ভারতীয় টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের অবকাশকালীন বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে রিটটি খারিজ করে দেন। এ সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে করা রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২১ আগস্ট বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচারের লাইসেন্স ও অর্থ লেনদেনের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে নথিপত্র চেয়েছিলেন আদালত। এসব তথ্য গতকাল দাখিল করেন ভারতের স্টার গ্র“পের বাংলাদেশি এজেন্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। গত ৭ আগস্ট এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী। ২১ আগস্ট রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। ভারতের স্টার গ্র“পের বাংলাদেশি এজেন্টের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। রিটে বিবাদী করা হয় তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে। আবেদনে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়।
এছাড়া ভারতের তিনটি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা ৭ দিনের মধ্যে সম্প্রচার বন্ধ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবেদনকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ভারতে বাংলাদেশের কোনো টিভি চ্যানেল প্রচার হয় না। অথচ বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অবাধ সম্প্রচারের ফলে যুব সমাজ ধংসের সম্মুখীন। সর্বশেষ তাদের একটি টিভি চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে বাংলাদেশে অনেকে আÍহত্যা করেছে। তাই যুব সমাজকে রক্ষার্থে এ রিট করা হয়। এর আগে গত ৩ আগস্ট রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠান আইনজীবী এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়। নোটিশে বিবাদী করা হয় তথ্যমন্ত্রী, তথ্যসচিব ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে(বিটিআরসি)। এখলাস উদ্দিন জানান, ভারতে আমাদের দেশের চ্যানেল সম্প্রচারের অনুমতি দেয় না। কিন্তু আমাদের দেশে তাদের চ্যানেল চলছে। আর এতে সামাজিক অবক্ষয় ঘটেছে। সর্বশেষ তাদের একটি টিভি চ্যানেলের সিরিয়ালের চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে অনেকে আÍহত্যা করেছে।