ এখনো হলে উঠতে পারলাম না। পারব কিনা তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, ছাত্রদের জন্য ২টি হলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তন্মধ্যে শহীদ মুক্তার এলাহী হল এখনও নির্মানাধীন রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পূর্ণাঙ্গভাবে বসবাসের উপযোগী অনেক দিন আগেই হয়েছিল। অথচ কি কারণে হল চালু করা হচ্ছে না বিষয়টি সবার কাছে রহস্যজনক ও অজানা। হল দ্রুত চালু করতে বেশ কয়েকবার ছাত্র আন্দোলনও সংঘটিত হয়েছে। এদিকে ছাত্রশূন্য হলের দায়িত্বরত এক প্রভোস্ট গেলে স্থলাভিষিক্ত হন আরেক প্রভোস্ট। ছাত্রশূন্য হলের প্রভোস্টের কাজই বা কি এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই। জানা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বর্তমান প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন ড. মো. মোরশেদ হোসেন। এর আগে তার জায়গায় ছিলেন ড. আ. কালাম মো. ফরিদ-উল ইসলাম।

হলের ব্যাপারে দায়িত্বরত প্রভোস্ট ড. মো. মোরশেদ হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দেশজুড়ে

অন্য নারীকে মা বানিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি: অন্য নারীকে ধর্মের মা বানিয়ে পাচ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নকলার আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। আছাদুজ্জামান শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার আমজাদ হোসেনের ছেলে।

২৮ তারিখ রবিবার দুপুরে নকলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা না দিয়ে উলটো পুলিশ এবং সাংবাদিকদের দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আয়শা বেগম তারাফুলি। আয়শা নকলা উপজেলার কৈয়াকুড়ি গ্রামের বাসিন্ধা।

তিনি বলেছেন, আছাদুজ্জামান সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে ধর্মের মা বানায়। মায়ের দাবিতে নিয়মিত আমার বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। এক সময় আছাদ বিদেশে যাবে বলে আমাকে জানায় এবং আমার মেয়ের জামাইকে বিদেশে নিয়ে যাবে এই বলে সে আমার কাছ থেকে পাচ লক্ষ টাকা চায়। বানানো হলেও ছেলে বলে কথা, তাই আমি আমার স্বামীকে বুঝিয়ে সাক্ষী রেখে স্টেম্প করে টাকাগুলো দেই। পরে জানতে পারি সে যাবে না। আমার কাছে মিথ্যে বলে টাকা নিয়েছে। ঐ টাকা দিয়ে আছাদ দুটো ব্যাটারী চালিতো অটো কিনেছে।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন পর টাকা চাইতে গেলে আজ না কাল এসব বলে তালবাহানা শুরু করে এবং বলে আমি টাকা দিয়ে দিয়েছি। শুধু তাই নয় টাকা না দিয়ে অপরাধ চিএ নামের এক ম্যাগাজিনে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশ করায় এবং আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার (দলিল) স্টেম্প তাকে দিয়ে দিতে থানা থেকে এস আই সুমনকে পাঠিয়ে হুমকি দেয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্টেম্প না দিলে মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়। হুমকির বিষয়ে এসআই সুমন জানায়, আছাদুজ্জামানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি তদন্ত করতে তারাফুলির বাড়িতে যাই এবং দুই পক্ষকেই থানায় আসতে বলি। কিন্তু তারা কেউই থানায় আসে নি। আর স্টেম্প চাওয়ার ব্যাপারে তাদের সাথে কোন কথা হয়নি।
আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তারাফুলি বলেন, বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন প্রান নাশ এবং মামলার ভয়ে দিন পার করছি। আমি প্রশাসনের কাছে আছাদুজ্জামানের সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। আয়শা বেগম তারাফুলির পক্ষে তার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মেয়ের জামাই শরিফুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহ প্রীন্ট এবং ইলেক্ট্রনি· মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

Continue Reading

দেশজুড়ে

বাজুস এর কমিটি বাতিলের দাবীতে শেরপুরে স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীদের মানববন্ধন

Avatar photo

Published

on

শেরপুরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) এর জেলা শাখার কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে সাধারণ জুয়েলারী ব্যাবসায়ীরা।

বৃহস্প্রতিবার দুপুরে শহরের খরমপুর মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান, সহ-সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন সমেশ, সদস্য আফজাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বলা হয়, গত বছর ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্র ঘোষিত ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক চন্দন কুমার ঘোষ নিজ স্বার্থ চারিতার্থ করে কমিটির দুই জন সদস্যকে না জানিয়ে গোপনে বাকী ৩ সদস্য মিলে নির্বাচন কমিশন ও গঠনতন্ত্র বিরোধী ভোটার তালিকা করেন। এরপর ওই অবৈধ ভোটার তালিকা করে গত ২১ জানুয়ারী গোপনে তফসীল এবং ভোট বিহীন পকেট কমিটি ঘোষনা করেন। পরবর্তিতে আগামী ২৭ মে ওই কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের ঘোষনা করা হয়। এরই প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করা হয়। তারা আগামী ২৭ মে শনিবার অভিষেক অনুষ্ঠানের সামনে অবস্থান কর্রসূচী এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এবিষয়ে বর্তমান কমিটির সভাপতি ইলিয়াস আলী শুধু শহরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভোটার তালিকা করার কথা স্বীকার করে সকল সিদ্ধান্ত আহ্বায়ক কমিটির রেজুলেশন নিয়েই করা হয়েছে বলে জানান।

Continue Reading

ঢাকা

১৬নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা

Avatar photo

Published

on

আশিকুর রহমান:
এলাকার জনসাধারণের সেবা সুনিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পরপর দুইবারের নির্বাচিত ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী তিনি। বিগত দিনেও সফলতার সাথে ওয়ার্ডবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সফল কাউন্সিলর মোঃ মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা। জনসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগে কুড়িয়েছেন জনসাধারণের অকৃত্রিম ভালোবাসা।

এলাকার সার্বিক উন্নয়ন অর্থাৎ জনসাধারণের চলাচলের অনুপযুক্ত রাস্তাঘাটা মেরামত, নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ, ইউএনডিপি কর্তৃক কাজ বাস্তববায়ন, ড্রেন নির্মাণ, কবরস্থান নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, দূর্যোগকালীন ব্যবস্থাপনা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিদের ভাতা প্রদান, ঈদগাহ মাঠের উন্নয়ন, নগর মাতৃ সদন হাসপাতাল স্থাপন, নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন নিচু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাটি ভরাট, মসজিদ-মাদ্রাসা ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান, বৃক্ষ রোপন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানে শিক্ষা উপকরণ প্রদান, সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন কার্যক্রমসহ জনকল্যাণমুখী নানাবিধ উন্নয়ন কার্মকান্ড বাস্তবায়ন করেন কাউন্সিলর মোঃ মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা।

এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের মুখের পড়তে হয়েছে তাকে। ষড়যন্ত্রকারীদের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে ওয়ার্ডকে সুন্দর, বাসযোগ্য ও ডিজিটাল করণের মাধ্যমে মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা জনসাধারণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রাখতে স্থানীয় জনগণ ভোটের মাধ্যমে মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসাকে জয়ী করার কথা জানান।

১৬নং ওয়ার্ডের স্থানীয় জনগণ জানায়, পরিচ্ছন্ন ও পরিশ্রমী ব্যক্তির দ্বারাই সমাজ পরিবর্তন হয়ে থাকে। সমাজ বা এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তির কোন বিকল্প নেই। ব্যক্তি হিসেবে কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসাকে পরিচ্ছন্ন মনের অধিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন স্থানীয়রা। কর্মঠ, পরিশ্রমী, দক্ষ, সৎ, মেধাবী জনপ্রতিনিধি হিসেবে পুনরায় তাকে নির্বাচিত করতে চান তারা। তারা বলেন, বিগত দিনগুলোতে তার পরিশ্রমের কথা ভুলার নয়। আগে ৩নং ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট খানাখন্দে ছিল ভরা, চলাচলের জন্য একেবারেই ছিল অনুপযোগী। যার কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসার দিন-রাত পরিশ্রমের ফলে এখন আর সেই ভোগান্তি নেই। তিনি অতি অল্প সময়ে রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত করে চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছেন। তারা বলেন, রাস্তাঘাট ছাড়াও তার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডগুলো চোখে পড়ার মত। একজন জনপ্রতিনিধির সকল গুণাবলি তার মধ্যে রয়েছে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডকে আধুনিকায়ন, সুন্দর ও বাসযোগ্য একটি ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল তার ধ্যান, জ্ঞান ও স্বপ্ন। সেই লক্ষ্যে তিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেব বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হন। পরবর্তী দ্বিতীয় নির্বাচনেও জনসাধারণ ভোটের মাধ্যমে তাকে কাউন্সিলর হিসেবে সাদরে গ্রহণ করে নেন।

তিনি বলেন, দুইবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে ১৬নং ওয়ার্ডের লক্ষাধিক জনগণের নিরাপত্তা, চলাচলের জন্য রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, অসহায়কে সহায়তাদান, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, কবরস্থান নির্মাণ, নিরাপদে ঘরে ফেরার ব্যবস্থাসহ আরও নানারকম উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এলাকার জনসাধারণ উৎসাহ, সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়েছি। তাদেরকে আমি পাশে পেয়েছি। দেশের একজন সুনাগরিক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার লক্ষ ও উদ্দেশ্যই ছিল, আমার নিজ এলাকার উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের সেবক হয়ে তাদের পাশে থাকার।

Continue Reading