আন্তর্জাতিক
ভারতের আদালত দুই নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করল

Published
8 years agoon
ভারতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত দুইবোনের দণ্ড কার্যকর স্থগিত করেছে আদালত। দেশটির ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত কোন নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি।
শিশু অপহরণ ও তাদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্যকরা এবং শিশুখুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে রেনুকা কিরণ সিন্ধে ও তার সৎবোন সিমা মোহান গাভিত মহারাষ্ট্রে এই অপরাধগুলো ঘটান।
জুলাইয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এই দুইবোন রেনুকা কিরণ সিন্ধে ও সিমা মোহান গাভিতের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন।
ক্ষমাভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি প্রত্যাখ্যান করায় ধরে নেয়া হয়েছিল, এই প্রথম দেশটিকে কোন নারী অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে যাচ্ছে।
প্রাণভিক্ষা নাকচ ও ফাঁসি কার্যকর করার মধ্যে যে সময় মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার পেয়ে থাকে তা আগামী শনিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই উচ্চ আদালতের আদেশে দণ্ড কার্যকর স্থগিত হয়ে গেল।
দণ্ডিত দুই নারী রেলস্টেশন, মন্দির, মেলা এবং বিভিন্ন পার্ক থেকে ১৩ শিশুকে অপহরণ করেন। এদের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৫ শিশুকে তারা হত্যা করেন।
এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৬ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতে পাওয়া তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। রায়ে সুপ্রিমকোর্ট জানায়, “শুধুমাত্র তারা নারী এ ছাড়া এই দুই নারীর শাস্তি কমাতে তাদের পক্ষে যাওয়ার মতো কোন পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি।”
পুলিশ নিহত ওই ৫ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। তাদের সবার বয়স ছিল ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে।
মঙ্গলবার দণ্ডিত ওই দুই বোন মুম্বাই হাই কোর্টে আপিল করেন। আপিল আবেদনে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরে ১৩ বছর বিলম্ব হওয়ার বিষয়টিকে অতিরিক্ত দাবি করে তার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানান।
দণ্ডিত দুই বোনের আইনজীবী সুদীপ যশওয়াল বলেন, “আদালত দণ্ড কার্যকরে এই অত্যাধিক বিলম্বের বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের আবেদন গ্রহণ করেছে।”
এ ব্যাপারে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
গত দুই বছরে ভারতে দুইজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তাদের একজন ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি মোহামেদ আজমল কাসাবকে ২০১২ সালের নভেম্বরে পুনেতে ফাঁসি দেয়া হয়। আর ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলার অভিযোগে কাশ্মিরের আফজাল গুরুকে দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি দেয়া হয়।
ভারতের ইতিহাসে কতজন এ পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলেছেন তা নিয়ে বির্তক আছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এই সংখ্যাটি ৫২।
কিন্তু ‘পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল রাইটস’ এর দাবি শুধুমাত্র ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যেই ১৪২২টি ফাঁসির ঘটনার দালিলিক উপাত্ত আছে তাদের সংগ্রহে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ভারতে কোন নারীর ফাঁসি কার্যকর হয়নি।
রেনুকা ও সিমার অপরাধের সঙ্গী ছিলেন তাদের মা আনজানাবাই। ওই শিশুদেরকে দিয়ে তিনি জোর করে ভিক্ষাবৃত্তি করাতেন। যে শিশুদের ‘উপার্জন ক্ষমতা’ কমে যেত তাদের হত্যা করা হত।
You may like
Highlights
ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের হামলার পর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার আশঙ্কা

