যে লক্ষণগুলো হতে পারে অন্য কোনো রোগের কারণ
অন্যান্য ডেস্ক:
আমাদের শরীরটাকে সুস্থ রাখার জন্য কত কিছুই না আমরা করে থাকি। নিয়মিত ব্যায়াম, পরিমিত খাবার, ডাক্তারের সাথে আলোচনা ইত্যাদি কত
কিছুই করা হয় স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এবং শরীরটাকে সুস্থ রাখার জন্য। আমাদের শরীরের কিছু সমস্যা কিন্তু খুব সহজেই নির্নয় করা সম্ভব। শরীরের নানান সমস্যার কারণে আমাদেরই কিছু অঙ্গে প্রভাব পড়ে। আপাত দৃষ্টিতে দুটি সমস্যার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া না গেলেও শরীরের অভ্যন্তরীণ সংযোগ আছে সমস্যাগুলোর মধ্যে। তেমনই কিছু শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে জেনে নিন যেগুলো হতে পারে অন্য কোনো রোগের কারণ।
লালচে চোখ ও মস্তিষ্ক
শুনতে খুবই অদ্ভুত শোনালেও সত্যি যে চোখের সাথে মস্তিষ্কের সম্পর্ক আছে। কিন্তু একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ৩৮ বছরের কম অংশগ্রহণকারীদের যাদের চোখের রক্তনালী চওড়া তাদের আইকিউ তুলনামূলক ভাবে কম। এক্ষেত্রে চোখের রক্তনালী সরু তাদের আই কিউ বেশি। এক্ষেত্রে গবেষকরা জানিয়েছেন যে চোখের রক্তনালীর আকৃতি আর মস্তিষ্কের রক্তনালীর আকৃতি একই ধরণের হয়। তাই চোখ থেকেই মতিষ্কের অবস্থা অনেকটাই বোঝা যায়। তাই মস্তিষ্কে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা তা চোখ দেখেই অনেকটাই আন্দাজ করা যায়।
মুখের দূর্গন্ধ ও ইরেকটাইল ডিসফাংশন
মাড়ির সমস্যা ও মুখের দূর্গন্ধের সাথে ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর সম্পর্ক আছে। তুরস্কের একজন গবেষন ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন যে যাদের মাড়ির সমস্যা ছিলো তারা অন্যান্য পুরুষদের তুলনায় ইরেকটাইল ডিসফাংশন সমস্যায় তিনগুন বেশি ভোগে।
বয়সের ছাপ ও হৃদপিন্ড
বয়সের ছাপ এর সাথে আছে হৃদপিন্ডের সম্পর্ক। কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি হসপিটালের গবেষকদের গবেষণায় জানা গিয়েছে যে যাদের বয়সের আগেই চুল পেকে যায়, ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পরে, মাথায় টাক পরে যায় এবং চোখের নিচে ভাজ পরে যায় তাদের হৃদপিন্ডের সমস্যা থাকার ঝুঁকি আছে। এই সমস্যাগুলো যাদের মাঝে লক্ষ্য করা যায় তাদের ৩৫ বছর বয়সের পরে হৃদপিন্ডের অসুখে ভোগার সম্ভাবনা ৪০% বেশি এবং হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি ৫৭% বেশি।
চুল পড়া ও হরমোন
আপনার যদি হঠাৎ করেই অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু করে কিংবা চুলের বৃদ্ধি একদম কমে যায় তাহলে আপনার হরমোনের সমস্যা থাকতে পারে। কারণ থাইরোয়েড ও অন্য কিছু জরুরি হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে তার প্রভাব চুলে পরার সম্ভাবনা থাকে।
ঘ্রাণ ও আলঝেইমার
ইউএস ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউরোলোজিক্যাল ডিসঅর্ডারস এর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যাদের ঘ্রাণশক্তি তুলনামূলকভাবে অন্যদের চাইতে কম তাদের আলঝেইমার রোগে ভোগার সম্ভাবনা অনেক বেশি।