Connecting You with the Truth

বেরোবি : বৃষ্টির পানিতে ভিজে ৫০ হাজার পরীক্ষার খাতা নষ্ট, পুলিশ ফাঁড়িতে অসন্তোষ

বেরোবি সংবাদদাতাঃ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কালের বৃষ্টির পানিতে প্রশাসনিক ভবনের ৩য় তলায় রাখা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য প্রায় ৫০ হাজার খাতা বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হতে বসেছে। এর ফলে প্রাথমিক ভাবে ক্ষতির পরিমান জানা না গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি বড় অঙ্কের টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানা গেছে। ঠিকমত তদারকি এবং অবহেলার কারনে এমনটি ঘটেছে বলে অনেকেই মনে করেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত পুলিশ ফাঁড়ির টিনশেড ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি কক্ষের মধ্যে ঢুকে পড়ে অবস্থানরত পুলিশদের বিছানা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক আসবাবপত্র ভিজে যাওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের নিজস্ব কোন স্টোর রুম না থাকায় শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষার খাতা প্রশাসনিক ভবনের ৩য় তলায় একটি কক্ষে রাখা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে ভবনের জানালা, দেয়াল এবং ছাদসহ বিভিন্ন দিক থেকে পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়ায় প্রায় ৫০ হাজার খাতা ভিজে যায়। তবে খাতা কেনার দায়িত্বে থাকা টেন্ডার কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং অফিসার এস এম আব্দুর রহিম জানান যে পরিমান খাতা ভিজে নষ্ট হওয়ার কথা বলা হচ্ছে তা আদৌ ঠিক নয়। তিনি বলেন, আমি নিজেই সেখানে গিয়ে দেখে এসেছি প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টির মত খাতা ভিজে গেছে।

এব্যাপারে আরও জানা যায় যে, প্রতিটি খাতার একটি করে ক্রমিক নম্বর আছে এবং সেটি অন্যান্য খাতার নম্বরের সিরিয়াল অনুযায়ী সাজানো থাকে। তাই একটি খাতার সিরিয়াল ঠিক না থাকলে অন্যান্য গুলো সাধারন ভাবে বাতিল বলে গন্য হবে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ এরশাদুজ্জামান সাথে যোগাযোগ করলে বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে বলা হয়েছে এবং এর বাইরে তিনি কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মোর্শেদ উল আলম রনি (অতিঃ দাঃ) খাতা ভিজে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এর পরিমান ও ক্ষতির বিষয়ে জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থানরত পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৃষ্টির পানিতে দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই। তাদের অভিযোগ একটু বৃষ্টির পানিতে ঘুমাতে পারেনা তারা। টিন শেড বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে বিছানার মধ্যে পানি পড়ে বিছানা-বালিশ ভিজে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে তারা শুধু দেখে যায় কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়না বলে অবস্থানরত পুলিশেরা অভিযোগ করে। পানি থেকে রক্ষা পেতে যেখানে যেখানে পানি পড়ে সেখানে বালতি দিয়ে পানি জমানো হয় বলেও জানান তারা।

ভোগান্তির ব্যাখা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানিয়েছি কিন্ত এখন পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Comments
Loading...