কামাল হোসেন, বেনাপোল: ২০১৪ সনের ১৫ ফেব্রয়ারী বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমল মাতি শিক্ষার্থীরা মুজিবনগর বনভোজনে গিয়ে বেনাপোলে ফেরার পথে চৌগাছা থানা এলাকার সড়কে বাস উন্টে ঘটনা স্থলে ২৫ জন আহত হয় এবং ৬ জন ঘটনাস্থলে মারা যাওয়ায় স্তব্দ করে দেয় বেনাপোল বাসিকে।কোমল মতি এ শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা নিয়ে মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলে দেশ জুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়। ১৯ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দির্ঘ্য ১৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৩ জন মারা যায়। সেই থেকে বেনাপোল পৌর মেয়র এ দিনটি কে শোকের দিন হিসাবে ঘোষনা দিয়ে প্রতিবছর ১৫ ফেব্রুয়ারী দিনটিকে স্মরনয়ি করে রাখার জন্য পালন করছে।
আজ সেই ভয়াল ১৫ ফেব্রুয়ারী।স্বজনদের আহাজারি বন্ধদের কাণœার রোলে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে গোটা বেনাপোল বন্দর এলাকায়।শোকের এই দিনে বেনাপোল বল ফিল্ড থেকে শার্শা বেনাপোলের সরকারিÑবেসরকারি স্কুল কলেজ,মাদ্রাসা কিন্ডারগার্টেনের হাজার হাজার ছেলে মেয়ে সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক পেশাজিবী সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বেনাপোল পৌরপিতা আশরাফুল আলম লিটন অংশগ্রহন করে শোক র্যালির নের্তৃত্ব দেন।
র্যালিতে অংশগ্রহনকারি হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা চোখের জলে শোকের কালো পতাকা নিয়ে বের হয়ে বেনাপোল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন।এর পর বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৯ শিক্ষার্থীর স্মৃতি স্তম্ভে ফুলের মাল্য প্রদান করেন র্যালিতে অংশগ্রহকারি স্বস্ব স্কুল কলেজ এবং সংগঠনের নেতার কর্মিরা।
বেনাপোলের এই কোমল মতি শিক্ষার্থীরা অকালে ঝরে যাওয়ায় তাদের স্মরনে বেনাপোল পৌরমেয়র আশরাফুল আলম লিটন ৯টি কবুতর সংবলিত একটি বিজয় স্তম্ভ তৈরী করেন।আর সেই বিজয় স্তম্ভে প্রতিবছর এদের স্মরনে মাল্যদান সহ দোয়া মাহফিল এবং শোক র্যালি বের করেন।গত দুই বছর পার হলে ও শেষ হয়নি শোকের ছায়া। আজো তাদের স্বজনরা ঘনিষ্ট বন্ধুরা তাদের ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে।