আন্তর্জাতিক

ভারতের মানবাধিকারকর্মী শার্মিলা মুক্তির দুদিন পর আবারও গ্রেপ্তার

Published

on

ভারতের মনিপুর রাজ্যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়িয়ে করা সরকারি একটি আইন বাতিলের দাবিতে একযুগেরও বেশি সময় ধরে অনশনরত শার্মিলাকে আটকাদেশ থেকে মুক্তির নির্দেশ দেয় স্থানীয় একটি আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।

শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, নারীপুলিশের একটি দল প্রাদেশিক রাজধানী ইম্ফল থেকে অনশনরত অবস্থায় শর্মিলাকে জোর করে জিপে তুলে নিয়ে যায়।

তার অনশনকে ‘আত্মহত্যার প্রচেষ্টা’ উল্লেখ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দিলে বুধবার তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন।

মুক্তি পেয়েই তিনি সরকার যতদিন তার দাবি মেনে না নেবে ততদিন অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মনিপুর রাজ্যে মোতায়েন থাকা সেনাবাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন চালুর প্রতিবাদে ২০০০ সাল থেকে অনশন করে আসছেন শার্মিলা।

ওই অনশনকে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ অভিযোগ করে ২০০২ সালে তাকে পুলিশ আটক করে।

মঙ্গলবার তার আইনজীবী মানি খাইদেম বলেন, “আদালত তাকে মুক্তি দিয়েছে। অনশন করার কারণে ছানুর (শর্মিলা) বিরুদ্ধে আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা যায় না বলে বিচারক মত দিয়েছেন।”

শার্মিলার সমর্থকরা বলে আসছেন, তিনি (শার্মিলা) আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন না, বরং সরকারি একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছেন।

মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলের একটি সরকারি হাসপাতালে আটক রাখা হয় মানবাধিকারকর্মী শার্মিলাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সেখানে কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি। নাকে নল ঢুকিয়ে হাসপাতালে তরল খাবার খাওয়ানো হয়েছে শার্মিলাকে।

এনডিটিভি জানায়, ২০০০ সালে মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলে সামরিক বাহিনীর গুলিতে ১৪ নাগরিক নিহত হওয়ার পরই সশস্ত্র বাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দিয়ে করা আইনটির প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন শার্মিলা।

তার মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version