জাতীয়
মির্জাপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

Published
8 years agoon
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আফিমতলা এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার বাওশি গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল মালেক (৩০) ও শেরপুরের মো. লুৎফর রহমান। এরা দু’জনেই পিকআপ ভ্যানে ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ওই স্থানে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী অভি পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা জামালপুরগামী মাছ বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের দুইজনের মৃত্যু হয়। গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
You may like

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনে দাঁড়িয়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
এর আগে গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাথমিক প্রতিবেদনে জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
বিবিএসের শুমারিতে কতসংখ্যক বাদ পড়েছে, তা জানতে আলাদাভাবে জরিপ করে সরকারি সংস্থা বিআইডিএস। তাতে দেখা যায়, বিবিএসের শুমারিতে ৪৭ লাখ বাদ পড়েছে। নতুন করে এরা যোগ হওয়ায় এখন জনসংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটি ৯৮ লাখে উন্নীত হয়েছে। বিআইডিএস বলেছে, বিবিএসের শুমারিতে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছে। তারা বাদ পড়াদের যোগ করেছে।
গত বছরের ২৭ জুলাই বিবিএসের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিবিএস প্রতিবেদনের সে সময় বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪, নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
Highlights
আশুলিয়ায় হেযবুত তওহীদকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Published
3 days agoon
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
ঢাকার আশুলিয়ায় হেযবুত তওহীদের কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, নারী কর্মীদের শ্লীলতাহানী ও নারীকর্মীসহ অন্তত ১৩ সদস্যকে আহত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিভাগ নারী বিষয়ক সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জঙ্গিবাদ, গুজব-সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আশুলিয়ার ইউনিক বাসস্ট্যান্ডে গণসংযোগ কর্মসূচি চলাকালে হেযবুত তওহীদের স্থানীয় সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে একদল উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই ঘটনায় হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যসহ অন্তত ১৩ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- হেযবুত তওহীদের কর্মী আশুলিয়ার বাসিন্দা আবুল হোসেন, কামাল হোসেন, জাকির হোসেন, সুমি আক্তার, লিয়ন ইসলাম, নিজাম মন্ডল, মানিক, জাহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, তরিকুল ইসলাম এবং সানোয়ার হোসেন বাদশা। তন্মধ্যে আবুল হোসেন এবং কামাল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন গাজীপুর জেলা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু। তিনি বলেন, আমরা অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ বিগত ২৭ বছর যাবৎ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যাবসা, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে নিজের অর্থ সম্পদ ব্যায় করে কাজ করে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদ আইন মান্যকারী দল। আজকে যারা ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি করে, ধর্মব্যাবসা করে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ এই অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চায়। তিনি হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার এবং জালিয়াতির চিত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আশুলিয়া থানা হেযবুত তওহীদের সম্মানিত সভাপতি জাকির হোসেন, ঢাকা জেলা উত্তর জোনাল আমির ইয়ুনুস মিয়া, সাভার উপজেলা সভাপতি সোহেল তালুকদার, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা হেযবুত তওহীদের নারী বিষয়ক সম্পাদক আবিদা সুলতানা প্রমুখ। আশুলিয়া থানার বিভিন্ন ইক্ট্রেনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া কর্মীগণের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
Highlights
মানবেতর জীবনযাপন করছে বেদে সম্প্রদায়ের মানুষেরা

Published
4 days agoon
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে আসি আসি বলে জোছনা ফাঁকি দিয়েছে’ চলচ্চিত্রের গানের এই কথাগুলো সিনে-দর্শকদের বিনোদনের খোরাক হলেও বেদে সম্প্রদায়ের জীবন মোটেই আনন্দের না। খুব কষ্টে আর চরম অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে দিনপার করছেন হবিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন। আর বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সমাজে তাদের আর আগের মতো সুদিন নেই। নেই সেই কদরও। তারা আগের মতো জায়গায় জায়গায় ঘুরে বেড়ান, সাপের খেলাও দেখান তবে অতীতের মতো সহজে জীবিকা নির্বাহের উপায় আর নেই তাদের। মানুষ এখন আর সাপ খেলা ও তুকতাকে মজে না। বিনোদনের হাজারো বিকল্পের আধুনিক স্মার্টফোনের এই যুগে বেদে-বেদেনীদের সনাতনী বিনোদন আকর্ষণ হারিয়েছে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে আরাকানরাজ বল্লার রাজার সাথে তাদের প্রথম ঢাকায় আগমন ঘটে। প্রথমে তারা বিক্রমপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তারপর জীবিকার তাগিদে সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে এই বেদে জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশই নিরক্ষর।
সূত্র জানায়, জেলার চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রিজ, হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার, শরীফাবাদ, মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজ, বাহুবলের মিরপুর, বানিয়াচংয়ের আদর্শ বাজার ও আজমিরীগঞ্জের সিনেমা হল রোড এলাকায় প্রায় ৩০০টি বেদে পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ পরিবারই গত এক যুগ ধরে কিছু কিছু এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে।
হবিগঞ্জ আদালত পাড়ায় খদ্দেরের আশায় বসে থাকা বেদে নারী সেলিনা জানান, রাস্তাঘাটে চলাচল করতে সহ্য করতে হয় বিদ্রুপ। শহরের বিভিন্ন স্থানে ভেষজ ঔষধের মাধ্যমে লোকজনকে চিকিৎসা দেন তারা। কিন্তু বিনিময়ে যা পান তাতে পেট চলে না। লোকে ১০-২০ টাকার বেশি দেয় না। সারাদিনে আয় ১ থেকে দেড়শ’ টাকা। আর প্রতিটি পরিবারের সদস্য সংখ্যা অন্তত ৫-৬ জন। এ টাকা দিয়ে খাবার যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয় তাদের। সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।
শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্ত্বরের পাশে পরিত্যক্ত মাঠে বসবাসরত এক বেদে জানান, শুধু আর্থিক দুরবস্থাই নয়, সমাজে তারা এক প্রকার অস্পৃশ্য সমাজের মূলস্রোতের মানুষ তাদের মানুষ বলে গণ্য করে না। ছেলে-মেয়েদের স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসায় ভর্তির জন্য নিয়ে গেলেও সেখানে তাদের ভর্তি করা হচ্ছে না।
বেদেনা বেগম নামে আরেক বেদে নারী বলেন, ‘আমরা যাযাবর সরকার আসে সরকার যায়, আমাদের মিলছে না কোনো ঠিকানা! আজ এখানে আছি, কাল ওখানে, বেদে বহরের মেয়েরাই আয়-রোজগার করে। মেয়েরাই সকালে জীবিকার জন্য দল বেঁধে বের হয়। গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে, সন্ধ্যার দিকে ফিরে আসে বহরে পুরুষরা সারাদিন ছেলে-মেয়েদের দেখাশোনা করে।
তিনি আরও বলেন, সাপ খেলায় এখন আর পেট বাঁচে না। পুরুষরাও ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে অভাব-অনটনের কারণে কেউ কেউ পুকুর-ডোবায় তলিয়ে যাওয়া সোনা-রূপা তুলে দেয়ার কাজ করে। বিক্রি করছে শাড়ি, চুড়িসহ প্রসাধনী। কেউ কেউ ভানুমতির খেলা ও জাদুমন্ত্র নিয়ে হাজির হচ্ছে হাট-বাজারে।
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক7 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ8 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস