দেশজুড়ে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত

Published
8 years agoon
বেরোবি প্রতিনিধি, রংপুর:
নানাবিধ সমস্যায় নিমজ্জিত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। হাটি হাটি পা-পা করে প্রায় ৭ম বছরে এই নবীন উচ্চ বিদ্যাপিঠটি আজ নানাবিধ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। বিশেষ এক সূত্র থেকে জানা যায়, বিবিধ সমস্যার ফলে একে অপরের দায়ভার আর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এমনকি বর্তমান উপাচার্যকেও।
নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুঃখের কথা শোনার যেন কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস চালু হওয়ার ৪র্থ বছরেও শিক্ষার্থীদের জন্য নেই নিয়মিত পানি ও পয়ঃনিষ্কাষণের সুব্যবস্থা। বিশেষ করে একাডেমিক ভবন ৩-এর সমস্যা আরও প্রকট। মৌখিক ও লিখিতভাবে বারবার অভিযোগ করেও শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এ প্রচেষ্টা আজ ব্যর্থ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেন নজরেই আসছে না শিক্ষার্থীদের এই সমস্যাটি। পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাষণের সুব্যবস্থার জন্য ২০১৩ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে লিখিত ও মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ, এমনকি শিক্ষকদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে দেখা করেও কোন স্থায়ী ফলাফল আসেনি। অভিযোগ করার পর সাময়িকভাবে পানি ও বাথরুম পরিষ্কার থাকলেও কয়েকদিন পর আবার সেই নোংরা অস্বাস্থ্যকর পানিবিহীন টয়লেট দেখতে পায় শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন বলেন, “শিক্ষকদের কথায় কাজ না হওয়ায় তারা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দেখা করে তাদের সমস্যার কথাগুলো বলেন। তিনি আমাদের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিন টয়লেটে পানি থাকলেও এখন আবার সেই্ সমস্যা। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টয়লেটে পানি সরবরাহের সমস্যাটি সমাধান করা হয়েছে। পানির সাপ্লাই লাইন থেকে সবকিছু ঠিক আছে। শুধু পাম্পের সুইচটি অন করলেই পানি পাওয়া যায়। আমাদের লোকবল কম হওয়ায় প্রত্যেকটি ভবনের নিরাপত্তা কর্র্মীদের এ ব্যাপারে পাম্প অন করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের ইমেজ নষ্ট করার জন্য এই ছোট্ট কাজটিও করছে না।
নবীন এই বিশ্বদ্যিালয়টি যেন চোরদের আড্ডাখানাতে পরিণত হয়েছে। ফলে লেগেই আছে একের পর এক চুরি। অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীরাই এর সাথে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, গত রমজানের ঈদের ছুটিতে প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলা থেকে তিন কর্মচারী বিদ্যুতের তার চুরি করার সময় হাতে নাতে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে ধরা পড়ে। এছাড়াও এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম থেকে ১৬টি ফ্যান, মার্কেটিং বিভাগের ক্লাসরুম থেকে ২টি ফ্যান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব থেকে কম্পিউটার এবং ব্যবসা অনুষদের ডিন মো. ফেরদৌস রহমানের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ চুরিসহ বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। এরকম অহরহ চুরির কারণে সম্মান এবং ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে। সংঘটিত চুরিসমূহের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কোনটিই সুষ্ঠুভাবে আশার আলো দেখতে পারেনি। সাম্প্রতিক কালে চুরির ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম চুরির তদন্ত চলছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নাজমুল হক বলেন, “চুরিগুলো মূলত বিশ্বদ্যিালয়ের ছুটির সময় সংঘটিত হচ্ছে। সে সময় ক্যাম্পাস ফাঁকা থাকে। তাছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের ইন্টারভালের সমস্যার কারণেও এ ধরনের চুরি সংঘটিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে যেন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারটি গুরত্বসহকারে দেখছি।