Published
2 days agoon
জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শরনার্থী শিবিরে ইসরায়েলের এবারের হামলার ঘটনাটিই প্রায় দু দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণঘাতী হামলা। ইসরায়েলি সৈন্যরা একটি ভবনে গুলি, গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ব্যবহার করে অভিযান চালানোর ঘটনায় নয় ফিলিস্তিনি মারা গেছে।
দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে তাদের সৈন্যরা একজন ইসলামি জিহাদী জঙ্গীদের ধরতে গিয়েছিলো যারা বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিলো। তবে এখানে ঐতিহাসিক কিছু বিষয় রয়েছে। গত বছর পর্যন্ত সেখানে ইসরায়েলের অভিযান বাড়ছিলো এবং নতুন প্রজন্মের সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সাথে প্রায়শই তাদের সংঘর্ষ হচ্ছিলো।
অনেকেই ২০০২ সালের এপ্রিলের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করে এটি দ্বিতীয় ‘ইন্তিফাদা’ বা ফিলিস্তিনি আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করছিলো। ওই সময় ইসরায়েল একটি পূর্ণ সামরিক অভিযান চালিয়েছিলো যা জেনিনের যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। ওই সময় অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি আর ২৩ জন ইসরায়েলি সৈন্য মারা গিয়েছিলো।
এর জের ধরে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে অনেক বার আত্মঘাতি বোমা হামলা চালিয়েছিলো। জেনিন শিবিরেরের বড় অংশই তখন ধ্বংসের মাত্রার দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। পরে ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের সংগঠিত করার চেষ্টা শুরু করে।
গত বসন্তে ইসরায়েল ব্রেক দ্যা ওয়েভ নামে অপারেশন শুরু করে। এটি করা হয়েছিলো ব্যাপক ভাবে ফিলিস্তিনিদের বন্দুক ও ছুড়ি ব্যবহার করে হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায়। এর মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে কথিত ইসলামিক স্টেট সমর্থকরা। বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী মারাও যায় যার মধ্যে রাদ হাজেমও ছিলেন যিনি তেল আবিবের একটি বারে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন।
ফলে জেনিন আবারো আলোচনায় আসে। ইসরায়েলের তল্লাশি, গ্রেফতার ও অভিযান বেড়ে যায়। ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স বলছে যে তারা আরও হামলা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে পুরো পশ্চিম তীরে মৃত্যুর ঘটনা আরও বেশি। গত বছর সেখানে অন্তত দেড়শ ফিলিস্তিনি মারা গেছে। যাদের অনেকেই শুধু সামরিক গাড়ী লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছে। কেউ কেউ হয়তো শুধু পথচারীই ছিলো।
ইসরায়েলকে সবসময়ই জাতিসংঘ ও অন্য কিছু মানবাধিকার সংস্থা অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের জন্য অভিযুক্ত করে আসছে।ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সেখানকার শহরগুলোতে সীমিত শাসনক্ষমতেই রয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই জেনিন ও নাবলুসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন এই কর্তৃপক্ষ নব্বইয়ে অসলো শান্তি প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। মিস্টার আব্বাসের দল ফাতাহ পার্টির প্রবল প্রতিপক্ষ হামাস। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন ইসরায়েলের সাথে নিরাপত্তা বিষয়টি সমন্বয় করছে যার অর্থ হলো তারাই কিছু মিলিশিয়ার তথ্য আদান প্রদান করছে।
যদিও প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলছেন জেনিনে হামলার কারণে নিরাপত্তা সমন্বয় তারা বন্ধ করে দেবেন। তবে ২০২১ সালেই জেনিন শরনার্থী শিবির ও নাবলুসে কর্তৃত্ব হারিয়েছে। মে মাসে গাযায় হামাস ও ইসরায়েলের লড়াইয়ের সময় থেকেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সেখানে অজনপ্রিয় হয়ে পড়ে।
আবার ইসরায়েলের একটি জেল থেকে ছয় বন্দী টানেল খুড়ে বেরিয়ে গয়ে পড়ে ধরা পড়েছিলো। এর সবাই জেনিনের।মূলত জেনিন ও নাবলুসের নতুন প্রজন্মের যোদ্ধারা মাহমুদ আব্বাসের কর্তৃপক্ষকে প্রত্যাখ্যান করছে। তারা সশস্ত্র হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ হারাচ্চে। তারা নিজেদের জেনিন ব্যাটালিয়ন বলছে আর নাবলুসে তাদের পরিচিতি লায়নস ডেন হিসেবে।
জর্ডান থেকে চোরাচালান হয়ে আসা কিন্তু ইসরায়েরের ডিফেন্স ফোর্স ঘাঁটি থেকে চুরি বা বিক্রি হওয়া অস্ত্র তারা ব্যবহার করছে। আর এদের অনেকেই অনেক কম বয়সী যারা ২০০২ সালের ঘটনা মনেও করতে পারে না। ইসরায়েলের সেনাদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন একজন সাংবাদিক বলছেন, “এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থা। এসব লোকেরা লড়াই করতে চায়।তারা প্রাণ দিতে আগ্রহী”।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে তারা বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্যদের ওপর হামলা প্রতিরোধ করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বলছেন ইসলামি জিহাদীদের টেরর স্কোয়াড ইসরায়েলে হামলা করতে চাইছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই সোমবার ইসরায়েল গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
Highlights
ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে যে হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া

Published
4 days agoon
জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আব্রামস যুদ্ধ ট্যাংক পাঠালে তা পুড়িয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া প্রস্তাবিত চালান বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ হুঁশিয়ারি দেন। খবর আলজাজিরার।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আব্রামস ট্যাংক চালানের বিষয়টি নিশ্চিত করা না হলে, তা শুধু অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু হবে না।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে অনেক বিশেষজ্ঞ এ ধারণাটির অযৌক্তিকতা মনে করেন। পরিকল্পনাটি প্রযুক্তির দিক থেকে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, সর্বোপরি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ট্যাংকগুলো দিলে দেশটির সেনাবাহিনীতে যে সম্ভাবনা যুক্ত করবে তা তাদের বেশ শক্তিশালী করবে। তবে এই ট্যাংক অন্য সব ট্যাংকের মতো জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন তার আগের অবস্থানকে উল্টে ৩০টি আব্রামস যুদ্ধ ট্যাংক পাঠাবে।
Highlights
লস অ্যাঞ্জেলেসে চীনা নববর্ষের অনুষ্ঠানে গুলি, নিহত ১০

Published
1 week agoon
জানুয়ারি ২২, ২০২৩
লস অ্যাঞ্জেলেসে চীনা নববর্ষ অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও নয় জন।
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ জানুয়ারি) মন্টেরি পার্কে অনুষ্ঠিত চীনা নববর্ষ উদযাপনের স্থানের আশপাশে গুলি চালানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি সংবাদপত্র।
তার আগের দিন সেখানে কয়েক হাজার মানুষ এই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন।
মন্টেরি পার্ক লস অ্যাঞ্জেলেস কেন্দ্রীয় শহর থেকে ১১ কি.মি. দূরে অবস্থিত। এ ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে আরএমজি নিউজ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী পলাতক রয়েছে।
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ8 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস