Connect with us

আন্তর্জাতিক

ভারতে উত্তরাখণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশে আকস্মিক বন্যা; নেপালে ২৪০ জনের প্রাণহানি

Avatar photo

Published

on

201481782043765580_20আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্য উত্তরাখণ্ডের পর এবার উত্তরপ্রদেশসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া গেছে। এ বন্যার জন্য উজানের দেশ নেপালকে দুষছে ভাটির দেশটি।

রোববার সকাল পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে ৫০ জনেরও বেশি লোকের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ। আর উত্তরপ্রদেশের প্রায় ৭টি জেলা তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন লাখেরও বেশি মানুষ। ভারি বৃষ্টিপাতে বন্যার খবর পাওয়া গেছে বিহারেও।
 
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, হিমালয়ের দেশ নেপালে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিপদসীমার ওপর দিয়ে সেখানকার নদীগুলোর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বাঁধগুলো ছেড়ে দেওয়ায় সে পানি ভাটির দেশ ভারতের ওপর এসে পড়ছে। মাত্রাতিরিক্ত পানি প্রবাহ উত্তর প্রদেশের প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাম তলিয়ে নিয়ে গেছে।

উত্তর প্রদেশের সেচ প্রকল্প বিষয়ক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দীপক সিংঘাল বলেন, শুক্রবার সূর্যু বাধের পানি সর্বোচ্চ সীমা দিয়ে প্রবাহিত হয়। হিসাবে দেখা গেছে, ২.৫ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়েছে এ বাধের ওপর দিয়ে। বাধগুলো যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেজন্য আমরা বাঁধ গেটগুলো খুলে দিয়েছি। শনিবার বিকেলে সমস্যা কিছুটা লাগব হলেও নেপালের ছেড়ে দেওয়া পানিতেই ভাসতে হচ্ছে উত্তর প্রদেশকে।

বন্যা মোকাবেলায় উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার রাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। বৈঠকে সর্বোচ্চ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

নেপালে বন্যায় ২৪০ জনের প্রাণহানি
হিমালয়ের পাদদেশের রাষ্ট্র নেপালে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় গত দু’সপ্তাহে ২৪০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও প্রায় কয়েকশ’ মানুষ। গত তিন দিনেই মারা গেছে ৮৫ জন। 

দেশর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শংকর কৈরালা সাংবাদিকদের জানান, গত তিন দিনে ৮৫ জনেরও বেশি প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া, আহত হয়েছেন ৪৬ জন এবং দেশজুড়ে নিখোঁজ রয়েছেন ১১৩ জনেরও বেশি।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে এসে বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়েছে দেশটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ অঞ্চল অর্থাৎ ৩০টি জেলা।

কৈরালা জানান, দেশের দূরবর্তী পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সুরখেত সবচেয়ে বেশি বন্যা ও ভূমিধস কবলিত এলাকা। এই জেলায়ই কয়েক ডজন লোকের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তিনি দাবি করেন, সপ্তাহের শেষ দিকে বাঙ্কে ও বারিদ্য জেলা থেকে ১২ হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববারও সেনাবাহিনী ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায়  জাজারকোট জেলা থেকে ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সুরকেত জেলার বীরেন্দ্রনগর মিউনিসিপ্যালিটির ২৫টি বসত-বাড়ি সম্পূর্ণ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র।

এদিকে, এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নেপালকে ৩ কোটি ভারতীয় রুপি ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রণজিৎ রায়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৮

Avatar photo

Published

on

পূর্ব ইউক্রেনের শহর স্লোভিয়ানস্কে শুক্রবার ফ্ল্যাটের একটি ব্লকে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে শিশুসহ ৮ জন নিহত হয়েছে। শিশুটিকে ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সে মারা যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে সংগঠিত করা সহজ করতে এবং তাদের দেশ থেকে পালাতে বাধা দেওয়ার জন্য একটি খসড়া বিলে স্বাক্ষর করার মধ্যেইপ্রতিবেশীদের ওপর এই হামলা চালালো।

রাশিয়া আরও বলেছে, তারা স্লোভিয়ানস্কের ৪৫ কিলোমিটার (২৭ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে বাখমুতের ভয়াবহ যুদ্ধের হটস্পট আরও ঠেলে দিচ্ছে, কিয়েভ যদি দীর্ঘতম এবং রক্তক্ষয়ী বাখমুতের যুদ্ধে হেরে যায় তাহলে সেটি এই বড় শহরটির জন্য ঝুঁকি গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। স্লোভিয়ানস্ক দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি অংশে অবস্থিত যা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন।

অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে রাশিয়ান হামলার পর দোনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর পাভলো কিরিলেনকো ইউক্রেনের টেলিভিশনে বলেছেন, হামলায় ‘২১ জন আহত হয়েছে এবং আটজন মারা গেছে।’

তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে একটি ছেলে শিশু রয়েছে। এএফপি সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে বলেছেন, উদ্ধারকর্মীরা সাধারণ সোভিয়েত যুগের হাউজিং ব্লকের উপরের তলায় বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং সেখান থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় পুলিশ টুইটারে জানিয়েছে, ‘ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে আনার পর একটি অ্যাম্বুলেন্সে এক শিশু মারা গেছে।’ ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা এই ‘অবর্ণনীয় শোকের’ সময় শিশুটির পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা পাঠিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে আবাসিক ভবনে ‘নৃশংসভাবে গোলাবর্ষণ’ এবং ‘দিবালোকে মানুষ হত্যার’ জন্য রাশিয়ার নিন্দা করেছেন।

Continue Reading

Highlights

মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে পুরস্কার পেলেন রাশিয়ান পাইলটরা

Avatar photo

Published

on

কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ফাইটার পাইলটদের পুরস্কৃত করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু দুটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের পাইলটদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় একটি রুটিন মিশনে ছিল। রাশিয়ার দুটি যুদ্ধবিমান তা আটকানোর চেষ্টা করে। রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমানের আঘাতে ড্রোনটি অকেজো হয়ে পড়ে। পাইলটরা যারা দূর থেকে ড্রোনটি পরিচালনা করেছিল তারা তখন এটিকে কৃষ্ণ সাগরে ফেলে দিতে বাধ্য হয়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর মঙ্গলবারের সংঘর্ষটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ। যদিও মস্কো মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করার দাবি অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন দেখে তারা ফাইটার জেট পাঠিয়েছিল। তবে ড্রোনের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়নি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, যুদ্ধবিমানের পাইলটদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এমকিউ-রিপার ড্রোনটি প্রবল বেগে চলার সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং পানিতে পড়ে যায়। ড্রোনটি ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রেখে উড়ছিল। যা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ আকাশসীমায় রাশিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।

তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ড্রোনের কাছে এসে এটিকে হয়রানি করে এবং এতে জ্বালানি ছিটিয়ে দেয়। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে এটিকে আটকানোর চেষ্টা করার পর একটি যুদ্ধবিমান দ্বারা ড্রোনটির প্রপেলারটি কেটে যায় এবং এটি সমুদ্রে পড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) মার্কিন সেনাবাহিনী এই এনকাউন্টারের ৪০ সেকেন্ডের সম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ড্রোনের কাছে আসছে। এ সময় এটি ড্রোনটির উপর জ্বালানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। এরপর ড্রোনটির প্রপেলার নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনাকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন একজন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল।

Continue Reading

Highlights

সব ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করল কানাডা

Avatar photo

Published

on

কানাডা সরকার দেশটির সব সরকারি ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে সোমবার এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। এর মাধ্যমে চীনা ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফরমটির বিরুদ্ধে কানাডা সরকারের আরেকটি ক্র্যাকডাউন (সাঁড়াশি অভিযান) শুরু হতে পারে।

এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আজ মঙ্গলবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে অটোয়া প্রশাসন।

আনাদোলু জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের কিছুক্ষণ পরই জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি একটি প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, এটিই হতে পারে একমাত্র পদক্ষেপ যা আমাদের নিতে হবে। তবে প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা নিশ্চিত করতে যাচ্ছি যে, আমরা কানাডিয়ানদের নিরাপদ রাখছি।’

কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং কানাডার জনগণ অনলাইনে যেভাবে স্বাধীন মতপ্রকাশে সংযুক্ত হতে চায়, আমরা তা খুব গুরুত্বসহকারে নিয়েছি।’

‘কিন্তু আমাদের কাছে ডেটা সুরক্ষা, কানাডিয়ানদের সুরক্ষা এবং সুরক্ষার জন্য আমাদের যে গুরুত্বপূর্ণ নীতি রয়েছে, তা আমরা সর্বদা এগিয়ে নিয়ে যাব,’ বলেন ট্রুডো।

খবরে বলা হয়েছে, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডাকর্মীদের পরামর্শ দিয়ে একটি ইমেল পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তার পর্যালোচনার পর ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফরম অ্যাপটি এখন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, টিকটক বেইজিংভিত্তিক বাইটড্যান্স প্রযুক্তি কোম্পানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। চীনা সরকার এই অ্যাপটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য করে বলে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Continue Reading