হামলার সঙ্গে জড়িতদের আটকের দাবিতে কাস্টমসের সর্বশ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাৎক্ষণিকভাবে কাস্টমস ও বন্দরের কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছে। হামলার জন্য ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বেনাপোল কাস্টমসের পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম জানান, কাস্টমসে নিলাম আহবান করা হলেই স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রভাব খাটিয়ে তা হাতিয়ে নিতে চান। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত ছিলেন ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা কর্মীরা। আজ বেলা ১২ টার দিকে ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ যুগ্মকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে যুগ্ম কমিশনার তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ওপর হামলা করা হয়। ডেপুটি কমিশনার নিতীশ চন্দ্র তাকে ঠেকাতে আসলে তার ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের আটকের দাবিতে কাস্টমস ও বন্দরে সবধরনের কাজকর্ম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে বন্দরে থেকে সব ধরনের মালামাল খালাশ বন্দ রয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কাস্টমস হাউসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে সব ধরনের আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে। বন্দরের অভ্যন্তরে মালামাল বোঝ্ইা ট্রাক আটকে আছে। ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের সনাক্ত করে বেনাপোল পোর্ট থানায় প্রাথমিকভাবে ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।