যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে হামলার চেষ্টা আল কায়দার
পাকিস্তানি নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ছিনতাই করে আরব সাগরে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে হামলার চেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়দার নবগঠিত দক্ষিণ এশিয়া শাখা। তবে, পাক সেনাবাহিনীর কঠিন পদক্ষেপে জঙ্গিদের পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়।
৬ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটেছিল বলে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে স্বীকার করেন আল-কায়দার মুখপাত্র উসামা মাহমুদ। তবে, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি পাক সেনা বা নৌবাহিনীর।
উসামাকে উদ্ধৃত করে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘সাইট’ জানায়, পাকিস্তানি ফ্রিগেট পিএনএস জুলফিকার দখলে নিয়ে সেখান থেকে আরব সাগরে অবস্থানরত মার্কিন নৌবহরে রকেট হামলা চালানোর ছক আঁকে আল কায়দা।
অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর বিবৃতিতে উসামা বলেন, মুজাহিদরা (যোদ্ধা) পাকিস্তানি নৌজাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যখন আমেরিকান নৌবহরের দিকে এগোনোর চেষ্টা করছিল, তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে আল-কায়দা মুখপাত্র বলেন, পাক সেনাবাহিনীর হাতে মুজাহিদ ও মুসলিম উম্মাহর ত্রাণকর্তারা জীবন উৎসর্গ করেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী উম্মাহর শত্রু আমেরিকানদের বাঁচাতে মুজাহিদদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
উসামার বিবৃতির সঙ্গে পিএনএস জুলফিকার দখলের অভিযানের ভিডিও ও ছবিসম্বলিত তথ্য প্রকাশ করে আল-কায়দা। যদিও এ নিয়ে নৌ ও সেনাবাহিনীর তরফ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পিএনএস জুলফিকারের দখল-পুনর্দখল নিয়ে আল কায়দা ও সশস্ত্র বাহিনীর কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর সরকারপক্ষ হাফ ছেড়ে বাঁচলেও পাকিস্তানি পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তার ব্যাপারে দেশটির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত করলো।
তাছাড়া, আল-কায়দার ঘনিষ্ঠ সহযোগী তালেবানের পক্ষ থেকেও এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৬ সেপ্টেম্বরের ওই অভিযানে নৌবাহিনীর কিছু সদস্যেরও সহযোগিতা পেয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠীটি। পরে যদিও ক’জন নৌবাহিনী সদস্যকে হামলাকারীদের সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।