বিবিধ

যে ৬টি কারণে খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত ভাত

Published

on

রকমারি ডেস্ক:
অনেকেই এই ধারণা রাখেন যে ভাত খেলে শরীরে পানি জমে, বাতের ব্যথা বাড়ে, ওজন বাড়ে ইত্যাদি। ভাত আসলেই খাওয়া উচিত কি না সেটা নিয়েও রয়েছে নানারকম মতামত। অনেকে মনে করেন ভাত খেলে সহজে ঘুম পায়, মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আবার অনেকে মনে করেন ভাত আর রুটির মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে বিতর্ক যাই থাকুক না কেন, ভাতের গুণ রয়েছে কিন্ত যথেষ্ট। ভাতের নানা গুণ সম্পর্কে এবং ভাত কীভাবে সঠিক ডায়েটে জায়গা করে নিতে পারে জেনে নিন।
১. লো-ক্যালরি ফুড:
একটা ধারণা বেশ ভালোভাবেই প্রচলিত আছে যে, ভাত খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু অন্য আর সব খাবারের মতোই ভাত পরিমিত পরিমাণে খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। ১০০ গ্রাম ভাতে রয়েছে প্রায় ১০০ ক্যালরি। ফ্যাটের পরিমাণও খুব কম, ভাত্র ০.৪ গ্রাম। আটার রুটির প্রায় সমান ক্যালরি। ময়দা, পরোটা বা তেলে ভাজা পুরির তুলনায় ভাত খাওয়া উপকারী। দিনে দু বার ভাত খেতেই পারেন, তবে আপনার উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী ভাতের পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখুন।
২. ভিটামিনের আধার:
ভাতে যথেষ্ট পরিমাণে নিয়াসিন, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, থিয়ামিন ও রাইবোফ্লাভিন রয়েছে।
৩. সহজে হজম হয়:
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার হওয়ায় ভাত সহজে হজম হয়। হজমপ্রক্রিয়ার জন্য ভাত খুব উপকারী। বিশেষ করে ডায়রিয়া হলে জাউভাত খুব ভালো কাজে দেয়।
৪. বাওয়েল মুভমেন্টের জন্য উপকারী:
ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ। স্টার্চ স্বাভাবিক বাওয়েল মুভমেন্টের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া নিঃসরণে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে বা বদহজমের সমস্যা হলে ভাত খাওয়াটাই ভালো।
৫. হাইপারটেনশনে নিরাপদ:
ভাতে কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম নেই। হাইপারটেনশনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা ডায়েটে ভাত রাখার চেষ্টা করুন।
৬.গ্ল“টেন মুক্ত:
গম, বার্লি, ওটসে এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন রয়েছে ‘গ্ল“টেন’, যা অনেকেই হজম করতে পারে না। ভাতে গ্ল“টেন না থাকায় যারা গ্ল“টেন-ফ্রি ডায়েট মেনে চলেন তাদের জন্য ভাত উপযোগী। এ কারণেই পেটের সমস্যার সময় জাউভাত খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version