জাতীয়

ভুজপুর তাণ্ডব: হত্যা মামলার তদন্তে ‍সিআইডি

Published

on

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুরে তাণ্ডবের একটি হত্যামামলা তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার বাদীর আবেদনে বুধবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কুদরত ই এলাহী এই নির্দেশ দেন। নিহত মো. রুবেলের মামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জামাল পাশা শওকত এই মামলায় পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে সিআইডিকে দিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন। গত ৬ অগাস্ট ওই আবেদনের শুনানি হয়েছিল, বুধবার আদেশ হল বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আবুল হাশেম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সিআইডির সহকারী কমিশনার সমমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করতে বলেছেন আদালত। তবে তদন্তের জন্য কোনো সময় বেঁধে দেয়া হয়নি।”এই ঘটনায় অন্য দুটি হত্যা মামলার বাদীও পুলিশের অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে ‍নারাজি দেবেন বলে এই আইনজীবী জানান। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল বিএনপি জোটের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ির আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। কয়েকশ’ গাড়ি ও মোটর সাইকেলসহ মিছিলটি কাজির হাটে পৌঁছালে কাজীর হাট বড় মাদ্রাসার মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়- ‘বড় হুজুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে’। এরপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরসহ মিছিলকে ঘিরে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে,বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। হামলায় তিন জন নিহত এবং পুলিশসহ আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। পুড়িয়ে দেয়া হয় দুইশ’ মোটর সাইকেল।   তিনজন মারা যাওয়ার ঘটনায় আলাদা তিনটি মামলা হয়। রুবেল হত্যা মামলার বাদী তার মামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জামাল পাশা শওকত,  উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফারুক ইকবাল বিপুল হত্যা মামলার বাদী তার ভাগ্নে জিয়াউল হক জিয়া এবং ফোরকান মিয়া হত্যা মামলার বাদী তার বাবা এজাহার মিয়া। গত ৯ জুন ওই তিন হত্যামামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। ওই মাসেই বাদী শওকত নারাজি আবেদন করেন। তিন মামলায় মোট ৬২৩ জনকে আসামি করেছে পুলিশ। রুবেল হত্যা মামলায় ২১৯,  ফারুক ইকবাল হত্যা মামলায় ২০৭ এবং ফোরকান মিয়া হত্যা মামলায় ১৯৭ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের অনেকেই তিন মামলার অভিযোগপত্রেই আছেন। অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাদের না জানিয়ে অভিযোগপত্র তৈরি ও জমা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়  আওয়ামী  লীগ ও সহযোগী  সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়নি বলে তার অভিযোগ। তবে পুলিশের দাবি, ‘যথাযথ’ তদন্ত শেষেই অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version