এদিকে বিশ্বদ্যিালয়ে চুরি ও দায়দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা মো. মোক্তারুল ইসলাম বলেন, “যদিও দায় দায়িত্ব পুরাপুরি নিরাপত্তা শাখার কিন্তু আমাদের মধ্যে কর্মঠ ব্যক্তির অভাবের কারণেই এসব ঘটছে। এজন্য আমরা এই সেক্টরটিকে ডেভেলপ করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তিনি আরও জানান, আমাদের কিছু নিরাপত্তার অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আমরা নিরাপত্তা শাখাকে জোরালো করতে পারছি না। যেমন, আমাদের গার্ডদের আলাদা পোশাক কিংবা নিরাপত্তার যাবতীয় সামগ্রীর অভাব রয়েছে। এছাড়াও মেইন গেটগুলো এখনো পুরোপুরি নির্মাণ করা হয়নি। তাই আশা করছি অতি জরুরি এসব সমস্যার সমাধান হবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭ম বছরে এবং হলের ফলক উন্মোচনের চার বছরেও ছাত্রদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল চালু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১১ সালের ১৭ই মার্চ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুল জলিল মিয়ার সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনীতি বিষয়ক তৎকালীন উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আলাউদ্দীন আহমেদ । যার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল ৬ই এপ্রিল ২০১০ সালে। ১৮ মাসের মধ্যে হলটি বসবাসের উপযোগী করার কথা ছিল। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ও ২য় ব্যাচের øাতক শেষ হওয়ার পরেও ছাত্রদের আকাক্সিক্ষত হল চালু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা আর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ব্যক্তিগত মালিকানার মেসগুলোতে অসহনীয় জীবন কাটাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। একদিকে যেমন মেসগুলোতে থাকতে হচ্ছে চড়া দামে অন্যদিকে লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাসেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা প্রায় শেষ, অথচ এখনো হলে উঠতে পারলাম না। পারব কিনা তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, ছাত্রদের জন্য ২টি হলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তন্মধ্যে শহীদ মুক্তার এলাহী হল এখনও নির্মানাধীন রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পূর্ণাঙ্গভাবে বসবাসের উপযোগী অনেক দিন আগেই হয়েছিল। অথচ কি কারণে হল চালু করা হচ্ছে না বিষয়টি সবার কাছে রহস্যজনক ও অজানা। হল দ্রুত চালু করতে বেশ কয়েকবার ছাত্র আন্দোলনও সংঘটিত হয়েছে। এদিকে ছাত্রশূন্য হলের দায়িত্বরত এক প্রভোস্ট গেলে স্থলাভিষিক্ত হন আরেক প্রভোস্ট। ছাত্রশূন্য হলের প্রভোস্টের কাজই বা কি এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই। জানা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বর্তমান প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন ড. মো. মোরশেদ হোসেন। এর আগে তার জায়গায় ছিলেন ড. আ. কালাম মো. ফরিদ-উল ইসলাম।
হলের ব্যাপারে দায়িত্বরত প্রভোস্ট ড. মো. মোরশেদ হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
You may like
Highlights
বাউফলের সেই লাল মিয়ার পাশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

Published
6 days agoon
জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
মানবতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন। সংবাদ প্রকাশের পর বাউফলের সেই হতদরিদ্র লাল মিয়া হাওলাদারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
শনিবার দুপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা অসহায় দরিদ্র লাল মিয়া হাওলাদারের বাড়িতে যান। এসময় তিনি লাল মিয়াকে শীতবস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং তাকে সরকারি ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এরআগে গত শুক্রবার বাংলাদেশেরপত্র অনলাইনসহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় ‘আসমানী কবিতার রহিমদ্দির ঘরকেও হার মানায় বাউফলের লাল মিয়ার ঘর’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন সরেজমিনে নিজের চোখে সবকিছু দেখে দরিদ্র লাল মিয়াকে কম্বলসহ তার নিজের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। লাল মিয়াকে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় নিয়ে আসাসহ ঘর তৈরি করার জন্য আরও আর্থিক সাহায্য প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন মানবিক কর্মকাণ্ডে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন লাল মিয়া।
এদিকে অর্থিক সহায়তা ও ঘর পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান লাল মিয়া।
আসমানী কবিতার রহিমদ্দির ঘরকেও হার মানায় বাউফলের লাল মিয়ার ঘর
দেশজুড়ে
ঝিনাইগাতীতে ‘কল্পিত অভিযোগে’ মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Published
7 days agoon
জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
নির্বাচনে সমর্থন না করা, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধসহ বিভিন্ন আক্রোশে অনুসারীদের নিয়ে ‘নাটকীয় মানববন্ধন’ করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আকরাম হোসেন নামে এক ব্যাক্তি।
শুক্রবার বিকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ভালুকা গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মৃত আলী আকবরের ছেলে আকরাম হোসেন।
মানববন্ধনের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে কল্পিত অভিযোগ দিয়ে তার পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে এবং পরিবারের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।
৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আকরাম হোসেনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তার ছেলে ফজলুল করিম। তিনি বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি পার্শ্ববর্তী ফুলহারি গ্রামের ইউপি সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন মজনু মিয়া কল্পিত অভিযোগ তুলে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার করে আসছে। এমনকি পত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদেরকে হয়রানী করছে। এতে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের সুনাম, শান্তি ভঙ্গের মারাত্মক কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া মজনু মিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী- গত ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় ভালুকা গ্রামের জনৈক হাবিবর ও হালিমের বাড়ির সম্মুখে মৃত আঃ জলিলের পুত্র মোঃ মজনু মিয়াকে প্রাণ নাশের হুমকি ও রাম দা এবং চাকু নিয়া মারপিট মিথ্যা হুমকির কথা বলে এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে গালাগালি করা, হত্যার হুমকি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগেগ আকরাম হোসেনকে ১নং বিবাদী করা হয়েছে। ২নং বিবাদী করা হয় মো. ফজলুল করিম ওরফে ফজল হককে।
মজনু মিয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে আকরাম হোসেন বলেন, ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত তিনি ঢাকায় বিশ্ব ইজতেমায় ছিলেন। ২নং বিবাদী মোঃ ফজলুল করিম ওরফে ফজল হক ঘটনার পূর্ব থেকেই ঢাকায় অবস্থান করে ব্যবসায় লিপ্ত ছিলেন। ফরহাদ হোসেন ও জিব্রাইলকে ৩/৪ নং বিবাদী করা হয়েছে। মূলত ফরহাদ ও জিব্রাইল মো. মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত একটি মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারিতে বর্ণিত কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়াও মজনু মিয়ার অভিযোগ উল্লেখিত চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দেওয়ার বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভালুকা গ্রামের হালিম মিয়া বলেন, আমার বাড়ির সামনে যে ঘটনার কথা মজনু বলছে সেই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
মজনু মিয়া বলেন, আকরাম আমার সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে আসছে। তাই তার বিরুদ্ধে আমি মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি।
এদিকে মানববন্ধন ও অভিযোগের বিষয়টিকে ‘গ্রাম্য রাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছেন তার পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও তাদের।

শেরপুরে সন্ত্রাসী হামলায় মো. আবু সাইদ নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন। সেইসাথে তার সাথে থাকা এক ভরি স্বর্ণ, ১২ আনি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন এবং নগদ টাকাসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল ছিনতাই করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের নয়ানীবাজার সুজন জুয়েলার্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আবু সাইদের পিতা মো. শামছুদ্দিন সমেশ বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শহরের মুন্সিবাজারস্থ সুলতানা জুয়েলার্সের মালিক শামছুদ্দিন সমেশ এর ছেলে মো. আবু সাইদ দুপুরের দিকে গহনা তৈরীর জন্য এক ভরি ওজনের স্বর্ণ এবং একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে নয়ানীবাজার এলাকায় একজন কারিগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এসময় আবু সাইদকে দিঘারপার মহল্লার হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া, নয়ানীবাজার মহল্লার ইয়াকুব আলীর ছেলে আব্দুল জলিল, শিব বাড়ী মহল্লার সোহেল মিয়ার ছেলে শ্রাবন মিয়া এবং কসবা কাঠগড় মহল্লার শাখা নামে (পিতা অজ্ঞাত) কয়েকজন যুবক পথি মধ্যে গতি রোধ করেন এবং দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আবু সাইদের সাথে থাকা একটি স্বর্ণের চেইন এবং গহনা তৈরীর স্বর্ণ এবং নগদ টাকা ছিনতাই করে তাকে রাস্তায় ফেলে সন্ত্রাসীরা চম্পট দেয়। পরে আশপাশের লোকজন সাইদকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে সাইদ শষ্কামুক্ত বলে জানান শেরপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ বাদল জানায়, সন্ত্রাসী ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মামলার গ্রহনের জন্য তদন্ত করা হচ্ছে।
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ8 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস