চট্টগ্রাম বিভাগ
মা-মেয়েকে পিলারে বেঁধে টিকটক!

Published
4 weeks agoon

নোয়াখালীর হাতিয়াতে জায়গা জমির বিরোধের জের মা-মেয়েকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে টিকটক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনায় হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ৯নং বুড়িরচর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের রেহানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী ওই গ্রামের মো. ইদ্রিসের স্ত্রী ঝুমুর আক্তার (৪০) ও তার মেয়ে কুসুম আক্তার (১৬)।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ির জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে একই বাড়ির মো.জহির উদ্দিনের ছেলে মো.জিল্লুর রহমান (২০) সহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন সহ একই বাড়ির মো. ইদ্রিসের স্ত্রী ঝুমুর আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে কুসুম আক্তার (১৬) কে রশি দিয়ে পিলারের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। ওই সময় জিল্লু মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এরপর পরে তা স্যোসাল মিডিয়া (MD JILLUR RAHMAN.505) এই টিকটক আইডি থেকে তাদেরকে চোর হিসেবে উপস্থাপন করে ভাইরাল করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.কায়সার খসরু। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে আমার কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়া থানার ওসিকে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি টিকটক ভিডিওটি দেখেছি। তা ভুক্তভোগী পরিবারের সংরক্ষণে আছে।
You may like
চট্টগ্রাম বিভাগ
সোনাইমুড়ীতে ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত কাঁচামাল বিক্রির টাকাসহ আটক ২

Published
6 hours agoon
মার্চ ২১, ২০২৩
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত সবজি বিক্রির এক লাখ টাকা ও ছিনতাইকৃত ট্রাকসহ চক্রের দুই সদস্য আটক করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার ওয়াহিন উদ্দিন (৩০) ও রুবেল (৪০)।
গতকাল সোমবার সকালের দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, গত ১৮ মার্চ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন (৪৫) লক্ষীপুরের রামগতি থানা এলাকার বিভিন্ন চাষীদের নিকট হইতে ১০ টন ঢেঁড়শ ক্রয় করে ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে বোঝাইকৃত ট্রাকটি নিয়ে সোনাইমুড়ীর বগাদিয়া সাকিনস্থ চেরাং বাড়ীর সামনে পৌঁছলে তাদের পথরোধ করে ছিনতাইকারী চক্রটি। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সবজি বোঝাই ট্রাক, নগদ টাকা, দুটি স্মার্টফোন নিয়ে যায়। এসময় চক্রটি তাদেরকে সিএনজিতে উঠাইয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়া হাত পা বেধে ফেলে চলে যায়।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক জানান, ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন সোনাইমুড়ী থানায় অভিযোগ দিলে ট্রাক ও মালামাল উদ্ধারে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে চট্টগ্রাম এর কোতোয়ালী থানা এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগীতায় ০২ জন ডাকাতকে আটক করে। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢেঁড়শ বিক্রির এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা এবং ছিনতাইকৃত ট্রাকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক।
চট্টগ্রাম বিভাগ
হেযবুত তওহীদ কর্মীদের মারধর: ক্ষমা চেয়ে আপোষ করলো চরমোনাই অনুসারীরা

Published
11 hours agoon
মার্চ ২১, ২০২৩
ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে অন্যায়ভাবে হেযবুত তওহীদ কর্মীদেরকে মারধর করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে চরমোনাই অনুসারীরা। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে না বলে ক্ষমা চেয়ে একটি আপোষ মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর করে তারা।
রবিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ থানার গোলঘরে একটি শালিস বৈঠকে চরমোনাই অনুসারীরা ক্ষমা চেয়ে আপোষ মীমাংসায় স্বাক্ষর করেন।
হেযবুত তওহীদের কর্মী মোহাম্মদ রাসেল মিঠু ও গোলাম রাব্বানি রাসেল জানান, আমরা মোটর মেকানিক হিসেবে হাজীগঞ্জ বাজারের পাইলট স্কুলের সামনে একটি দোকানে কাজ করি। গত ৯ মার্চ বাদ-মাগরিব চরমোনাই অনুসারী মাদ্রাসার ছাত্র রিফাত, হৃদয়, সিয়ামসহ ১০-১২ জনের একটি দল হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে অহেতুক বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট কথা তুলে ধরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনায় আমরা হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে রবিবার সন্ধ্যায় এসআই মো. আজিজুর রহমান উভয় পক্ষকে ডেকে থানার গোল ঘরে একটি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে চরমোনাই অনুসারীরা ক্ষমা চাইলে আমরা আপোষ মীমাংসা হই।
শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী কবির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিঠু, কাজী বিল্লাল হোসেন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
হেযবুত তওহীদের চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দীন জানান, আমাদের আন্দোলনটি একটি অরাজনৈতিক। দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি, ধর্ম ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রকৃত ইসলামের আদর্শ তুলে ধরে গণসচেতনতার লক্ষে সারাদেশে হাজার হাজার সভা, সমাবেশ, সেমিনার, শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এ আদর্শিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন গুজব-হুজুগ রটিয়ে আমাদেরকে হয়রানি সহ ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে। ওইদিন হাজীগঞ্জ বাজারেও আমাদের কর্মীদেরকে মারধরের ঘটনা ঘটায়। ধর্ম এসেছে মানবতার জন্য। আমরা সে মানবতার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চরমোনাই অনুসারীরা ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে না বলে ক্ষমা চেয়ে একটি আপোষ মিমাংসাপত্রে স্বাক্ষর করেছে।
Highlights
জোড়া খুনের বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

Published
1 week agoon
মার্চ ১৪, ২০২৩
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে মিথ্যা গুজব রটিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নোয়াখালী জেলা হেযবুত তওহীদ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নোয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সামনে হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা সোনাইমুড়ির পোরকরায় অবস্থিত হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক, শিল্পভিত্তিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
বক্তাগণ অভিযোগ করে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের আজও বিচার হয়নি। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকা বহু আসামী স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর আশ্রয়ে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না। আর সেই সুযোগ নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও কুচক্রী মহল পুনরায় হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে হামলার ষড়যন্ত্র করছে।’
অনুষ্ঠানে সোনাইমুড়ীতে উগ্রবাদীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া ইব্রাহীম রুবেলের স্ত্রী হাজেরা আক্তার এর বক্তব্যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধনে হাজেরা আক্তার বলেন, মসজিদ নির্মাণের মত পবিত্র কাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হয় আমার স্বামী। এই উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীরা প্রচার করতে থাকে যে, হেযবুত তওহীদ খ্রিস্টান, তারা গ্রামে একটি গির্জা নির্মাণ করছে। এসব গুজব ছড়িয়ে ঘটনার দিন বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের নিয়ে এসে ‘খ্রিস্টান মারো, গির্জা ভাঙো’ স্লোগান দিয়ে তারা একযোগে হামলা চালায়। তারা আমার স্বামীর হাত পায়ের রগ কাটে, দুই চোখ উপড়ে ফেলে, পরে গলাকেটে আগুনে পুড়িয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। কি দোষ ছিল আমার স্বামীর? আমি কেন বিচার পাব না? কেন বিচারের দাবিতে আমাকে রাস্তায়-রাস্তায়, দ্বারে-দ্বারে ঘুরতে হবে? আর কতকাল ধর্মের মুখোষধারী, ধর্মব্যবসায়ী গুজব-সন্ত্রাসীদের এভাবে প্রশ্রয় দিয়ে যাওয়া হবে? আমি এর জবাব চাই, আমার স্বামীর খুনীদের বিচার চাই।
মানববন্ধন শেষে খোকন ও রুবেলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে এবং উগ্রতা, ধর্মব্যবসা, ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কেন্দ্রীয় সহকারী সাহিত্য সম্পাদক রাকিবুল হাসান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা সভাপতি মো. গোলাম কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন ধর্ম উন্মাদনা সৃষ্টি করে মানবতার কল্যানে নিয়োজিত অরাজনৈতিক অন্দোলন হেযবুত তওহীদের ২ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়ী-ঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় উগ্র সন্ত্রাসীরা।
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ9 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস