Connect with us

জাতীয়

মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় ৮ মার্চ

Avatar photo

Published

on

kasem-aliনিজস্ব প্রতিবেদক: জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিলের ওপর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আগামী ৮ মার্চ রায় ঘোষনার দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
এর আগে প্রধান বিচারপতি আপিলের রায় ঘোষণা জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন। পরে বেলা সোয়া একটায় এ তারিখ পরিবর্তন করে ৮ মার্চ দিন ধার্য করে দেয়া হয়। তারিখ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় সূত্র জানায়, ওই দিন (২ মার্চ) সিলেটে প্রধান বিচারপতির একটি অনুষ্ঠান থাকায় রায়ের তারিখ পরিবর্তন করে পরবর্তী তারিখ ৮ মার্চ ধার্য করা হয়েছে। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল খন্দকার দিলিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আদালত প্রথমে রায়ের জন্য ২ মার্চ দিন রাখলেও পরে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে তা পরিবর্তন করে ৮ মার্চ ঠিক করে দেয়।
এর আগে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে যে রায় দিয়েছে তা বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালাসের আর্জি জানিয়ে আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মীর কাসেমের আপিল মামলাটির শুনানি শুরু হয়। আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে ৭ কার্যদিবসে এ মামলার শুনানি আজ শেষ হলো। এটি আপিলে সপ্তম মামলা যার চুড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাশেম আলীর পক্ষে এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর এ আপিল দায়ের করেন। আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির জানান, মীর কাশেম আলীর পক্ষে ১৮১টি গ্রাউন্ডে মৃত্যুদন্ড থেকে খালাস চেয়ে এ আপিল করা হয়। দেড়শ’ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ৫ ভলিয়মে ১ হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠায় বিভিন্ন ডকুমেন্টও পেশ করা হয়।
আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। মামলায় মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ আনা হয়। রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশন আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলী দোষী প্রমাণিত হয়েছে। তবে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এসব অভিযোগ থেকে খালাস (অব্যাহতি) দেয়া হয়।
প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ২ নম্বর অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদন্ড দেয়া। ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে তাকে ৭ বছর করে মোট ৪২ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৪ নম্বর অভিযোগ ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এই ৮টি অভিযোগে তাকে সর্বমোট ৭২ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। ১১ নম্বর অভিযোগে রয়েছে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ছয়জনকে আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। এ অভিযোগে বিচারকরা সর্বসম্মতিক্রমে মীর কাসেমকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়। ১২ নম্বর অভিযোগে রয়েছে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। এ অভিযোগে বিচারকদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেয়া হয়। ১১ ও ১২ নং অভিযোগ ছাড়া বাকি ১২টি অভিযোগই অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ মীর কাসেমের বিরুদ্ধে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র আলবদর বাহিনীর চট্রগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম আলী মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা রায়ে প্রমাণিত হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের অন্যতম সদস্য রানা দাস গুপ্ত বাসস’কে বলেন, মীর কাশেম মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্রগ্রাাম কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি ওই সময় চট্রগ্রাম কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি, চট্রগ্রাম শহর শাখারও সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে ৭১’ এর ৬ নভেম্বর পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রাদেশিক কার্যকরী পরিষদের সদস্য এবং পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক পদেও অধিষ্ঠিত হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মীর কাশেম আলী ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের সমন্বয়ে সশস্ত্র আলবদর বাহিনী গঠন করেন। সেই আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে মীর কাশেম আলী চট্রগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন। রানা দাস গুপ্ত বলেন, চট্রগ্রাম শহরের চামড়ার গুদাম, সালমা মঞ্জিল, ডালিম হোটেলসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে মীর কাশেম আলী তার সহযোগীদের নিয়ে আলবদর বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এসব নির্যাতন কেন্দ্রগুলোতে মানুষকে ধরে নিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন এবং হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। যা সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে মামলায় প্রমাণ করতে সক্ষম হয় প্রসিকিউশন।
মামলায় মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) নুরুল ইসলামসহ প্রসিকিউশনের পক্ষে ২৪ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়। এরপর মীর কাসেম আলীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেয় তার ছোট বোন মমতাজ নুরুদ্দিনসহ তিনজন। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে ঢাকা গত ৬জানুয়ারি জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলের রায় ঘোষনা করা হয়েছে। এ মামলা এখন পূর্নাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি আপিলের ষষ্ঠ রায়। এছাড়াও আপিলে চুড়ান্ত পাঁচটি রায়ের পর চারটিতে জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিলের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ ইতোমধ্যে আবেদন দাখিল করেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Branding

ওয়েডিং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও মিলনমেলা

Avatar photo

Published

on

ওয়েডিং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা লেডিস ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা লেডিস ক্লাবের সভাপতি আনিসা হক, দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক এবং সাদিয়ানা ওয়েডিং এন্ড ফেস্টিভিটি সলিউশনের সত্তাধিকারী রূফায়দাহ পন্নী, ঢাকা লেডিস ক্লাবের সেক্রেটারি মনোয়ারা তাহির, বাংলাদেশ সাংবাদিক জোটের সাধারণ সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, নারী উদ্যোক্তা দীপা প্রমুখ।

Continue Reading

Highlights

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

“জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদ।

রবিবার সকাল ১০ টায় ফরিদপুর সদর, ঝিলটুলি, অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল মহানগর নারী বিষয়ক সম্পাদক অনামিকা হক এর সঞ্চালনায় ও ফরিদপুর জেলা নারী সম্পাদক সুস্মিতা জামান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১৫,২০,২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও টি এন সি সি এর সদস্য নাহার যুবায়ের কণা, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় আমির মোঃ আল আমিন সবুজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব মিয়া, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় নারী সম্পাদক আসমা আক্তার, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় নারী সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম এবং ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মাহবুবুল আলম নিক্কন প্রমূখ।

প্রধান অতিথি বলেন, নারীরা একটি জাতির অর্ধেক জনসংখ্যা। সেই নারীদেরকে পশ্চাৎপদ রেখে জাতির উন্নতি, প্রগতি সম্ভব নয়। জাতির কাক্সিক্ষত উন্নতি পেতে হলে নারীদেরকে যথাযথ যোগ্যতা ও মেধানুযায়ী সমাজে সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা,অপরাজনীতি, হুজুগ, গুজব, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ মানবজাতির কাছে তুলে ধরে আসছে হেযবুত তওহীদ। আর এ মহান কাজে পুরুষদের পাশাপাশি হেযবুত তওহীদের নারীরাও নিজেদের যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির কল্যানে অবদান রেখে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদের নারীদেরকে মনে রাখতে হবে, ধর্মের নামে যাবতীয় জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে।

Continue Reading

Highlights

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখার শপথ কুমিল্লা হেযবুত তওহীদের

Avatar photo

Published

on

‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখতে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কুমিল্লা জেলা শাখা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আগমন ফুড পার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন।

সাবেক কুমিল্লা জেলা সভাপতি ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির ও লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো. সুজন, লালমাই উপজেলা সভাপতি আবু রায়হানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির অপতৎপরতা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এই দেশে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। এ পর্যন্ত পশ্চিমা পরাশক্তি দেশগুলো ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়াসহ যেসব দেশে হস্তক্ষেপ করেছে সবগুলো দেশকে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আরেক দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লড়াই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। কাজেই আমাদের যাবতীয় সহিংসতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক নিজাম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, যে কোনো সংকটের সমাধান ইসলাম দিয়েই সম্ভব কিন্তু ইসলামের সেই প্রকৃত রূপ কারও কাছে নেই। মহান আল্লাহ দয়া করে সেটা হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন। আমরা প্রকৃত ইসলামের আদর্শ দিয়ে একটা নোয়াখালীতে একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করে দেখিয়েছি। যে আদর্শ একটা ছোট্ট সমাজকে শান্তিপূর্ণ করতে পারে ইনশাআল্লাহ সেই আদর্শ দিয়ে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলাও সম্ভব হবে। এই মহতী কাজে সকলকে আমরা সাথে চাই।

এরআগে এদিন সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন শাকিল। অনুষ্ঠানে লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

Continue Reading