Connecting You with the Truth

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর শ্যাওলা থেকে জৈবজ্বালানি উদ্ভাবন

Md Tamjidul Hoqueডেস্ক রিপোর্ট: সফটওয়্যারের উন্নয়ন ও শ্যাওলা থেকে জৈবজ্বালানিতে রূপান্তরের তাত্বিক বিষয় উদ্ভাবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী পুরস্কার লাভ করেছেন।
পুরস্কার প্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. মো. তামজিদুল হক যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলেনস ( ইউএনও) এর কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক।
তিনি সফটওয়্যার টুলসের উন্নয়ন ও শ্যাওলা থেকে জৈবজ্বালানিতে রুপান্তরের তাত্বিক বিষয় উদ্ভাবনের জন্য ‘লুসিয়ানা বোর্ড অব রিজেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাইস রিসার্চ সাবপ্রোগ্রাম থেকে পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৫৩ মার্কিন ডলার লাভ করেছেন। ঢাকায় প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা গেছে, তিনি তিন বছর মেয়াদী প্রাতিষ্ঠানিক মঞ্জুরি হিসেবেও ৩৬ হাজার ৭২০ মার্কিন ডলার পাবেন।
ড. হক জানান, অন্য যেকোন প্লান্টের তুলনায় জৈবজ্বালানি হিসেবে রূপান্তরে শ্যাওলা বেশি কার্যকর। তিনি জানান, শ্যাওলাকে অতি চমৎকার ব্যাটারির কারখানা হিসেবে উন্ন্য়ন করা যেতে পারে, যা সৌর শক্তি উৎপাদন ও বায়ু মন্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইডে রুপান্তর করা যায়।
ড. হকের এই প্রকল্প ইউএনও, বিএইচও প্রযুক্তি এবং লুসিয়ানা ইমাজির্ং টেকনোলজি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগ। তার পরীক্ষাগারে শ্যাওলা থেকে জৈবজ্বালানী উৎপাদনের জন্য জীনের পর্যাবৃত্তি বিশ্লেষণে অগ্রসরমান অ্যালগরিদমের উন্নয়ন করা হবে।
ড. তামাজিদুল হক নাসা মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্রে স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম ও নাসার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও এর বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বাজারজাতকরণে প্রধান তদন্তকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৬০ হাজার ৭৩ ডলারের মঞ্জুরিতে এই কার্যক্রম তার সহ-প্রধান হচ্ছেন ইউএনও’র কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শেনগ্রু তু।
এই মঞ্জুরি ব্যবহার করে ড. হক ও তু নাসার সরঞ্জামাদি ও সহজে আবিস্কারের জন্য সম্পর্কিত সম্পদ আরো নির্ভুল ও ব্যবহার -বান্ধব করে তুলবেন।
ড. তামজিদুল হক মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার প্রয়াত ড. (ক্যাপ্টেন) শামছুল হকের পুত্র। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ও ২০০২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিস্টেম এনালিস্ট মো. কামারুল হকের ছোট ভাই।
ড. হক ২০০৮ সালে অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অষ্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো ছিলেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির পোষ্ট ডক্টরাল ফেলো ছিলেন।
ইউনিভার্সিাট অব নিউ অরলেনস-এ যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ড. হক গবেষনা মজ্ঞুরি হিসেবে প্রায় ৬ লাখ ৭ হাজার ৮৬ মার্কিন ডলার লাভ করেছেন।

Comments
Loading...